আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

বছরব্যাপী রোজা রাখার মান্নত

প্রশ্নঃ ৩০৯৪৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার মামা বেশ কয়েক বছর পূর্বে গুরুতর অসুস্থ (কুকুরের কামড়ের কারণে ইনফেকশনের জন্যে অপারেশন করার পরে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায়) থাকা অবস্থায় নিয়ত করেছিলো উনি যদি পুরোপুরিভাবে সুস্থতা লাভ করেন তাহলে পরিপূর্ণ ১(এক) বছর নফল রোযা থাকবেন।কিন্তু, আলহামদুলিল্লাহ্ উনি পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়েছেন কিন্তু উনি তার ১(এক) বছর নফল রোযা রাখার নিয়ত পূরন করতে করেননি এবং উনি ১ বছর রোযা রাখার সক্ষমতা পাচ্ছেন না। এখন উনার(আমার মামার) করণীয় কি??? উনি উনার ওয়াদার জন্যে এখন কি করতে পারেন????,

১২ এপ্রিল, ২০২৩

টাঙ্গাইল

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


আপনার মামা অসুস্থ অবস্থায় যেই নিয়ত করেছিলেন যে, তিনি সুস্থ হলে পূর্ণ এক বছর নফল রোজা রাখবেন। এটা তার মান্নত হয়েছিল। ভালো কাজের মান্নত করলে তা পুরা করা ওয়াজিব।
যদি মান্নত পুরা করার সাধ্য না থাকে, অর্থাৎ আপনার মামা পূর্ণ এক বছর রোজা রাখার মত সক্ষমতা না পান, তবে মান্নতের কাফফারা দিয়ে দিবেন।

মান্নতের কাফফারা হলো-
ক. একটি গোলাম আজাদ করা
খ. অথবা ১০ জন মিসকীনকে দু'বেলা করে খাবার খাইয়ে দেয়া।
গ. অথবা খাবার দিয়ে দেয়া।
ঘ. কিংবা ১০ জন মিসকিনকে পোশাক দেওয়া।
ঙ. (১০ জন মিসকিনকে খাবার দেওয়ার মতো আর্থিক সঙ্গতি না থাকলে) তিনটি রোজা রাখলেও চলবে।

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا نَذْرَ فِي مَعْصِيَةٍ وَكَفَّارَتُهُ كَفَّارَةُ يَمِينٍ

৩৮৩৭. আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ পাপের কাজে কোন মান্নত নেই। আর কসমের কাফফারাই এর কাফফারা।

—সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ৩৮৩৫ (আন্তর্জাতিক নং ৩৮৩৫)

কসম ভঙ্গের কাফফারাহ:

لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰہُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَلٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا عَقَّدۡتُّمُ الۡاَیۡمَانَ ۚ فَکَفَّارَتُہٗۤ اِطۡعَامُ عَشَرَۃِ مَسٰکِیۡنَ مِنۡ اَوۡسَطِ مَا تُطۡعِمُوۡنَ اَہۡلِیۡکُمۡ اَوۡ کِسۡوَتُہُمۡ اَوۡ تَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ ؕ فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ ؕ ذٰلِکَ کَفَّارَۃُ اَیۡمَانِکُمۡ اِذَا حَلَفۡتُمۡ ؕ وَاحۡفَظُوۡۤا اَیۡمَانَکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمۡ اٰیٰتِہٖ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ

তোমাদের বৃথা শপথের জন্যে আল্লাহ্ তোমাদেরকে দায়ী করবেন না, কিন্তু যেসব শপথ তোমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কর সেই সকলের জন্যে তিনি তোমাদেরকে দায়ী করবেন। এরপর এর কাফ্ফারা দশজন দরিদ্রকে মধ্যম ধরনের আহার্য দান, যা তোমরা তোমাদের পরিজনদের খেতে দাও, বা তাদেরকে বস্ত্রদান, কিংবা একজন দাস মুক্তি এবং যার সামর্থ্য নেই তার জন্যে তিনদিন সিয়াম পালন। তোমরা শপথ করলে এটাই তোমাদের শপথের কাফ্ফারা, তোমরা তোমাদের শপথ রক্ষা কর। এইভাবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে তাঁর বিধানসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেন যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।
—আল মায়িদাহ - ৮৯

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

১৮২৭৮

কুরআন ছুঁয়ে কসম করার বিধান


৪ জুলাই, ২০২৪

Mongla

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৩৭৭১২

শর্ত পূরণের আগে মানত আদায় করা যাবে?


২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

হাটহাজারী

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৩২৭৫৪

কুরআন মজিদ ছুঁয়ে কসম করা যাবে কি?


৯ এপ্রিল, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

১৪৩০৮

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি যদি কারো কাছে ওয়াদা করি সে ওয়াদা ভঙ্গ করা যদি জরুরি হয়ে পড়ে তখন ওয়াদা ভঙ্গ...

২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

বরুড়া

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy