و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
কাতার সোজা করা এবং পূর্ণ করা নামাজেরই অংশ। হাদিস শরীফে রাসূলুল্লাহ সা. এব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছেন।

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَتِمُّوا الصَّفَّ الْمُقَدَّمَ ثُمَّ الَّذِي يَلِيهِ فَمَا كَانَ مِنْ نَقْصٍ فَلْيَكُنْ فِي الصَّفِّ الْمُؤَخَّرِ " .

হজরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা সর্বাগ্রে প্রথম কাতার পূর্ণ কর, অতঃপর পর্যায়ক্রমে পরবর্তী কাতারগুলো পূর্ণ কর। যদি কোন কাতার অসম্পূর্ণ থাকে তবে তা অবশ্যই সর্বশেষ কাতার হবে।
(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং: ৬৭১ আন্তর্জাতিক নং: ৬৭১)
হাদিসের লিংকঃ https://muslimbangla.com/hadith/17094

হাদিসের ব্যাখ্যাঃ
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, প্রথমে সামনের কাতার পূর্ণ করতে হবে। অতঃপর কাতার পূর্ণ হতে যতটুকু ঘাটতি থাকে তা যেন শেষের কাতারে থাকে। হযরত জাবের বিন সামুরা রা. থেকে অপর একটি সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ স. আমাদের নিকট এসে বললেন: তোমরা কি এমনভাবে কাতারবদ্ধ হবে না, যেভাবে ফেরেশতাগণ তাঁদের রবের সামনে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়? আমরা বললাম: ইয়া রসূলুল্লাহ! ফেরেশতাগণ তাঁদের রবের সামনে কিভাবে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়? উত্তরে রসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করলেন: তারা সামনের কাতারগুলো আগে পূর্ণ করে এবং গায়ে গায়ে মিলে দাঁড়ায়। (মুসলিম: ৮৫২)

বহুতল মসজিদের ক্ষেত্রে নিচতলা থেকে মসজিদ পূর্ণ করে জামাতে শরীক হওয়া উচিত। কেননা মাঝখানে কোনো ফ্লোর ছেড়ে দিয়ে উপরের ফ্লোরে দাঁড়ানোর অর্থ হলো, সামনের কাতার ফাঁকা রেখে পেছনে দাঁড়ানো। এভাবে দাঁড়ালে যদি মুক্তাদির কাছে ইমামের নামাজের অবস্থা সম্পূর্ণ অবগতিতে থাকে তাহলে যদিও নামাজ হয়ে যাবে তবে ফোকাহায়ে কেরাম এটাকে মাকরুহ বলেছেন। কাজেই দ্বিতীয় তলা খালি রেখে তৃতীয় তলায় নামাজের ইক্তেদার করা উচিত হবে না। বরং আলোচনা সাপেক্ষে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে তৃতীয় তলার ছাত্ররা দ্বিতীয় তলায় এসে নামাজ পড়তে পারে।


‌ولو ‌قام ‌على ‌سطح ‌المسجد واقتدى بإمام في المسجد إن كان للسطح باب في المسجد ولا يشتبه عليه حال الإمام يصح الاقتداء وإن اشتبه عليه حال الإمام لا يصح. كذا في فتاوى قاضي خان وإن لم يكن له باب في المسجد لكن لا يشتبه عليه حال الإمام صح الاقتداء أيضا۔ (الفتاوى الهندية، كتاب الصلوة،الباب الخامس في بيان مقام الإمام والمأموم، ج:1، ص:88)

(‌والحائل ‌لا ‌يمنع) الاقتداء (إن لم يشتبه حال إمامه) ۔۔۔ (ولم يختلف المكان) حقيقة كمسجد وبيت في الاصح۔ (الدر المختار على صدر رد المحتار، كتاب الصلوة، باب الإمامة، ج:2،ص: 333)

ولو ‌صلى ‌على ‌رفوف ‌المسجد إن وجد في صحنه مكانا كره كقيامه في صف خلف صف فيه فرجة۔ قال ابن عابدين تحت قوله (كقيامه في صف إلخ) هل الكراهة فيه تنزيهية أو تحريمية، ويرشد إلى الثاني قوله - صلى الله عليه وسلم - " ومن قطعه قطعه الله " ط (الدر المختارعلى صدر ردالمحتار، كتاب الصلوة، باب الإمامة، ج: 1، ص:570)

سوال
اگر مسجد کے صحن میں جگہ ہو تو اس صورت میں دوسری منزل سے امام کی اقتدا میں نماز پڑھنے میں کر اہت ہے یا نہیں؟

جواب
واضح رہے کہ با جماعت نماز میں صفوں کی درستگی اور صفوں میں خالی جگہوں کو پر کرنا ضروری ہے، احادیث میں اس کی بڑی تاکید آئی ہے، لہذا اگر کوئی مسجد دو تین منزلہ ہو تو پہلے نچلی منزل کی صفیں پوری کرنا ضروری ہے، جب تک نچلی منزل میں جگہ ہو، اوپر والی منزل میں کھڑا نہیں ہونا چاہیے، اگر کوئی شخص نچلی منزل میں جگہ ہونے کے باوجوداوپروالی منزل میں امام کی اقتدا کرے اور اس پر امام کی حالت مشتبہ نہ ہوتی ہو تو اس کی نماز جائز ہو گی ۔البتہ فقہاءکرام کے ہاں یہ مکروہ تحریمی ہے؛کیونکہ نچلی منزل میں جگہ ہونے کے باوجود اوپر والی منزل میں کھڑا ہونا ایسا ہے جیسے اگلی صف میں جگہ موجود ہو اور کوئی پچھلی صف میں کھڑا ہو جائے۔

فتویٰ نمبر : 9005/297/321
دارالا فتاء جامعہ عثمانیہ پشاور
تاریخ تصدیق : 2022-01-10

والله اعلم بالصواب