و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

১. কোম্পানির প্র্রতিনিধিরা যদি সেটা কোম্পানির অনুমতি সাপেক্ষে দেয় অথবা কোম্পানি যদি তার প্রতিনিধিনের কোনো কিছু গিফট করে এবং প্রতিনিধিরা সেখান থেকে আপনাদের কিছু দেয় তাহলে সেটা গ্রহন করা আপনাদের জন্য জায়েজ হবে। তা না হলে নয়। কেননা হাদিস শরীফ আছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজের ভাষণে বলেছেন:
أَلَا لَا تَظْلِمُوا، أَلَا لَا تَظْلِمُوا، أَلَا لَا تَظْلِمُوا، إِنَّهُ لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ،

শোনে রাখ! তোমরা জুলুম করো না। শোনো! তোমরা জুলুম করো না।শোনো! তোমরা জুলুম করো না। কোন মানুষের সন্তুষ্টি ছাড়া তার সম্পদ অন্য কারো জন্য হালাল নয়।
—মুসনাদ আহমাদ ২০৬৯৫


২. উম্মতের সকল নির্ভরযোগ্য ফকীহ ও মুজতাহিদ এব্যাপারে একমত যে, প্রচলিত পাতলা মোজা যেগুলো পানি শোষণ করে, অথবা যেগুলো কোনো কিছুর সাথে না বেঁধে পায়ের ওপর রাখা যায় না, অথবা সেগুলোর মধ্যে এক বা দুই মাইল একটানা হাঁটা সম্ভব নয় এজাতীয় মোজার ওপর মাসাহ করা জায়েয নাই। যেহেতু আমাদের সময়ে প্রচলিত তুলা, উল এবং নাইলনের মোজা পাতলা, এবং সেগুলোর মধ্যে উল্লিখিত গুণাবলী নেই, তাই কোন অবস্থাতেই সেগুলির উপর মোছা জায়েয নয়। কোনো মুজতাহিদ ইমামের মতেই নয়। কাজেই যিনি এমন মোজার ওপর মাসাহ করেন তার মাসাহ সহিহ নয়। তার পেছনে ইক্তেদা করাও শুদ্ধ নয়। কাজেই তাদের পেছনে ইক্তেদা করতে পারবেন না।

ولا یجوز المسح علی الجورب الرقیق من غزل أو شعر بلا خلاف ولو کان ثخینا یمشي معہ فرسخًا فصاعدا فعلی الخلاف (البحر الرائق: 1/192، ط دیوبند) فإن کانا رقیقین یشفّان الماء لا یجوز المسح علیھما بالإجماع (بدائع: 1/83/ ط زکریا دیوبند) البتہ اگر کپڑا اتنا موٹا ہو جس میں مذکورہ اوصاف ہوں تو اس کے موزوں پر مسح جائز ہوگا۔

لاشک أن المسح علی الخف علی خلاف القیاس فلا یصح إلحاق غیرہ بہ إلا إذا کان بطریق الدّلالة وھو أن یکون في معناہ ومعناہ الساتر لمحل الفرض الذي ھو بعدد متابعة المشي فیہ في السفر وغیرہ (فتح القدیر: 1/109) وأما المسح علی الجوربین فإن کانا مجلدین أو منعلین یجزیہ بلا خلاف عند أصحابنا وإن لم یکونا مجلدین ولا منعلین فإن کانا رقیقین یشفان الماء لا یجوز المسح علیھما بالإجماع وإن کانا ثخینین لا یجوز عند أبي حنیفة وعند أبي یوسف و محمد یجوز وروي عن أبي حنیفة أنہ رجع إلی قولھما في آخر عمرہ (بدائع: 1/83، ط زکریا دیوبند)https://darulifta-deoband.com/home/ur/taharah-purity/472

৩. উপরোক্ত কাজগুলো সাধারণত খুশি প্রকাশ এবং শুকরিয়া স্বরূপ করা হয়। যদি তাতে কোনো গুনাহ কিংবা গর্হিত কাজ না থাকে এবং এজাতীয় অনুষ্ঠান করা সাওয়াবের কাজ বা অবশ্যকীয় মনে করা না হয় তাহলে তার অবকাশ আছে। তবে বাস্তবতা হলো, এজাতীয় অনুষ্ঠান অধিকাংশই লোক দেখানো কিংবা সামাজিক চাপের কারণে করা হয়ে থাকে। তাই করার আগে নিয়ত ঠিক করে নেওয়া উচিত।

والله اعلم بالصواب