আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

পিরিয়ড এবং দুই পিরিয়ডের মধ্যবর্তী সময়সীমা

প্রশ্নঃ ২৭৯৫৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কেমন আছেন হুজুর? আমার কাছে একটা প্রশ্ন ছিল আর তা হলো আমার মাসিক প্রতিমাসে নিয়মিত ৬/৭ দিন হয় কিন্তু এই মাসে মাসিক হওয়ার পর পুরাপুরি বন্ধ হয়ে যায় ৫/৬ দিন নামায আদায় করি কিন্তু আবার হঠাৎ রক্তস্রাব দেখা যায় দুপুরে তাও আবার হালকা হালকা এখন আমার প্রাশ্ন হলো আমি কি এইদিন গুলাকে মাসিক হিসেবে ধরে নামায পড়া বন্ধ করে দেব নাকি পড়বো,

৩০ জানুয়ারী, ২০২৩

৬৫৭৭+২XV

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত প্রশ্নকারী!
এই মাসে আপনার কয়দিন ব্লিডিং হয়ে বন্ধ হয়েছে সেটা উল্লেখ করার দরকার ছিল। এবারও কি ৬/৭ দিন ব্লিডিং হয়েছে? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে আপনার ওই দিনগুলোর ব্লিডিং হায়েজ হিসেবে গণ্য হয়েছে।কেননা, শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েজ (মাসিক) এর সর্বনিম্ন সময় হলো তিনদিন এবং সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো দশ দিন।

যদি তিন দিনের কম বা ১০ দিনের বেশী সময় ধরে ব্লিডিং হয় তাহলে সেটা ইস্তেহাযা বা স্বাভাবিক অসুস্থতা বলে গন্য হবে।
হাদীস শরীফে এসেছে
عن ابی امامة الباھلی قال قال رسول اللہ ۖ لایکون الحیض للجاریة والثیب الذی قد ایئست من الحیض اقل من ثلاثة ایام ولا اکثر من عشرة ایام فاذا رأت الدم فوق عشرة ایام فھی مستحاضة فمازاد علی ایام اقرائھا قضت ودم الحیض اسود خائر تعلوہ حمرة ودم المستحاضة اصفر رقیق (دار قطنی ، نمبر ٨٣٤)

অন্যত্রে এসেছে
( ٢)عن واثلة بن الاسقع قال قال رسول اللہ ۖ اقل الحیض ثلاثة ایام و اکثرہ عشرة ایام ۔(دار قطنی، کتاب الحیض ، ج اول ،ص ٢٢٥ ٨٣٦)

যার সারমর্ম হলো হায়েজ (মাসিক) এর সর্বনিম্ন সময় হলো তিন দিন,সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো দশ দিন।

আর দুই হায়েজের মধ্যবর্তী পবিত্র থাকার সর্বনিম্ম সময়সীমা হলো, ১৫ ‍দিন। কাজেই আগের ব্লিডিং বন্ধ হওয়ার ১৫ দিনের আগেই যদি আবার ব্লিডিং শুরু হয় তাহলে তা ইস্তেহাজা হিসেবে গণ্য হবে।
وأقل الطہر بین الحیضتین أو النفاس والحیض خمسة عشر یوماً ولیالیہا إجماعاً (درمختار: ۱/۴۷۷، ط: زکریا دیوبند) والناقص عن أقلہ والزائد علی أکثرہ أو أکثر النفاس أو علی العادة وجاوز أکثرہما ․․․․․․ استحاضة ۔ (المصدر السابق)

উল্লেখ্য, উভয় ব্লিডিং যদি দশ দিনের মধ্যেই সম্পন্ন হয়ে যায় তাহলে ওই দশদিন হায়েজ হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ প্রথম যেদিন ব্লিডিং শুরু হয়েছে সেদিন থেকে নিয়ে দ্বিতীয় ব্লিডিংয়ের ধারা যদি দশম দিন অতিক্রম করে তাহলে সেখান থেকে প্রথম দশদিন হায়েজ হিসেবে গণ্য হবে। তার পরবর্তী দিনগুলো ইস্তিহাজা হিসেবে গণ্য হবে।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩২৯৯০

স্বামীকে অসম্মান করে ডাকা


১২ মে, ২০২৩

খুলনা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৩৪৯২৮

ইংলিশ কনভারসেশনের সময় মেয়েদের ভয়েস ছেলেরা শোনা


৮ জুলাই, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩৪৮৫৮

মেয়েরা মোটর সাইকেল চালাতে পারবে?


১৮ জুন, ২০২৩

বিয়ানীবাজার

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৩৪৮৩০

ভ্রু প্লাক করেছে এমন গর্ভবতী মায়ের প্রতি উপদেশ


১৪ জুন, ২০২৩

নারায়নগঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy