আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

অনিয়মিত হায়েযের একটি মাসআলা ও চিকিৎসা

প্রশ্নঃ ৩৫৭১৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হুজুর, আমি বিবাহিত আমার অনিয়মিত হায়েজ হয়। মাসে অনেক সময় ৮/১০/১২ দিন পরও হায়েজ হয়। আমার নিচে কিছু প্রশ্ন আছে দয়া করে উওর দিবেন ১/ আমি কোন সময় নামাজ পড়তে পারবো? ২/আমি ১৩/১৪ বছর যাবত ডাক্তার দেখাইছি কিছুতে এটা আমার ঠিক হচ্ছে না সেক্ষেত্রে আমি কি আমল করতে পারি? ৩/কোন সময়টুকু আমার জন্য সহবাস করা জায়েজ হবে? ৪/ আমি ইউটিউবে দেখলাম সুরা বাকারার একটা আয়ত লিখে পেটে রাখতে বলেছে। হায়েয কমার জন্য সেক্ষেত্রে কি আমি ওই আয়াত পেটে রাখা অবস্থায় বাথরুমে যেতে পারবো?,

২০ জুলাই, ২০২৩

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


এক.
আপনার যে দিন থেকে রক্তস্রাব আরম্ভ হয় সে দিন থেকে দশ দিন দশ রাত হায়েয ধরবেন এবং পরের বিশ দিন ইস্তেহাযা ধরবেন। এভাবে প্রত্যেক মাসে দশ দিন হায়েয এবং বিশ দিন ইস্তেহাযা হিসাব করবেন।
যে দিনগুলোকে আপনি হায়েয ধরবেন ওই দিনগুলোতে সহবাস করতে পারবেন না। অবশিষ্ট দিনগুলোতে পারবেন। (বেহেশতী জেওর ২/২৩৬)
দুই.
আপনি নিম্নের দোয়াগুলো অধিকহারে পড়ুন। ইন শা আল্লাহ, সুস্থ হয়ে যাবেন।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الصِّحَّةَ ، وَالْعِفَّةَ ، وَالأَمَانَةَ ، وَحُسْنَ الْخُلُقِ ، وَالرِّضَا بِالْقَدَرِ
‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে সুস্থতা, পবিত্রতা, আমানতদারিতা, চরিত্রমাধুর্য এবং তাকদীরের প্রতি সন্তুষ্টি কামনা করি।’ (কানযুল উম্মাল ২/৩৬৫০)
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْبَرَصِ وَالْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئْ الْأَسْقَامِ
‘হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাইছি আপনার কাছে শ্বেতকুষ্ঠ, উম্মাদ রোগ, কুষ্ঠ রোগ ও তামাম খারাপ ব্যধি থেকে।’ (আবূ দাঊদ ১৫৫৪)
পাশাপাশি মাঝে মাঝে মধুর শরবত পান করুন। কেননা মধু মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সাধারণত পুষ্টি উপাদান হিসাবে ফুলের পরাগের মধুতে থাকে ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ৫-১২ শতাংশ মন্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ থাকে। সুধু তাই নয় আরো থাকে ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ, ২২ শতাংশ অ্যামাইনো এসিড এবং ১১ ভাগ এনকাইম। এতে সাধারণত কোন চর্বি ও প্রোটিন নেই। প্রতি ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ গ্রাম ক্যালরি। সূত্র-ehaspatal.com)
আল্লাহ তাআলা বলেন,
فيه شفاءٌ للنّاس
‘এতে (মধু) মানুষের জন্য রয়েছে রোগের প্রতিকার।’ (সুরা নাহল ৬৯)
তিন.
কুরআনের আয়াত লিখিত কাগজটি দৃশ্যমান অবস্থায় হাম্মামে (টয়লেটে) নিয়ে যাওয়া জায়েয নয়। কিন্তু জামা বা কাপড়ের নীচে থাকলে যেহেতু তা আবৃত থাকে তাই এ অবস্থায় প্রবেশ করা নাজায়েয হবে না। ( ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া ১৫/৫১)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী
সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর
খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

১৯৪৫০

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম।কি কি লক্ষন দেখলে বুঝব যে আমি বদনজরে আক্রান্ত?

২০ জুলাই, ২০২২

নারায়ণগঞ্জ ১৪০০

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোঃ ইমদাদুল হক

২৬২৯৩

তাবিজ ব্যবহার কি জায়েয?


৭ ডিসেম্বর, ২০২২

মাথাভাঙ্গা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

১২৩৪২

হিজামা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?


১৬ জুন, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy