আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২৭৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, এক ব্যক্তি মাগরিবের নামায ওয়াক্তের ভেতর পড়তে পারেনি। এশার সময় এক মসজিদে জামাতের সাথে এশার নামায পড়ে নেয়। তখন তার মাগরিবের নামাযের কথা স্মরণ ছিল। কিন্তু যেহেতু এশার জামাত দাঁড়িয়ে যায় তাই মাগরিবের কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও সে এশার জামাতে শরিক হয়ে যায়। আর অতীতেরও তার কোনো নামায কাযা নেই। এখন ঐ ব্যক্তির করণীয় কী? সে কি এখন মাগরিবের কাযা আদায় করে নেবে? বিস্তারিত জানতে চাই।  

২৮ অক্টোবর, ২০২০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মাগরিবের কাযা নামাযের কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও ঐ ব্যক্তির এশার জামাতে শরিক হওয়া এবং তা পড়া সহীহ হয়নি। তাই তার করণীয় হল, মাগরিবের কাযা নামাযটি পড়ে উক্ত এশার নামায পুনরায় পড়ে নেওয়া। কেননা যার পেছনের কোনো নামায কাযা নেই তার যদি কোনো ওয়াক্ত নামায কাযা হয়ে যায়, তবে তার জন্য পরবর্তী ওয়াক্তের নামায পড়ার আগে ঐ কাযা নামায আদায় করা জরুরি। কাযা আদায় করতে গিয়ে জামাত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা হলেও তাকে আগে কাযাই আদায় করতে হবে। কিন্তু সময় স্বল্পতার দরুন কাযা আদায় করতে গিয়ে যদি পরবর্তী ওয়াক্তের ফরয ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা হয় তখন ওয়াক্তের নামায আগে পড়ে নিতে হবে।

হাদীস শরীফে আছে, আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনÑ

مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَذَكَرَهَا مَعَ الْإِمَامِ فَلْيُصَلّهِ مَعَهُ ثُمّ لِيُصَلّ الّتِي نَسِيَ  ثُمّ لِيُصَلّ الْأُخْرَى بَعْدَ ذَلِكَ.

যে ব্যক্তি কোনো ওয়াক্তের নামায (ওয়াক্তের ভেতর) পড়তে ভুলে গেছে, অতপর ইমামের পেছনে (পরবর্তী ওয়াক্তের) নামায পড়ার সময় তার ঐ নামাযের কথা স্মরণ হয় তাহলে সে ইমামের সাথে নামাযটি পড়ে নিবে। এরপর যে নামাযটি পড়তে ভুলে গিয়েছিল (অর্থাৎ কাযা নামায) তা আদায় করবে। অতপর ইমামের সাথে যে নামাযটি পড়েছে (অর্থাৎ বর্তমান ওয়াক্তের ফরয নামায) তা আবার পড়ে নিবে। (শরহু মাআনিল আসার, তহাবী, হাদীস ২৬৮৪; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ২২৫৪)

এ হাদীসটি বর্ণনা করার পর ইমাম তহাবী রাহ. বলেনÑ

وَقَوْلُهُ "فَلْيُصَلِّهِ مَعَهُ" فَذَلِكَ مُحْتَمَلٌ عِنْدَنَا أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ عَلَى أَنّهَا لَهُ تَطَوّعٌ.

অর্থাৎ ইমামের সাথে যে নামাযটি পড়েছে আমাদের নিকট সেটি তার জন্য নফল হিসেবে গণ্য হবে।


والله اعلم بالصواب

মাসিক আলকাউসার
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#১৩৩৬৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
মুহতারাম, আমি কখন বালেগ হয়েছি তা বলতে পারি না, তবে নিয়মিত নামাজ পড়ি 6/7 বছর থেকেই, কোন নামায কাযা হয়না, তবে একটি কথা, আমি জানি নামাজ সহীহ হওয়ার জন্য নিয়াত করা ফরয। নিয়ত না করলে নামায হয় না।
তাই আমার প্রশ্ন হল, নামাজের সময় নিয়াত অবশ্যই করেছি, কিন্তু আমার উপর নামাজ ফরজ হয়েছে কিনা তা জানা না থাকার কারণে এমনি সাধারণ নামাজের নিয়ত করেছি, আমার উপর যে এই নামাজ ফরজ সেভাবে নিয়ত করিনি। আমার নামাজ কি হয়েছে? আমি বালেগ হয়েছি একথা জানার পূর্বে যে নামায রোযা গুলো আদায় করেছি তা কি আদায় হয়েছে? নাকি তা পুনরায় আদায় করতে হবে? নিয়ত সহীহ হওয়ার জন্য ফরজ হওয়ার কথা জানা থাকা কি জরুরী? সাধারণ নিয়ত করলেই যথেষ্ট?
খুবই দ্রুত জানালে উপকৃত হব। আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
খুলনা