আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

রসিকতার বিবাহ

প্রশ্নঃ ২৬৭৮৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হুজুর, আমি একজন মুফতি সাহেবের কাছে শুনেছি যে ৩টি জিনিষ মজা করে বললেও নাকি হয়ে যায়।তার মধ্যে ১টি হলো বিয়ে। আমি যতটুকু জানি বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেওয়া এবং গ্রহণ করা।আর সাক্ষী থাকা জরুরি।এখন প্রশ্ন হলো গ্রামে গঞ্জে দেখা যায় যে, অনেক মুরুব্বীরা ফাইজলামি করে বলে আমি তোকে বিয়ে করলাম , ওই সময় কেউ যদি ওই মেয়েও ফাইজলামি করে বলে যে ঠিক আছে আমি রাজি এবং সেখানে কয়েকজন মানুষ উপস্থিত ছিল। তাহলে এই অবস্থায় তাদের কি বিয়ে হয়ে যাবে.? আরেকটি প্রশ্ন হলো যখন আমরা ছোট থাকি তখন তো আমাদের অভিভাবক আমাদের পিতামাতা থাকেন তো তারা যদি এভাবে ফাইজলামি করে কারো সাথে বিয়ে দিয়ে দেন তাহলে কি বিয়ে হয়ে যাবে.?

৪ জানুয়ারী, ২০২৩
২FMP+XHH

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


হাসি-ঠাট্টা করে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে বিবাহের প্রস্তাব করf এবং কবুল বলার দ্বারাও বিবাহ হয়ে যায়। তিরমিযী শরীফের এক বর্ণনায় এসেছে হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন-

ثَلَاثٌ جِدّهُنّ جِدّ وَهَزْلُهُنّ جِدّ: النِّكَاحُ وَالطّلَاقُ وَالرّجْعَةُ.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি বিষয় এমন, যা স্বাভাবিকভাবে করলেও কার্যকর হয় এবং ঠাট্টাচ্ছলে করলেও কার্যকর হয়। ১. নিকাহ। ২. তালাক এবং ৩. তালাক (রাজয়ী) দেওয়ার পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১১৮৪)

তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উপস্থিত লোকদের সামনে ঐভাবে ইজাব কবুলের কথা বলার দ্বারা তাদের বিবাহ হয়ে যাবে। অনুরূপভাবে অভিবাবকদের কথায়ও যদি কেউ সাড়া দেয় এবং সেখানে অন্তত দুইজন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা থাকে তাহলে তাদেরও বিবাহ হয়ে যাবে। পরবর্তী ঐ মেয়েকে অন্যত্র বিবাহ দিতে হলে প্রথমে যার সাথে রসিকতা করে বিবাহ দেওয়া হয়েছিল তার থেকে তালাক নিতে হবে। অন্যথায় অন্যত্র বিবাহ দেওয়া জায়েয হবে না। আর এই জাতীয় বিবাহের পর তাদের যেহেতু নির্জনবাস হয়নি তাই ইদ্দতের প্রয়োজন হবে না। তালাকের পরপরই মেয়েটি অন্যত্র বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
বিবাহ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। এ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা বা এটাকে রসিকতার মাধ্যম বানানো অন্যায়। এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

-ফাতহুল কাদীর ৩/১১০; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩২৭; রদ্দুল মুহতার ৩/১১; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৪/১৩; মাজমাউল আনহুর ১/৪৬৯

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন