আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

কাঁকড়া খাওয়া যাবে কি?

প্রশ্নঃ ২৫৯৬৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মুহতারাম, আমার জানার বিষয় হল কাকড়া খাওয়া জায়েজ কিনা?

৩০ নভেম্বর, ২০২২
Riyadh ১৪৩২৫

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


কাঁকড়া খাওয়া জায়েয নেই। কেননা, জলজ প্রাণীর মধ্য থেকে মাছই একমাত্র উৎকৃষ্ট হালাল বস্তু, আর বাকিগুলো নিকৃষ্ট ও হীন বস্তু বিধায় জলজ প্রাণীর মধ্য থেকে মাছ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী খাওয়া জায়েয নেই। (তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ৩/৫১১)
প্রমাণ--
প্রথমত, এগুলো কোরআনে বর্ণিত ‘খাবায়েস’ (নোংরাবস্তু) এর অন্তর্ভুক্ত’!
وَيُحَرِّمُ عَلَيهِمُ الخَبائِثَ
‘খাবায়েস নিষিদ্ধ‘। (আলআরাফ ১৫৭)।
‘খাবায়েস’ বলা হয়,
كل ما يستخبثه الطبع
অর্থাৎ, যা মানুষ স্বভাবত ঘৃণা করে। (দ্রঃ তাফসীরে কাবীর, অাযওয়াউল বায়ান, আললুবাব, আলহাবী সংশ্লিষ্ট আয়াত)। আর মাছ ছাড়া অন্যান্য জলজ প্রাণীকে মানুষ স্বভাবতই ঘৃণা করে। সুতরাং সেগুলোও নিষিদ্ধ।
দ্বীতিয়ত, এ ধরণের জলজ প্রাণী রাসূলুল্লাহ ﷺ ও সাহাবায়ে কেরাম খেয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না। অধিকন্তু হাদীসে এসেছে,
انَّ طَبِيبًا سَأَلَ النَّبِيَّ ﷺ عَنْ ضِفْدَعٍ يَجْعَلُهَا فِي دَوَاءٍ فَنَهَاهُ النَّبِيُّ ﷺ عَنْ قَتْلِهَا
অর্থাৎ, আব্দুর রহমান বিন উসমান রাযি. থেকে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ ﷺ জনৈক চিকিৎসককে ব্যাঙ মেরে ওষুধ বানাতে নিষেধ করেছিলেন। (আবু দাউদ ৩৮৭১)। অথচ ব্যাঙ জলজ প্রাণী!
তৃতীয়ত, আবদুল্লাহ ইবনে উমার রাযি. থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
أحلت لنا ميتتان ودمان فأما الميتتان فالحوت والجراد وأما الدمان فالكبد والطحال
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের জন্য দু’ প্রকারের মৃত জীব ও দু’ ধরনের রক্ত হালাল করা হয়েছে। মৃত জীব দু’টি হলো মাছ ও টিড্ডি এবং দু’ প্রকারের রক্ত হলো কলিজা ও প্লীহা। (ইবনে মাজাহ ৩৩১৫, আহমাদ ৫৬৯০, দারাকুতনী ৪৬৮৭, শারহুস সুন্নাহ ২৮০৩। সনদ সহিহ।)

والله اعلم بالصواب

শাইখ উমায়ের কোব্বাদী সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন