আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

খেলা দেখার বিধান কি?

প্রশ্নঃ ২৫৮৪৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, খেলা দেখার বিধান কি?

২৭ নভেম্বর, ২০২২
নামবিহীন রাস্তা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মুহতারাম! বর্তমান যুগে খেলা দেখা জায়েয নেই। কেননা এর মাঝে বেশ কিছু খারাপ দিক রয়েছে, যেমন–
১. পর্দাহীনতা ছাড়া বর্তমান যুগে কোনো খেলা নেই বললেই চলে। অথচ পর্দা একটি ফরজ বিধান। আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ – وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। (সূরা নূর ৩০,৩১)
২. এতে সময়ের অপচয় হয়। আর সময়ের অপচয় করা গুনাহ। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
نعمتانِ مغبونٌ فيهما كثيرٌ منَ النَّاسِ الصِّحَّةُ والفراغُ
এমন দু’টি নিয়ামত আছে যে ব্যাপারে অধিকাংশ লোক ধোঁকায় পতিতঃ সুস্বাস্থ্য ও সময় বা অবসর। (সহীহ বুখারী ৬৪১২)
৩. খেলা এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং এর সাথে যত পাপাচার ও বেহায়াপনা যুক্ত হয়েছে তাতে আল্লাহর কাছে দায়মুক্তির জন্য অবশ্যই কথা ও কাজে খেলার সাথে সর্বপ্রকার সম্পর্কহীনতা পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করা আবশ্যক। যে কারো দল ভারি করে সে তাদের মধ্যেই গণ্য হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا، لَا تَشَبَّهُوا بِاليَهُودِ وَلَا بِالنَّصَارَى
যে অন্য সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য বা মিল রেখে চলে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়, তোমরা ইয়াহূদী ও নাসারাদের সাথে সাদৃশ্য রেখো না। (তিরমিযী ২৬৯৫)
৪. খেলা দেখা খেলার মধ্যে ডুবে থাকার প্রতি ইঙ্গিত করে। অথচ আল্লাহ তাআলার ভাষায়; এটা মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য। মুনাফিকরা বলত,
إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلُعَبُ
আমরা তো কথার কথা বলছিলাম এবং খেলা করছিলাম। (সূরা তাওবা ৬৫)
এ কারণেই রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لَسْتُ مِنْ دَدٍ، وَلاَ الدَّدُ مِنِّي بِشَيْءٍ، يَعْنِي‏:‏ لَيْسَ الْبَاطِلُ مِنِّي بِشَيْءٍ‏
আমি খেল-তামাশা পছন্দ করি না এবং খেল-তামাশারও আমার সাথে কোন সম্পর্ক নাই। অর্থাৎ আমার সাথে বাতিলের কোন সম্পর্ক নাই। (আল আদাবুল মুফরাদ ৭৯০)
তাই যারা আল্লাহকে ভয় করি, আখিরাতের ফিকির করি, আল্লাহর সামনে হাজির হওয়ার উপর ঈমান রাখি আমাদেরকে অবশ্যই এ খেলা দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ তাওফীক দান করুন। আমীন।

والله اعلم بالصواب

শাইখ উমায়ের কোব্বাদী সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন