আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

তাকবীরে তাহরীমা সবার বলা ফরয

প্রশ্নঃ ২৫৮২৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি জানতে চাই, জামায়াতে নামায আদায়ের সময় ইমামের সাথে আমাদেরও কি তাকবীর অর্থাৎ, "আল্লাহু আকবার" বলতে হবে। আর রুকু থেকে উঠার সময়ও কি ইমামের সাথে আমাদেরও "সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলতে হবে।,

২৭ নভেম্বর, ২০২২

যশোর

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


যখন নামাজ শুরু করা হবে, তখন প্রথম তাকবীরকে "তাকবীরে তাহরীমা" বলে। তাকবীরে তাহরীমা দেওয়া ইমাম এবং মুক্তাদী সবার জন্য ফরজ। যদি কোন ব্যক্তি তাকবীরে তাহরিমা না দেয়, তাহলে তার নামাজ হবে না। তাই ইমাম সাহেবের সাথে মুক্তাদিরও তাকবীরে তাহরীমা মুখে উচ্চারণ করা অবশ্য কর্তব্য। তা না করলে নামাজ হবে না।
কিন্তু রুকু থেকে উঠার সময় সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা মুক্তাদিরা বলবে না। এটি শুধু ইমাম সাহেব বলবেন। মুক্তাদীরা আস্তে আস্তে বলবে রাব্বানা লাকাল হামদ।
أخبرنا قتيبة، قال حدثنا بكر بن مضر، عن ابن عجلان، عن علي بن يحيى الزرقي، عن أبيه، عن عمه، رفاعة بن رافع وكان بدريا قال كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم إذ دخل رجل المسجد فصلى ورسول الله صلى الله عليه وسلم يرمقه ولا يشعر ثم انصرف فأتى رسول الله صلى الله عليه وسلم فسلم عليه فرد عليه السلام ثم قال " ارجع فصل فإنك لم تصل " . قال لا أدري في الثانية أو في الثالثة قال والذي أنزل عليك الكتاب لقد جهدت فعلمني وأرني . قال " إذا أردت الصلاة فتوضأ فأحسن الوضوء ثم قم فاستقبل القبلة ثم كبر ثم اقرأ ثم اركع حتى تطمئن راكعا ثم ارفع حتى تعتدل قائما ثم اسجد حتى تطمئن ساجدا ثم ارفع رأسك حتى تطمئن قاعدا ثم اسجد حتى تطمئن ساجدا فإذا صنعت ذلك فقد قضيت صلاتك وما انتقصت من ذلك فإنما تنقصه من صلاتك " .

১০৫৬। কুতায়বা (রাহঃ) ... রিফাআ ইবনে রাফি বদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল এবং নামায আদায় করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে দেখছিলেন। কিন্তু সে তা টের পায়নি। সে নামায শেষ করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে তাঁকে সালাম করলে তিনি তার সালামের জওয়াব দিয়ে বললেন, যাও পুনরায় নামায আদায় কর। কেননা, তুমি নামায আদায় করনি। তিনি (রাবী) বলেন, আমার স্মরণ নেই, দ্বিতীয়বার কিংবা তৃতীয়বারে সে ব্যক্তি বলল, ঐ সত্তার শপথ! যিনি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। আমি তো খুব চেষ্টা করলাম। অতএব, আমাকে শিখিয়ে দিন এবং দেখিয়ে দিন।

তিনি বললেন, যখন তুমি নামায আদায় করতে ইচ্ছা করবে তখন উত্তমরূপে শুরু করবে। তারপর তুমি কিবলার দিকে মুখ করবে। তারপর তাকবীর বলবে, এরপর কুরআন পড়বে, তারপর রুকু করবে ধীরস্থিরভাবে। তারপর মাথা তুলে সোজা দাঁড়িয়ে যাবে। এরপর সিজদা করবে স্থিরভাবে, তারপর মাথা তুলে স্থিরভাবে বসে পড়বে। আবার সিজদা করবে স্থিরভাবে। যখন তুমি এরূপ করলে তখন তুমি তোমার নামায পুর্ণ করলে। তা থেকে যতটুকু কম করলে, ততটূকু তোমার নামায থেকে কম করলে।

—সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ১০৫৩

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম
খতীব, বাইতুল মামুর জামে মসজিদ, মিরাশপাড়া গাজীপুর

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৮৮৯৯২

ভুলে প্রথম বৈঠকে সালাম


১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

আড়াইহাজার

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৬৬৫১৬

জুমার নামাজে ওয়াজিব ছুটে গেলে করণীয়


৫ জুলাই, ২০২৪

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৬৬৪৩৯

কয় বছর বয়সে নামাজ ফরজ হয়?


৪ জুলাই, ২০২৪

WFFJ+৭৬৯

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৪৯৫০৮

ওজর ছাড়া সুন্নত নামাজ বসে পড়ার বিধান


২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy