আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

মুখের থুথু বা কফ এবং নাকের শ্লেষ্মা বা ময়লা পাক না নাপাক?

প্রশ্নঃ ২৫১৮৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, প্রিয় মুফতি সাহেব হুজুর আপনার কাছে আমার জানার বিষয় হচ্ছে গালের কফ এবং নাকের ময়লা এটা পবিত্র নাকি নাপাক এবং কাপড়ে লাগলে তার হুকুম কি ওই স্থান ধৌত করা লাগবে কিনা এবং কতটুকু লাগবে ধৌত করতে হবে?

১৬ নভেম্বর, ২০২২
চৌগাছা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মানুষের মুখের থুথু বা কফ পাক। অতএব তা শরীর বা অন্য কোনো স্থানে লেগে গেলে তা নাপাক হবে না। (ফাতহুল বারী ১/৪২০; আলবাহরুর রায়েক ১/৩৫; আদ্দুররুল মুখতার ১/৩০৫)
হাদিস শরিফে এসেছে, আবু হুরায়রা রাযি. ও আবু সাঈদ রাযি. থেকে বর্ণিত,
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ رَأَى نُخَامَةً فِي جِدَارِ الْمَسْجِدِ، فَتَنَاوَلَ حَصَاةً فَحَكَّهَا فَقَالَ ‏ “‏ إِذَا تَنَخَّمَ أَحَدُكُمْ فَلاَ يَتَنَخَّمَنَّ قِبَلَ وَجْهِهِ وَلاَ عَنْ يَمِينِهِ، وَلْيَبْصُقْ عَنْ يَسَارِهِ أَوْ تَحْتَ قَدَمِهِ الْيُسْرَى
রাসূলুল্লাহ ﷺ মসজিদের দেয়ালে কফ দেখে কাঁকর নিয়ে তা মুছে ফেললেন। অতঃপর তিনি বললেন, তোমাদের কেউ যেন সামনের দিকে অথবা ডান দিকে কফ না ফেলে, বরং সে যেন তা তার বাম দিকে অথবা তার বাম পায়ের নীচে ফেলে। (সহীহ বুখারী ৪১০)
অনুরূপভাবে মানুষের নাকের শ্লেষ্মা বা ময়লা নাপাক নয়। অতএব তা শরীর বা অন্য কোনো স্থানে লেগে গেলে তা নাপাক হবে না। (আলবাহরুররায়েক ১/৩৫)
হাদিস শরিফে এসেছে, আম্মার ইবনে ইয়াসির রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ –ﷺ – وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ ” يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ
রাসূল ﷺ আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কী করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেন, হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজন: বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান। (সুনানে দারাকুতনী ৪৫০)
তবে এগুলো নাপাক না হলেও যেহেতু ইসলাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাজাত ধর্ম। তাই কোথাও এগুলো লাগলে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত।

والله اعلم بالصواب

শাইখ উমায়ের কোব্বাদী সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন