و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
আমাদের জানামতে উস্তাদে মুহতারাম হযরত মাওলানা আবুসাবের আব্দুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ এর কর্তৃক লিখিত এবং মাকতাবাতুল আযহার থেকে প্রকাশিত “শামায়েলে তিরমিজির ব্যাখ্যাগ্রন্থটিই সব থেকে ভালো। তাই আপনি সেটি সংগ্রহ করে অধ্যয়ন করতে পারেন। দেশের যেকোনো অভিজাত লাইব্রেরীতেই কিতাবটি পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। এছাড়াও আপনি সেটা অনলাইনেও সংগ্রহ করতে পারেন। নিচে আমরা তার লিংক দিয়ে দিচ্ছি।
HTTPS://WWW.ROKOMARI.COM/BOOK/98353/SHAMAELE-TIRMIJI-PURNANGO-BANGLA-SORAH
প্রিয় ভাই! আপনার প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশটি ছিল যে, “রাসুল সাঃ আর শামায়েল তিরমিজি পড়লে কেমন সাওয়াব হবে”?
এব্যাপারে কথা হচ্ছে শামায়েলে তিরমিজি হাদিসের অন্তর্ভূক্ত।যাকে শাস্ত্রীয় পরিভাষায় ওয়াহিয়ে গায়ের মাতলু বলা হয়। কুরআনুল কারিম হলো ওয়াহিয়ে মাতলু। তাই কুরআনের প্রতিটি হরফ পড়ার সাথে অকাট্যভাবে সাওয়াবের ওয়াদা যুক্ত আছে। কিন্তু হাদিস যেহেতু কুরআনের ন্যায় মাতলু নয় তাই এর সাথে অকাট্য সাওযাবের বিষয়টি সম্পৃক্ত নয়। বরং ওলামায়ে কেরামের মাঝে এটি নিয়ে দ্বিমত আছে যে, স্বতন্ত্রভাবে হাদিস তেলাওয়াত/পাঠ করলে কোনো সাওয়াব হবে কি না।যদিও হাদিসের পাঠ/অধ্যয়ন এবং তাতে নির্দেশিত বিধিবিধান পালন কিংবা বর্জন করা অবশ্যক!! শামায়েলে তিরমিজিও এই বিধানের বহির্ভূত নয়।

وكذلك، فإن القرآن الكريم متعبد بتلاوته قطعًا، بخلاف الأحاديث النبوية، فالتعبد بقراءتها محل خلاف بين العلماء، جاء في ألفية السيوطي وشرحها للأثيوبي: 606ـ وهل يثاب قارئ الآثار ... كقارئ القرآن: خلف جاري ـ وهل يثاب ويؤجر قارئ الآثار أي: الأحاديث النبوية، وبالأولى الموقوفات، وكذا سامعها من غير قصد الحفظ، ونحوه، كقارئ القرآن، أي: كما يثاب قارئ القرآن من حيث أصل الثواب، وإلا فثواب القرآن بكل حرف بخلاف غيره، خلف بالضم أي: اختلاف، مبتدأ سوغه كونه موصوفًا بمحذوف، أي بين العلماء، وقوله: جاري خبره.

وحاصل معنى البيت: أنه جرى اختلاف بين العلماء في أن قارئ الحديث مجردًا يثاب كقارئ القرآن أولا؟ فقال الشيخ أبو إسحاق: إن قراءة متونها لا يتعلق بها ثواب خاص لجواز روايتها بالمعنى، واستظهره ابن العماد الأقفهسي، قال: وإذا كانت قراءته المجردة لا ثواب فيها لم يكن في استماعه المجرد ثواب بالأولى، وقال بعضهم: بالثواب على ذلك، واستوجهه المحقق ابن حجر الهيتمي قال: لأن سماعها لا يخلو من فائدة، ولو لم يكن إلا عود بركته على القارئ والمستمع، وقلنا: مجردًا؛ لأنه لو قصد بقراءته، أو سماعه الحفظ، وتعلم الأحكام والصلاة على النبي صلى الله عليه وسلم، واتصال السند لا خلاف في ثوابه

কোনো কোনো ওলামায়ে কেরাম হাদিসের বাক্য পাঠে সাওয়াব না থাকার কথা উল্লেখ করেছে। কেউ কেউ এই বিষয়ে নিরবতা অবলম্বন করেছেন।এবং তারা এটাকেই উত্তম মনে করেছেন। তবে ওপরোক্ত দুই শ্রেণীর ওলামায়ে কেরাম ছাড়াও অন্যান্য উলামায়ে কেরামের দৃষ্টিতে হাদিসের শব্দ পাঠে সাওয়াব পাওয়ার কথা উল্লেখ হয়েছে।ইমাম ইবনে হাজার আল হাইতামি রহ. এটাকে অধিক পছন্দ করেছেন। কেননা হাদিসের (পাঠ এবং) শ্রবণ নির্থক নয়। অন্তত তার বরকত পাঠক এবং শ্রোতা উভয়ের দিকেই প্রত্যানিত হবে।

তাছাড়া হাদিস পাঠের মাধ্যমে যাদি উদ্দেশ্য হয় হাদিস সংরক্ষণ করা, তাতে বর্ণিত বিধানাবলী শিক্ষা করা এবং রাসূলুল্লা সা. এর ওপর দুরুদ পাঠ করা ইত্যাদী। তাহলে তার সাওয়াবের ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই।

এমনিভাবে কেউ যদি রাসূলুল্লাহ সা. এর শামায়েল এই নিয়তে অধ্যয়ন করে যে এর মাঝে যেগুলোর ওপর আমল করা মানুষের দ্বারা সম্ভব সেগুলোতে সে আমল করবে তাহলে নিঃসন্দেহে সাওয়াবের অধিকারী হবে।

والله اعلم بالصواب