আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

কয়েক ওয়াক্তের নামাজ একসাথে আদায়

প্রশ্নঃ ২৪৮৫৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসী। আমাকে স্থানীয় সময় রাত ৯ টা থেকে সকাল ১১ টা পর্যন্ত ডিউটি করতে হয়। ডিউটি অবস্থায় আমি ফজরের নামাজ পড়ি আলহামদুলিল্লাহ্। কিন্তু বাসায় গিয়ে খেয়ে ঘুমাতে হয়। এমন সময় ঘুমানোর জন্য পাই যে, নামাজের জন্য বার বার উঠতে গেলে আমার পক্ষে ঘুমানো কঠিন হবে। কারণ আমার সহজে ঘুম আসে না। আর এভাবে হলে আমার পক্ষে রাতে ডিউটি করা প্রায় অসম্ভব হবে। এমতাবস্থায় আমি যদি এশার নামাজের আগে যোহর, আসর মাগরিব এই তিন ওয়াক্তের নামাজ প্রতিদিন কাজা পড়ি তাহলে কোনো সমস্যা হবে কিনা?

১৯ নভেম্বর, ২০২২
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত ভাই!
আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমে সুরা নিসার ১০৩ নং আয়াতে ইরশাদ করেন,
إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا
নিশ্চয়ই সালাত মুসলিমদের এক অবশ্য পালনীয় কাজ নির্ধারিত সময়ে। ওয়াক্ত মতো নামায আদায় করা ফরয। ঈমানের পর নামাযের প্রতি জীবনের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিজ্ঞা থাকলে হবে যেন এক ওয়াক্ত নামাজও কাজা হয়ে না যায়। কেননা নামাজ কাযার শাস্তি বড় ভয়াবহ। আল্লাহ তায়ালা আমাদের হেফাজত করুন।

আপনার জন্য পরামর্শ: প্রয়োজনে এবং সম্ভব হলে আপনি নাইট ডিওটি পরিবর্তন করুন।এর জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া কান্নাকাটি করুন। সাধ্যমতো সদকা করুন। তারপরও সম্ভব না হলে আপনি আপাতত বাসায় এসে আওয়াল ওয়াক্তে যোহর পড়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। মোবাইলে এলার্ম সেট করে রাখুন। আসরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার অন্তত ত্রিশ মিনিট পূর্বে ওঠে তারপর আসর পড়ুন তারপর ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে মাগরিব পড়ে পুণরায় ঘুমিয়ে পড়ুন। এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে আশা করি আপনার ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটবে না এবং নামাজ কাজাও হবে না ইনশাআল্লাহ। এরপরও যদি কাজা হয়ে যায় তাহলে এশার পূর্বে আদায় করে নিন। আল্লহ তায়ালা আমাদের সহায় হোন। আমিন

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#১৩৩৬৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
মুহতারাম, আমি কখন বালেগ হয়েছি তা বলতে পারি না, তবে নিয়মিত নামাজ পড়ি 6/7 বছর থেকেই, কোন নামায কাযা হয়না, তবে একটি কথা, আমি জানি নামাজ সহীহ হওয়ার জন্য নিয়াত করা ফরয। নিয়ত না করলে নামায হয় না।
তাই আমার প্রশ্ন হল, নামাজের সময় নিয়াত অবশ্যই করেছি, কিন্তু আমার উপর নামাজ ফরজ হয়েছে কিনা তা জানা না থাকার কারণে এমনি সাধারণ নামাজের নিয়ত করেছি, আমার উপর যে এই নামাজ ফরজ সেভাবে নিয়ত করিনি। আমার নামাজ কি হয়েছে? আমি বালেগ হয়েছি একথা জানার পূর্বে যে নামায রোযা গুলো আদায় করেছি তা কি আদায় হয়েছে? নাকি তা পুনরায় আদায় করতে হবে? নিয়ত সহীহ হওয়ার জন্য ফরজ হওয়ার কথা জানা থাকা কি জরুরী? সাধারণ নিয়ত করলেই যথেষ্ট?
খুবই দ্রুত জানালে উপকৃত হব। আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
খুলনা