আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ইসলামের ড্রেসকোড

প্রশ্নঃ ২৪৪৯৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হুজুর, আমি কালো রঙ পছন্দ করি আমার ব্যাবহৃত প্রায় সব জিনিসই কালো রঙের,,,তো recently, একজন বিজ্ঞ আলেম, যিনি পাকিস্থানের করাচি তে পড়াশোনা করেছেন,,আমাকে দেখে বললেন তুমি কালো পোশাক কেনো পরেছো এটা তো জাহান্নামীদের পোশাক! এবং শিয়া সম্প্রদায় কলো ব্যাবহার করে..এখন,আমার প্রশ্ন হলো,মেয়েরা সম্পূর্ণ কালো রঙের বোরখা পরে...এছাড়াও আমি একটা ভিডিও তে দেখেছি তালেবান মুজাহিদরা পুরা কালো পোশাক পরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন,,,তো! আমি বেয়াদবির ভয়ে ওনাকে কিছু বলিনি!কালো পোশাক এর বিস্তারিত বিধান আপনার কাছে জানতে চাই! দয়া করে বলবেন!

৯ নভেম্বর, ২০২২
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত প্রশ্নকারী!
ওই আলেমের কথাটা একেবারে বেঠিক নয়। কেননা ইসলামী পোশাকের ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো, বিধর্মীদের পোশাক না হওয়া। কেননা বিধর্মীদের অনুকরণে পোশাক পরিধান করা নাজায়েয। যেমন ইহুদী-খৃষ্টান পুরোহিতদের পোশাক। হিন্দুদের ধুতি-লেংটি, মাজার পূজারীদের লালশালু এবং শিয়াদের অনুকরণে পূর্ণ কালো পোশাক ইত্যাদি। হাদীস শরীফে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই এটি কাফেরদের পোশাক। তোমরা তা পরিধান করো না।’ (সহীহ মুসলিম ৬/১৪৪; মুসতাদরাকে হাকেম ৪/১৯০)
অন্য এক হাদীসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি তাদের পোশাক পরবে সে আমার দলভুক্ত নয়। (তবারানী আওসাত ৩৯২১; ফাতহুল বারী ১০/২৮৪)

ইসলামের ড্রেসকোড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংক এবং রেফারেন্স উত্তরটি দেখুন। https://www.alkawsar.com/bn/article/695/

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#২০৬৪৭
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আমি উচ্চতর পড়াশোনা তাগিদে বর্তমানে ডর্টমুন্ড, জার্মানিতে বসবাস করতেছি। পড়াশোনা পাশাপাশি পার্ট্ট-টাইম চাকুরীর জন্য প্রচুর ব্যস্ততায় সময় অতিবাহিত হয়। মসজিদ দূরে হওয়ায় জুম্মা ছাড়া জামাতে শরিক হওয়া সম্ভব হয় না।

আমি বাংলাদেশ এ থাকতে হানাফি মাজহাব অনুসারী ছিলাম, ১) এখন ব্যস্ততার জন্য আসর নামায হানাফি মাজহাব এর ওয়াক্তের আগেই পরে ফেলা হয় অথবা দিন অনেক বড় হওয়ায়, বাহিরে বের হবার আগে অন্য মাজহাব অনুসারে আসর পরে বের হই কারন বাহিরে বের হইলে নামায না পরার আসংখা থাকে। আমার পাশের অধিকাংশ মানুষ এবং মসজিদে আসর নামায অন্যমাজহাব অনুসরণ করে। এক্ষেত্রে আমার নামায পরার সময় কি গ্রহনযোগ্য হবে?

২) সুবাহ সাদিক এর সময় নির্ধারণ এ এক এক এপ্স এক এক সময় নির্ধারণ করা নিয়ে বিপাকে আছি।
এই এপ্স সাথে (মুসলিম প্রো) ইংলিশ এপ্স এ ফজর শুরু আনুমানিক ৩ টা থেকে, কিন্তু অন্য একটি এপ্স এ ফজর শুরু ২ টা থেকে।
আবার (মুসলিমস ডে) বাংলা একটি এপ্স এতোদিন অনুসরণ করতাম এডবিহিন এর জন্য, অইটার ফজর শুরু ৪ টা থেকে। দুইটাই "ওয়ার্ড মুসলিম লিগ" এ ফিল্টার দেয়া।
(মুসলিমস ডে) বাংলা অইটার এশা শুরু রাত ১২ঃ৪০ যেখানে (মুসলিম প্রো) সহ এই এপ্স এ ১২ টার আগে।
ভিন্নতার কারন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা দরকার, আমার পরিচিত অনেকেই এটা নিয়ে বিপাকে আছে।

জাজাকাল্লাহ খাইরান।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতী সিরাজুল ইসলাম
২৫ জুলাই, ২০২২
৪৪২৬৭ Dortmund