আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

দশদিনের আগে ব্লিডিং

প্রশ্নঃ ২৪১৫৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার প্রশ্ন, যদি কোনো নারী হয়েযের পর ফরজ গোসল করে এবং তারপরেও যদি হঠাৎ হালকা হালকা হায়েযের রক্ত দেখা দেয় তাহলে কি আবার ফরজ গোসল করতে হবে? দ্বিতীয় গোসলপর পূর্ববর্তী ইবাদত কি তাহলে গ্রহনযোগ্য নয়??!! বিস্তারিত জানাবেন।জাযাকাল্লাহু খাইরান..,

৩১ অক্টোবর, ২০২২

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

শরিয়তের দৃষ্টিতে হায়েজের সর্বনিম্ম সময়সীমা তিনদিন এবং সর্বোচ্চ সময়সীমা দশদিন। তবে এক্ষেত্রে সাধারণত অধিকাংশ নারীর একটা নির্দিষ্ট মেয়াদকাল থাকে। পাঁচদিন, সাতদিন বা আটদিন ইত্যাদী। ওই দিনগুলোতে এক দুই ফোঁটা করেও যদি ব্লিডিং (ব্লাডের রঙে যাই হোক) হয় তাহলে সেটা হায়েজ হিসেবেই গণ্য হবে। তখন তিনি নামাজ রোজা করবেন না। অনুরূপভাবে কখনো যদি তার নিজস্ব মেয়াদকাল অতিক্রান্ত হওয়ার পরও দাশদিনের মধ্যে কোনো ব্লিডিং দেখা যায় তাহলে সেটাও হায়েজ হিসেবে গণ্য হবে এবং ধরে নিতে হবে যে তার নিজস্ব মেয়াদকাল পরিবর্তণ হচ্ছে। কাজেই এমন অবস্থা হলে দশ দিনের মধ্যে তিনি নামাজ রোজা করবেন না।

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ওই ব্লাড যদি দশমদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর দেখা দেয় তাহলে সেটা ইস্তেহাজা হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু যদি দশ দিনের ভেতরে হয় তাহলে সেটা হায়েজ হিসেবে ধর্তব্য হবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
عن ابی امامة الباھلی قال قال رسول اللہ ۖ لایکون الحیض للجاریة والثیب الذی قد ایئست من الحیض اقل من ثلاثة ایام ولا اکثر من عشرة ایام فاذا رأت الدم فوق عشرة ایام فھی مستحاضة فمازاد علی ایام اقرائھا قضت ودم الحیض اسود خائر تعلوہ حمرة ودم المستحاضة اصفر رقیق (دار قطنی ، نمبر ٨٣٤)

অন্যত্রে এসেছে
عن واثلة بن الاسقع قال قال رسول اللہ ۖ اقل الحیض ثلاثة ایام و اکثرہ عشرة ایام -(دار قطنی، کتاب الحیض ، ج اول ،ص ٢٢٥ ٨٣٦)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।

প্রসঙ্গসমূহ: