আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

অনিয়মিত হায়েযের একটি মাসআলা

প্রশ্নঃ ২৪০৫০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, যদি মাসিক জোহরের নামাজের আগ মুহূর্তে ভালো হয় কিন্তু যেহেতু ০৭ দিন বা ০৫ দিন পূর্ণ হয় নি তাই ০১ দিন কি অপেক্ষা করতে হবে? না মাসিক ভালো হলে সাথে সাথে নামাজ পড়তে হবে? তারপর আবার আসরের সময় যদি হালকা রক্ত দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে কি জোহরের নামাজের কাজা আদায় করতে হবে? বা রাতেও ছিল কিন্তু ফজরের সময় রক্ত গেছে কি যায় নি জানা সম্ভব হয়নি সে ক্ষেত্রেও কি ফজর কাযা দিতে হবে? নাকি মাসিক ভালো হয়েছে কিনা জানার জন্য ০১ দিন অপেক্ষা করতে হবে? সে দিনের সব নামাজ কাযা দেয়া লাগবে কি?

৩০ অক্টোবর, ২০২২
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


ক) প্রিয় বোন, প্রশ্নোল্লেখিত ক্ষেত্রে আপনার ০১ দিন অপেক্ষা করতে হবে না; বরং রক্ত বন্ধ হওয়া মাত্র গোসল করে নামাজ আদায় করতে হবে। কিন্তু আপনার পূর্বের মাসের অভ্যাস চাই সেটা ০৫ দিন হোক কিংবা ০৭ দিন; পূরা হওয়ার আগ পর্যন্ত সহবাস করা জায়েয হবে না। (বেহেশতী জেওর ৩/২৩৬)
খ) আবার আসরের সময় রক্ত দিলে তা হায়েয হিসবে গণ্য হবে তাই জোহরের নামাজ কাযা করতে হবে না। বাকি রক্ত বন্ধ হওয়ার কারণে যদি জোহরের নামাজ আদায় করে থাকেন তাহলে তাতে কোনো অসুবিধা নেই।
গ) রাতে হায়েয ছিল ফজরের সময় রক্ত দেখা গেছে কিনা; জানা হয় নি। অথচ আপনার চেক করে দেখার দরকার ছিল। এখন যেহেতু তা করেন নি তাই নিজের মনকে জিজ্ঞেস করবেন যে, যদি মনের ধারণা প্রবল হয় যে, হায়েয ছিল না তাহলে ফজর নামাজ কাযা করতে হবে। অন্যথায় নয়।
ঘ) মাসিক বন্ধ হওয়ার জন্য কখনো এক দিন অপেক্ষা করার নিয়ম নেই; বরং বন্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গোসল করে ওই ওয়াক্ত থেকেই নামাজ শুরু করতে হয়।
হাদীসে এসেছে, আয়েশা রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
فَإِذَا أقْبَلَتْ حَيْضَتُكِ فَدَعِي الصَّلَاةَ، وإذَا أدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي
হায়েয দেখা দিলে নামায ছেড়ে দাও। আর হায়েযের সময় শেষ হয়ে গেলে রক্ত ধুয়ে নাও এবং নামায আদায় কর। (বুখারী ২২৮ মুসলিম ৩৩৩)
প্রিয় বোন, মেয়েদের জন্য কোন মাসে কত দিন রক্তস্রাব ছিল তা স্মরণ রাখা খুবই জরুরি। কারণ পরবর্তী মাসের হুকুম অনেক ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী মাসের হিস্ট্রির উপর নির্ভর করে। পূর্ববর্তী মাসের হিস্ট্রি উল্লেখ করা না হলে উত্তর দেয়া খুবই জটিল হয়ে পড়ে। অতএব, ভবিষ্যতে এই বিষয়ে প্রশ্ন করার সময় বিষয়টির প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।

والله اعلم بالصواب

শাইখ উমায়ের কোব্বাদী সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর