ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার হুকুম
প্রশ্নঃ ২৪০২৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমরা জানি,কাপড় পাক করতে হলে সেটাকে তিনবার বিসমিল্লাহ বলে ধুতে হয়।সামনে গোলাকার প্রবেশপথ যুক্ত ( front door বিশিষ্ট যেটা অনুভূমিক ভাবে ঘুরে ঘুরে কাপড় ধুয়ে থাকে) ওয়াশিং মেশিনে সিস্টেম টা এরকম যেমেশিনটা 3 বার পানি নেয়,প্রথমবার পানি দিয়ে সাবান সহকারে ওয়াস করে,তারপর ঐ পানি ফেলে দিয়ে আবার পানি নিয়ে আবার ওয়াস করে ফেলে দেয়,এইভাবে 3 বার করে কাপড় ধোয়া শেষ হয়.এরপরেও সতর্কতা স্বরূপ ringe and spin option এর মাধ্যমে আবার ধুই,তখন ওয়াশিং মেশিন দুবার পানি নিয়ে থাকেপ্রশ্ন হচ্ছে,আমি যদি বিসমিল্লাহ বলে ওয়াশিং মেশিনের সুইচ টিপে মেশিন চালু করে দেই এবং মেশিন উপরিউক্ত নিয়ম অনুযায়ী কাপড় ধোয় তাহলে কাপড় পাক হবে কিনা?যদি উক্ত নিয়ম অনুযায়ী কাপড় পাক না হয় তাহলে উপরে বর্ণিত ওয়াশিং মেশিনে কাপড় পাক করার আর কোনো উপায় আছে কি?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ওয়াশিং মেশিনে নাপাক কাপড় পবিত্র করার নিয়ম:
যেকোন জিনিস পবিত্র করার ক্ষেত্রে নাপাকি দুই প্রকার।
ক. দৃশ্যমান নাপাক।
খ. অদৃশ্যমান নাপাক।
দৃশ্যমান নাপাকি কাপড়ে লাগলে এই কাপড় থেকে নাপাক দূর করা পর্যন্ত ধুইতে হবে। একবার ধোয়ার মাধ্যমে যদি নাপাক দূর হয়ে যায় তাতেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে। অবশ্য তিনবার ধোয়া উত্তম।
অদৃশ্যমান নাপাকি কাপড়ে লাগলে এই কাপড় তিনবার ধোয়ার মাধ্যমে পবিত্র হয়ে যায়।
ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে তিনবার পানি পরিবর্তন করে নতুন নতুন পানি দিয়ে ধোয়ার কারণে কাপড় পবিত্র হয়ে যায়।
সুতরাং আপনার প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে ধোয়ার মাধ্যমে কাপড়গুলো অবশ্যই পবিত্র হয়ে যাওয়ার কথা। এই কাপড়গুলোর পবিত্রতা নিয়ে অযথা সংশয়ে লিপ্ত হওয়ার কোনই কারণ নেই।
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الثَّوْبِ يُصِيبُهُ الدَّمُ مِنَ الْحَيْضَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " حُتِّيهِ ثُمَّ اقْرُصِيهِ بِالْمَاءِ ثُمَّ رُشِّيهِ وَصَلِّي فِيهِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأُمِّ قَيْسٍ بِنْتِ مِحْصَنٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَسْمَاءَ فِي غَسْلِ الدَّمِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الدَّمِ يَكُونُ عَلَى الثَّوْبِ فَيُصَلِّي فِيهِ قَبْلَ أَنْ يَغْسِلَهُ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ التَّابِعِينَ إِذَا كَانَ الدَّمُ مِقْدَارَ الدِّرْهَمِ فَلَمْ يَغْسِلْهُ وَصَلَّى فِيهِ أَعَادَ الصَّلاَةَ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا كَانَ الدَّمُ أَكْثَرَ مِنْ قَدْرِ الدِّرْهَمِ أَعَادَ الصَّلاَةَ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ . وَلَمْ يُوجِبْ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ التَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ عَلَيْهِ الإِعَادَةَ وَإِنْ كَانَ أَكْثَرَ مِنْ قَدْرِ الدِّرْهَمِ . وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ يَجِبُ عَلَيْهِ الْغَسْلُ وَإِنْ كَانَ أَقَلَّ مِنْ قَدْرِ الدِّرْهَمِ وَشَدَّدَ فِي ذَلِكَ .
১৩৮. ইবনে আবী উমর ..... আসমা বিনতে আবী বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, জনৈক মহিলা কাপড়ে হায়েযের রক্ত লাগলে এর পাক করা সম্পর্কে রাসূল (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেছিলেনঃ প্রথমে তা খুচিয়ে তুলে ফেল, পরে পানি ভিজিয়ে আঙ্গলে রগড়ে নাও এরপর তাতে পানি ঢেলে দাও আর তা পরে নামায আদায় করতে থাক।
—জামে' তিরমিযী, ইফা নং ১৩৮
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন