কমিটির বিরোধের জেরে পাশাপাশি দুইটি মসজিদ
প্রশ্নঃ ২৩৮১৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, গ্রামের মসজীদে আজ থেকে পাচঁ বছর আগে কমিটির কয়েকজন মানুষের সাথে ঝগড়া করে কমিটির কিছু লোক এবং গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মিলে ২০/৩০ ফুটের মধ্যে আরো একটা জুমা মসজীদ করে,এতদিন সব ঠিকঠাক চলছিল, এখন গ্রামের চেয়ারম্যান মেম্বার মিলে দুই মসজীদকে এক করে দিতে চাচ্ছে,দুইটাই ওক্বফ করা মসজীদ, তবে প্রথম মসজীদের জায়গাটা খুব সংকীর্ণ এবং দ্বিতীয় মসজীদের জায়গাটা প্রশস্ত। আর প্রথম মসজীদে গ্রামের সবাই জুমার দিনে গেলে জায়গা সংকট দেখা দেয়।আর সম্প্রসারণ করার মত জায়গাও নেই।গ্রামের অধিকাংশ মানুষ দ্বিতীয় মসজীদেই জুমা/ অন্যান্য নামাজ পড়ে। এখন আমার প্রশ্ন হল দুই মসজীদের মুসল্লী সবাই যদি এক মসজীদে আসে তাহলে কোন মসজীদটা রাখবে আর কোনটা ভাঙবে? অথবা না ভাঙলে কি কাজে ব্যবহার করা যাবে। রেপারেন্স সহ উত্তর দিলে অনেক বেশি উপকৃত হতাম।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরঈভাবে কোনো মসজিদ নির্মাণ হওয়ার পর সেখানে নিয়মতান্ত্রিক জামাআত হয়ে গেলে এই জায়গাটি মসজিদের জন্য কিয়ামত পর্যন্ত নির্ধারিত হয়ে যায়। এই মসজিদ স্থানান্তর করা বা বাতিল করা কিছুতেই ঠিক নয়। হাঁ, মুসল্লী বেড়ে যাওয়ার কারণে মসজিদ সম্প্রসারণ করা যাবে।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উভয় মসজিদ বহাল রেখতে হবে। তাই যেখানে জায়গা বেশী সেখানে জুমা হতে পারে আর যেখানে জায়গা কম সেখানে শুধু ওয়াক্তিয়া নামাজ হতে পারে।
إِنَّ مَنْ بَنَى مَسْجِدًا لَمْ يَزَل مِلْكُهُ عَنْهُ حَتَّى يُفْرِزَهُ عَنْ مِلْكِهِ بِطَرِيقِهِ، وَيَأْذَنَ لِلنَّاسِ بِالصَّلاَةِ فِيهِ، فَإِذَا صَلَّى فِيهِ وَاحِدٌ زَال عَنْ مِلْكِهِ عِنْدَ أَبِي حَنِيفَةَ وَمُحَمَّدٍ فِي إِحْدَى رِوَايَتَيْنِ عَنْهُمَا، وَفِي الأُْخْرَى: لاَ يَزُول إِلاَّ بِصَلاَةِ جَمَاعَةٍ، وَعِنْدَ أَبِي يُوسُفَ يَزُول مِلْكُهُ عَنْهُ بِمُجَرَّدِ قَوْلِهِ: جَعَلْتُهُ مَسْجِدًا، لأَِنَّ التَّسْلِيمَ عِنْدَهُ لَيْسَ بِشَرْطٍ، كَمَا يَصِحُّ الْوَقْفُ عَلَيْهِ وَالْمَسْجِدُ جُعِل لِلَّهِ تَعَالَى عَلَى الْخُلُوصِ مُحَرَّرًا عَنْ أَنْ يَمْلِكَ الْعِبَادُ فِيهِ شَيْئًا غَيْرَ الْعِبَادَةِ فِيهِ وَمَا كَانَ كَذَلِكَ خَرَجَ عَنْ مِلْكِ الْخَلْقِ أَجْمَعِينَ (1) . وَمَتَى زَال مِلْكُهُ عَنْهُ وَلَزِمَ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَرْجِعَ فِيهِ وَلاَ يَبِيعَهُ وَلاَ يُورَثَ عَنْهُ، لأَِنَّهُ تَجَرَّدَ عَنْ حَقِّ الْعِبَادِ وَصَارَ خَالِصًا لِلَّهِ تَعَالَى، وَهَذَا لأَِنَّ الأَْشْيَاءَ كُلَّهَا لِلَّهِ وَإِذَا أَسْقَطَ الْعَبْدُ مَا ثَبَتَ لَهُ مِنَ الْحَقِّ رَجَعَ إِلَى أَصْلِهِ فَانْقَطَعَ تَصَرُّفُهُ عَنْهُ كَمَا فِي الإِْعْتَاقِ (2)
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন