আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২২১০১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হুজুর বাসর রাতের সুন্নত গুলো কি কি?,

২৭ আগস্ট, ২০২২

ভৈরব

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


প্রথম সাক্ষাতে বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একত্রে দুই রাকাআত নামাজ পড়া উত্তম। এ নামাজ নবদম্পতির জন্য মোস্তাহাব আমল।

তবে বিয়ের পর প্রথম সাক্ষাতে স্বামী-স্ত্রীর জন্য উত্তম একটি আমল হলো- একে অপরের জন্য দোয়া করা। আবার স্বামী তার স্ত্রীর কপালে হাত রেখে দোয়া করার ব্যাপারে হাদিসের নির্দেশনা রয়েছে। হাদিসে এসেছে-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় পরস্পরের জন্য একটি দোয়া পড়ার কথা এসেছে। তাহলো-
اَللّهُمَّ بَارِكْ لِىْ فِىْ أَهْلِىْ وَبَارِكْ لَهُمْ فِىَّ، اَللّهُمَّ اجْمَعْ بَيْنَنَا مَا جَمَعْتَ بِخَيْرٍ و فَرِّقْ بَيْنَنَا إِذَا فَرَّقْتَ إِلَى خَيْرٍ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বারিক লি ফি আহলি ওয়া বারিক লাহুম ফিইয়্যা, আল্লাহুম্মাঝ্‌মা বাইনানা মা জামা’তা বিখাইরিন ওয়া ফাররিক্ব বাইনানা ইজা ফাররাক্বতা ইলা খাইরিন। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দান কর এবং তাদের স্বার্থে আমার মাঝে বরকত দাও। হে আল্লাহ! তুমি যা ভালো একত্রিত করেছ তা আমাদের মাঝে একত্রিত কর। আর যখন কল্যাণের দিকে বিচ্ছেদ কর তখন আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ কর।'

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো নারীকে বিয়ে করবে, সে যেন তার কপাল ধরে এবং আল্লাহ তাআলার নাম পড়ে এবং বরকতের দোয়া করে। আর সে যেন বলে
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরিহা ওয়া খাইরিমা ঝাবালতাহা আ’লাইহি; ওয়া আউজুবিকা মিন সাররিহা ওয়া সাররিমা ঝাবালতাহা আলাইহি।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে তার কল্যাণ ও যে কল্যাণের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন, তা প্রার্থনা করছি। আর তার অমঙ্গল ও যে অমঙ্গলের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন -তা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

স্বামী-স্ত্রীর প্রথম সাক্ষাতে করণীয়

মুমিন মুসলমানের বিয়ের পর প্রথম সাক্ষাতে স্বামী-স্ত্রীর বেশকিছু করণীয় রয়েছে, যা পালন করা খুবই জরুরি। এতে রয়েছে বরকত ও কল্যাণ। তাহলো-

> পরস্পরের জন্য দোয়া করা।

> দোয়ার পর একে অপরকে দুধ বা মিষ্টি জাতীয় খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা।

> পরস্পর ভালোবাসা ও হৃদ্যতাপূর্ণ কথাবার্তা বিনিময় করা।

> পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত হওয়া।

> মনের অসংকোচ, ভয়ভীতি, হতাশা ও বিষণ্নতা কাটিয়ে উঠতে খোশ গল্প করা।

> আন্তরিকতা ও ভালোবাসাপূর্ণ পরিবেশ কিছু সময় অতিবাহিত করা।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ শফিকুল ইসলাম হাটহাজারী
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিয়া মুহাম্মাদিয়া আরবিয়া মোহাম্মদপুর

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৬০৯৭৫

শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পর ভুলে দাঁড়িয়ে গেলে করণীয়


১২ মে, ২০২৪

নামবিহীন রাস্তা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৭৬৬৫৬

মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির বিয়ে সহীহ হয়?


২৬ অক্টোবর, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৬৬৬৩৬

ইমাম সাহেব একাকী নামাজ শুরু করার পর, কেউ শরিক হলে কেরাত কিভাবে পড়বে?


৬ জুলাই, ২০২৪

West Bengal ৭১২৭০৬

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৯২২০০

খতমে তারাবীহ কি বিদআত?


৩ মার্চ, ২০২৫

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy