আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২১৪৪৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম,আমার প্রশ্ন হচ্ছে 'নামাজে ইমাম এর সাথে তাকবীর বলা লাগবে...আর নামাজে ইমাম সূরা না বললে আমি কি পড়তে পারবো,

১২ আগস্ট, ২০২২

বোরহান উদ্দিন

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم






নামাযের শুরুর তাকবীর বলা মুক্তাদীর জন্য ফরজ। এটি মুক্তাদী না বললে তার নামাযই শুদ্ধ হবে না।

আর এর পরের তাকবীরগুলো বলা সুন্নত।

আর “আসসালামু আলাইকুম” বলা ওয়াজিব।

রুকু সেজদায় গমণ ও আসা এবং সালাম ফিরানোর তাকবীর সবই ইমামের সাথে সাথে মুক্তাদীও বলবে। এটাই সুন্নত।

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُورُ، وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ، وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ،

وفيه ايضا: يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، وَابْنُ الْمُبَارَكِ، وَالشَّافِعِيُّ، وَأَحْمَدُ، وَإِسْحَاقُ: إِنَّ تَحْرِيمَ الصَّلاَةِ التَّكْبِيرُ، وَلاَ يَكُونُ الرَّجُلُ دَاخِلاً فِي الصَّلاَةِ إِلاَّ بِالتَّكْبِيرِ.

سَمِعْت أَبَا بَكْرٍ مُحَمَّدَ بْنَ أَبَانَ، يَقُولُ: سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مَهْدِيٍّ، يَقُولُ: لَوِ افْتَتَحَ الرَّجُلُ الصَّلاَةَ بِسَبْعِينَ اسْمًا مِنْ أَسْمَاءِ اللهِ تَعَالَى وَلَمْ يُكَبِّرْ لَمْ يُجْزِهِ،

হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সালাতের চাবি হল, তাহারাত। তাকবীরে তারীমা [সালাতের পরিপন্থী] সকল কাজ হারাম করে দেয় আর সালাম তা হালাল করে।

হযরত সুফিয়ান সাওরী, ইবনে মুবারক, ইমাম শাফেয়ী, আহমদ ও ইসহাক রহঃ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, সালাতের তাহরীমা বল, তাকবীর বলা; তাকবীর ব্যতীত কেউ সালাতে দাখিল হয়েছে বলে গণ্য হবে না।

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিজী রহঃ বলেন যে, আব্দুর রহমান ইবনে মাহদী রহঃ বলেছেন, আল্লাহর নামসমূহের সত্তরটি নাম নিয়েও যদি কেউ সালাত শুরু করে কিন্তু সে যদি তাকবীর না বলে তবে তার সালাত হবে না। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৩৮]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا، وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا: اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় ইমামকে নির্ধারিত করা হয়েছে তার অনুসরণের জন্য। তো যখন ইমাম তাকবীর বলে, তখন তোমরাও তাকবীর বল। আর যখন ইমাম কিরাত পাঠ করে তখন তোমরা চুপ থাকো। আর যখন ইমাম সামিআল্লাহুলিমান হামিদাহ বলে তখন তোমরা রাব্বানা লাকালহামদ বল। [সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৯২১]

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৮১৭৯৯

অমুসলিমের সাথে বর্গা চুক্তি করলে উশর নাকি খারাজ দিবে?


২০ ডিসেম্বর, ২০২৪

নামবিহীন রাস্তা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৯৩২৮৩

বছরের শুরু শেষ নেসাব ঠিক ছিলো, মাঝে যে সম্পদ বেড়েছে তার যাকাতের জন্য বৎসর পূর্ণ হতে হবে?


৫ মার্চ, ২০২৫

Mahini

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৮৮৭৩৭

মুদারাবার পদ্ধতি


১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

খাগড়াছড়ি

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৮০০৩৪

সাহাবীর নামে মায়ের অসন্তুষ্টির মিথ্যা গল্প!!


৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy