و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
আপনার প্রশ্নের ইবারতটি পূর্ণাঙ্গ নয়। পূর্ণাঙ্গ ইবাতরটি নিচে তুলে ধরা হলো।


مطلب في التداوي بالمحرم ( قوله اختلف في التداوي بالمحرم ) ففي النهاية عن الذخيرة يجوز إن علم فيه شفاء ولم يعلم دواء آخر . وفي الخانية في معنى قوله عليه الصلاة والسلام { إن الله لم يجعل شفاءكم فيما حرم عليكم } كما رواه البخاري أن ما فيه شفاء لا بأس به كما يحل الخمر للعطشان في الضرورة ، وكذا اختاره صاحب الهداية في التجنيس فقال : لو رعف فكتب الفاتحة بالدم على جبهته وأنفه جاز للاستشفاء ، وبالبول أيضا إن علم فيه شفاء لا بأس به ، لكن لم ينقل وهذا ; لأن الحرمة ساقطة عند الاستشفاء كحل الخمر والميتة للعطشان والجائع .
এখানে হারাম বস্তুর মাধ্যমে চিকিৎসা বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।

আলোচনার সারকথা হলো, দুরারোগ্য কোনো রোগের চিকিৎসার জন্য যদি কোনো হালাল ঔষধ পাওয়া না যায় এবং(অভিজ্ঞ দীনদার চিকিৎসকের নির্দেশনায়) হারাম বস্তুর মাধ্যমে চিকিৎসা হবে বলে জানা যায় তাহলে সেক্ষেত্রে হারাম বস্তু দিয়ে চিকিৎসা গ্রহনের অবকাশ আছে। তেমনিভাবে পিপাসায় প্রাণ ওষ্ঠাগত ব্যক্তির জন্য মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে যতসামান্য মদের পানের অবকাশ আছে।

তেমনিভাবে এককালে একটি দুরারোগ্য রোগ ছিল নাক উরিশ ( নাক থেকে অনবরত রক্তপাত হওয়া)। সেটার সমাধান দিতে গিয়েই বলা হয়েছে...

"যদি নাক থেকে রক্তপাত হয় তাহলে রক্ত দিয়ে অসুস্থের কপাল এবং নাকে যদি সুরা ফাতেহা লিখে দেওয়া হয় আরোগ্য লাভের আশায় এর অবকাশ আছে। এমনিভাবে যদি পেশাব দিয়েও লিখে দিলে আরোগ্য লাভের ব্যাপারে জানা যায় তাহলে এরও অবকাশ আছে।"

প্রিয় ভাই!
মনে রাখতে হবে এগুলো ওই সময়ের কথা যখন এসব রোগের তেমন কোনো চিকিৎসা ছিল না। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ এখন চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেক উন্নতি ঘটেছে। তাই হালাল ঔষধ পাওয়া গেলে ওইসব বস্তু দিয়ে চিকিৎসা গ্রহন করা জায়েজ হবে না।

والله اعلم بالصواب