আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২১০৭৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, [২৫:৪৩] আল ফুরকানأَرَأَيتَ مَنِ اتَّخَذَ إِلهَهُ هَواهُ أَفَأَنتَ تَكونُ عَلَيهِ وَكيلًاবায়ান ফাউন্ডেশন:তুমি কি তাকে দেখনি, যে তার প্রবৃত্তিকে নিজের ইলাহরূপে গ্রহণ করেছে? তবুও কি তুমি তার যিম্মাদার হবে?এই আয়াতে যে নাফসের গোলামি বলা হইছে এটা দিয়া আসলে কোন বিশয়কে বোঝানো হইছে?আমরা সারাদিন যত কাজ করে থাকি তার প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছুই নাফসের ইচ্ছাতেই করা হয়ে থাকে। যেমন কেউ অযথা সময় নষ্ট করে, মিত্থ্যা কথা বলে, গালিগালাজ করে বা অন্য আরো জত ভাবে আমরা নাফসকে মেনে চলি।এই সব ধরনের কাজের মাধ্যমেই কি নাফসকে ইলাহরুপে গ্রহণ করা হয়? তাহলে কি সব ধরনের কাজ জা নাফসের আদেশে করা হয় এগুলা কি শির্ক হয়?,

৫ আগস্ট, ২০২২

কালীগঞ্জ

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





এই আয়াতের শানে নুজুল সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে,
حدثنا ابن حميد قال : ثنا يعقوب ، عن جعفر ، عن سعيد قال : كانت قريش تعبد العزى ، وهو حجر أبيض ، حينا من الدهر ، فإذا وجدوا ما هو أحسن منه طرحوا الأول وعبدوا الآخر ، فأنزل الله ( أفرأيت من اتخذ إلهه هواه ) .

মর্মার্থ : কুরাইশরা দীর্ঘ সময় ধরে "ওজ্জা এর পূজা করতো। সেটা ছিল একটি সাদা পাথর। কিন্ত যখন তারা তারচেয়ে কোনো সুন্দর পাথর দেখতে পায় তখন তারা সেটাকে ছুড়ে মারে এবং নতুন পাথরের পূজা শুরু করে।

وأولى التأويلين في ذلك بالصواب قول من قال : معنى ذلك : أفرأيت يا محمد من اتخذ معبوده هواه ، فيعبد ما هوى من شيء دون إله الحق الذي له الألوهة من كل شيء ؛ لأن ذلك هو الظاهر من معناه دون غيره .

অর্থ হে মুহাম্মাদ সা! আপনি কি তাদের দেখাননি যারা তাদের প্রবৃত্তিকে উপাস্য হিসাবে গ্রহন করেছে! ফলে প্রকৃত ইলাহকে ছেড়ে প্রবৃত্তি যা চায় তারা তাই বাস্তবায়ন করে।...

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
প্রশ্নে আপনি যতগুলো বিষয় উল্লেখ করেছেন সেগুলো সবই প্রবৃত্তির অনুসরণ। এবং কবিরা গুনাহ। যাদের ব্যাপারে এই আয়াত নাযিল হয়েছিল তারা তো সরাসরিই আল্লাহ তায়ালার সাথে বহু ইলাহ স্বীকার করতো এবং পূজা করতো। কাজেই তারা নিঃসন্দেহে মুশরিকদের। কিন্তু যারা আল্লাহ তায়ালাকে একমাত্র ইলাহ হিসেবে গ্রহন করেছে এবং আল্লাহর আদেশ নিষেধকেই শিরোধার্য মনে করে। কিন্তু প্রবৃত্তির তাড়নায় আল্লাহর সকল আদেশ নিষেধ মানতে পারেনি বরং সেখানেও প্রবৃত্তিকে অগ্রাধিকার দেয় আক্ষরিক অর্থে তাদের কাজগুলোও শিরিক।
কেয়ামতের ময়দানে এর কারণেও ভয়াবহ পরিনতির সম্মুখীন হতে হবে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল প্রকারের কুফুর-শিরিক-বিদয়াতমুক্ত জীবন যাপনের তাওফিক দান করুন।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৪৩৩৭৩

ইলেক্ট্রিক ব্যাট দিয়ে মশা মারা জায়েজ?


১৯ অক্টোবর, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

৩৬৫২৬

দোয়া কবুল হওয়ার রুকন ও শর্তসমূহ


২১ জুলাই, ২০২৩

ঢাকা ১২০৫

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৯১৩৮৬

প্রজেক্টর বা ডিজিটাল পর্দার মাধ্যমে বক্তাকে দেখা মহিলাদের কতটুকু শরীয়তসম্মত?


২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নওগাঁ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ আল কাউসার

৩৭৪৮৬

কার্টুনের হুকুম


১৩ আগস্ট, ২০২৩

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy