আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২০৮৮৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম,আমার প্রশ্ন ১:আমার বয়স ১৩.৫ বছর। আমি ক্লাস ৭ এ পড়ি। এখন আমার কোরআন হিফয করার ইচ্ছা জাগে। আমি এটি স্কুল পড়ার সাথে ঘরে বসে করতে চাই। এখন আমি কি এই বয়সে এবং স্কুল পড়ে নিজে নিজে বাসায় বসে হিফয করতে পারব?আমার প্রশ্ন ২: আমি হিফয করার সময় (উদাহরণস্বরূপ) ২০পারা মুখস্থ করার পর যদি আমার মুখস্থশক্তি হারিয়ে ফেলি এবং যেগুলো মুখস্থ করেছি সেগুলো যদি ভুলে যাই তাহলে কি কেয়ামতে আমার কোনো শাস্তি আছে? আমি একটি হাদিস শুনেছি,যে ব্যক্তি কোরআন ভুলে যায় তার শাস্তি অনেক কঠিন।দয়া করে তাড়াতাড়ি জানাবেন ইনশাআল্লাহ।,

২৬ জুলাই, ২০২২

সিলেট

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে বাসায় বসে হিফয করলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায় যারা বাসায় বসে অন্য পড়াশোনা করে, আবার হিফয‌ও পড়তে থাকে, তারা মূল গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না। কয়েকদিন হিফয করার পর আর করা হয় না। তাছাড়া কুরআন শুধু মুখস্থ করলে হয় না। এর পাশাপাশি আরও কিছু কাজ থাকে, যা অন্য পড়া চালু রাখলে সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই আপনি হাফেজে কুরআনের স্হায়ী মর্যাদা অর্জন করার স্বার্থে অন্যসব ব্যস্ততা থেকে ফারেগ হয়ে কুরআন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন। অল্প কয়েকদিনেই হাফেয হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।

২য় প্রশ্নের উত্তর:
হাদীস শরীফে এসেছে,
" ما من امرئ يقرأ القرآن ينساه إلا لقي الله عز وجل يوم القيامة أجذم " .
যে ব্যক্তি কুরআন পাঠের পর তা ভুলে যায়, সে কেয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে কুষ্ঠ রোগাক্রান্ত অবস্থায় আসবে। (কুষ্ঠ রোগের কারণে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেন খসে খসে পড়ছে) —সুনানে আবু দাউদ, ইফা নং ১৪৭৪
এই হাদীসে কুরআন শরীফ পড়ে ভুলে যাওয়ার শাস্তি বর্ণনা দেয়া হয়েছে। তাই কুরআন শরীফ পড়ে ভুলে যাওয়া কবীরা গুনাহ।

কিন্তু ভুলে যাওয়া কাকে বলে?
ﺛﻢ اﻟﻨﺴﻴﺎﻥ ﻋﻨﺪ ﻋﻠﻤﺎﺋﻨﺎ ﻣﺤﻤﻮﻝ ﻋﻠﻰ ﺣﺎﻝ ﻳﻘﺪﺭ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻨﻈﺮ ﺳﻮاء ﻛﺎﻥ ﺣﺎﻓﻈﺎ ﺃﻡ ﻻ، ﻭاﻟﻠﻪ ﺃﻋﻠﻢ
مرقاة المفاتيح
এখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে, হানাফী মাযহাবে ভুলে যাওয়ার অর্থ হলো, এত অধিক ভুলে যাওয়া যে, দেখে দেখেও কুরআন শরীফ পড়তে পারে না। সাধারণত আমাদের হাফেয সাহেবগণ এতটা ভুলেন না। তাই ভুলে যাওয়ার ভয়ে কুরআন হিফয থেকে বিরত থাকা যাবে না।

আর কুরআন ভুলে যাওয়া থেকে বাঁচার পথ নবীজী শিখিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন,
" تعاهدوا القرآن فوالذي نفسي بيده لهو أشد تفصيا من الإبل في عقلها ".

৪৬৬৭তোমরা কুরআনের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। আল্লাহর কসম! যার হাতে আমার জীবন! কুরআন বন্ধনমুক্ত উটের চেয়ে দ্রুত বেগে দৌড়ে যায়। বুখারী ৪৬৬৭
তাই কুরআন তিলাওয়াত জারী রাখলে এই কুরআন অবশ্যই ইয়াদ থাকে। মেধার দুর্বলতার কারণে ইয়াদ না রাখতে পারলেও যদি চেষ্টা অব্যাহত থাকে, তাহলে আল্লাহর কাছে স‌ওয়াবের আশা করা যায়।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম
খতীব, বাইতুল মামুর জামে মসজিদ, মিরাশপাড়া গাজীপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৮৫৯৭৬

স্ত্রীর সাথে কথা বন্ধ রাখা


২২ জানুয়ারী, ২০২৫

১৭০২

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আবু সাঈদ

৮৫২৯১

ক্বারীদের থেমে থেমে পড়া কি সুন্নাহ?


৪ মার্চ, ২০২৫

নরসিংদী

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৪৬৪৪৮

সিজদায় কনুই বিছিয়ে দেয়া নিষেধ কার জন্য?


২১ নভেম্বর, ২০২৩

৩১০০

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৪৯০৬৭

ঘুমানোর দুআ


১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

২PWJ+৩৩G

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy