রমযান মাসে কি কবরের আযাব মাফ থাকে?
প্রশ্নঃ ২০১১২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, এক ভাই জানতে চেয়েছেন, রমজান মাসে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে হাদিস এ বলা আছে। এখন, হাশরের মাঠে বিচারের পর জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া যেতে পারে।কিন্তূ হাশর তো এখনও আসে নাই। তাহলে তার আগেই জাহান্নাম এ কিভাবে গেল, আর মুক্তি ই বা কিভাবে পেল?,
৫ নভেম্বর, ২০২৩
ঢাকা
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কবরে মৃত ব্যক্তির অবস্থা সম্পর্কে এক দীর্ঘ হাদিসে এভাবে এসেছে,
سنن أبي داود (4/ 239)
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وحَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَهَذَا لَفْظُ هَنَّادٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنِ الْمِنْهَالِ، عَنْ زَاذَانَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جَنَازَةِ رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، فَانْتَهَيْنَا إِلَى الْقَبْرِ وَلَمَّا يُلْحَدْ، فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَلَسْنَا حَوْلَهُ كَأَنَّمَا عَلَى رُءُوسِنَا الطَّيْرُ، وَفِي يَدِهِ عُودٌ يَنْكُتُ بِهِ فِي الْأَرْضِ، فَرَفَعَ رَأْسَهُ، فَقَالَ: «اسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ» مَرَّتَيْنِ، أَوْ ثَلَاثًا، زَادَ فِي حَدِيثِ جَرِيرٍ «هَاهُنَا» وَقَالَ: " وَإِنَّهُ لَيَسْمَعُ خَفْقَ نِعَالِهِمْ إِذَا وَلَّوْا مُدْبِرِينَ حِينَ يُقَالُ لَهُ: يَا هَذَا، مَنْ رَبُّكَ وَمَا دِينُكَ وَمَنْ نَبِيُّكَ؟ " قَالَ هَنَّادٌ: قَالَ: " وَيَأْتِيهِ مَلَكَانِ فَيُجْلِسَانِهِ فَيَقُولَانِ لَهُ: مَنْ رَبُّكَ؟ فَيَقُولُ: رَبِّيَ اللَّهُ، فَيَقُولَانِ لَهُ: مَا دِينُكَ؟ فَيَقُولُ: دِينِيَ الْإِسْلَامُ، فَيَقُولَانِ لَهُ: مَا هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي بُعِثَ فِيكُمْ؟ " قَالَ: " فَيَقُولُ: هُوَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:240]، فَيَقُولَانِ: وَمَا يُدْرِيكَ؟ فَيَقُولُ: قَرَأْتُ كِتَابَ اللَّهِ فَآمَنْتُ بِهِ وَصَدَّقْتُ «زَادَ فِي حَدِيثِ جَرِيرٍ» فَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ {يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا} [إبراهيم: 27] " الْآيَةُ - ثُمَّ اتَّفَقَا - قَالَ: " فَيُنَادِي مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ: أَنْ قَدْ صَدَقَ عَبْدِي، فَأَفْرِشُوهُ مِنَ الْجَنَّةِ، وَافْتَحُوا لَهُ بَابًا إِلَى الْجَنَّةِ، وَأَلْبِسُوهُ مِنَ الْجَنَّةِ " قَالَ: «فَيَأْتِيهِ مِنْ رَوْحِهَا وَطِيبِهَا» قَالَ: «وَيُفْتَحُ لَهُ فِيهَا مَدَّ بَصَرِهِ» قَالَ: «وَإِنَّ الْكَافِرَ» فَذَكَرَ مَوْتَهُ قَالَ: " وَتُعَادُ رُوحُهُ فِي جَسَدِهِ، وَيَأْتِيهِ مَلَكَانِ فَيُجْلِسَانِهِ فَيَقُولَانِ: لَهُ مَنْ رَبُّكَ؟ فَيَقُولُ: هَاهْ هَاهْ هَاهْ، لَا أَدْرِي، فَيَقُولَانِ لَهُ: مَا دِينُكَ؟ فَيَقُولُ: هَاهْ هَاهْ، لَا أَدْرِي، فَيَقُولَانِ: مَا هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي بُعِثَ فِيكُمْ؟ فَيَقُولُ: هَاهْ هَاهْ، لَا أَدْرِي، فَيُنَادِي مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ: أَنْ كَذَبَ، فَأَفْرِشُوهُ مِنَ النَّارِ، وَأَلْبِسُوهُ مِنَ النَّارِ، وَافْتَحُوا لَهُ بَابًا إِلَى النَّارِ " قَالَ: «فَيَأْتِيهِ مِنْ حَرِّهَا وَسَمُومِهَا» قَالَ: «وَيُضَيَّقُ عَلَيْهِ قَبْرُهُ حَتَّى تَخْتَلِفَ فِيهِ أَضْلَاعُهُ» زَادَ فِي حَدِيثِ جَرِيرٍ قَالَ: «ثُمَّ يُقَيَّضُ لَهُ أَعْمَى أَبْكَمُ مَعَهُ مِرْزَبَّةٌ مِنْ حَدِيدٍ لَوْ ضُرِبَ بِهَا جَبَلٌ لَصَارَ تُرَابًا» قَالَ: «فَيَضْرِبُهُ بِهَا ضَرْبَةً يَسْمَعُهَا مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ إِلَّا الثَّقَلَيْنِ فَيَصِيرُ تُرَابًا» قَالَ: «ثُمَّ تُعَادُ فِيهِ الرُّوحُ»
অর্থাৎ, উছমান ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) .... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঙ্গে একজন আনসার সাহাবীর জানাযার নামাযে শরীক হই, এমন কি তার কবরের কাছে যাই, যা তখনও তৈরী হয়নি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেখানে বসেন এবং আমরা ও তাঁর সাথে তাঁর চারদিকে শান্তভাবে বসে পড়ি, যেন আমাদের মাথার উপর পাখি বসা। এ সময় নবী (ﷺ)-এর হাতে একখণ্ড কাঠ ছিল, যা দিয়ে তিনি যমীনের উপর আঘাত করছিলেন। এরপর তিনি মাথা উঁচু করে দুই বা তিনবার বলেনঃ তোমরা কবরের আযাব থেকে আল্লাহর কাছে নাজাত চাও।
রাবী জারীরের বর্ণনায় এরূপ অতিরিক্ত বর্ণিত হয়েছে যে, দাফনের পর লোকেরা যখন ফিরে যায় এবং সে লোক তাদের শব্দ শুনতে পায়, সে সময় তাকে এরূপ প্রশ্ন করা হয়ঃ হে ব্যক্তি! তোমার রব কে? তোমার দ্বীন কি এবং তোমার নবী কে?
রাবী হান্নাদ (রাহঃ) বলেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তখন তার কাছে দু’জন ফেরেশতা আসে এবং তাকে বসিয়ে জিজ্ঞাসা করেঃ তোমার রব কে? তখন সে বলেঃ আল্লাহ আমার রব। তখন তারা তাকে জিজ্ঞাসা করেঃ তোমার দ্বীন কী? সে বলেঃ আমার দ্বীন ইসলাম। এরপর তারা তাকে জিজ্ঞাসা করেঃ এ ব্যক্তি কে, যাকে তোমাদের কাছে পাঠান হয়েছিল? তখন সে বলেঃ ইনি হলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)। তখন ফেরেশতারা আবার জিজ্ঞাসা করেঃ তুমি এ কিরূপে জানলে? তখন সে বলেঃ আমি আল্লাহর কিতাব পড়েছি, এর উপর ঈমান এনেছি এবং একে সত্য বলে মনে করি। রাবী জারীর বলেন, আল্লাহর বাণীঃ ″আল্লাহ তা’আলা মু’মিনদের ইহজীবন ও পরজীবনে শাশ্বত- বাণীর (কালিমার) উপর দূর রাখেন।″ এর অর্থ ইহাই।
রাবী বলেনঃ এরপর আসমান থেকে একজন আহবানকারী এরূপ ঘোষণা দিতে থাকেঃ আমার বান্দা সত্য বলেছে, তার কবরে জান্নাতের বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জান্নাতের দিকে একটা দরজা খুলে দাও। রাবী বলেনঃ তখন তার কবরে জান্নাতের মৃদুমন্দ বাতাস ও খোশবু আসতে থাকে এবং সে ব্যক্তির কবরকে দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত বিস্তৃত করে দেয়া হয়।
এরপর তিনি কাফির ব্যক্তির মৃত্যুর অবস্থা বর্ণনা করে বলেনঃ কবরে রাখার পর তার আত্মাকে দেহের মধ্যে প্রবেশ করানো হয়। তখন দু’জন ফেরেশতা এসে তাকে বসায় এবং প্রশ্ন করেঃ তোমার রব কে? তখন সে বলেঃ হা - হা - লা - আদরী; অর্থাৎ আফসোস, আমি তো জানি না। এরপর তারা তাকে জিজ্ঞাসা করেঃ তোমার দ্বীন কী? সে বলেঃ আফসোস আমি জানি না। এরপর তারা তাকে জিজ্ঞাসা করেঃ এ ব্যক্তি কে, যাকে দুনিয়াতে তোমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল? তখন সে বলেঃ হায় আফসোস! আমি জানি না।
তখন আসমান থেকে একজন ঘোষণাকারী এরূপ বলতে থাকেঃ সে মিথ্যা বলেছে। তার কবরে আগুনের বিছানা বিছিয়ে দাও এবং তাকে আগুনের পোশাক পরিয়ে দাও এবং তার কবর থেকে জাহান্নামের দিকে একটা দরজা খুলে দাও; যাতে তার কবরে জাহান্নামের আগুনের প্রচণ্ড তাপ ও ভাঁপ আসতে থাকে। এরপর কবর তার জন্য এতই সংকুচিত হয়ে যায় যে, তার পাজরের একপাশ অপরপাশে চলে যায়।
রাবী জারীর আরো বর্ণনা করেনঃ এরপর সে ব্যক্তির জন্য একজন অন্ধ ও বধির ফেরেশতাকে নিয়োগ করা হয় এবং তার হাতে এমন একটা লোহার মুগুর থাকে, যদি তা দিয়ে দুনিয়ার কোন পাহাড়ের উপর আঘাত করা হয়, তবে তা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে মাটিতে পরিণত হবে। এরপর সে ফেরেশতা মুগুর দিয়ে তাকে এমনভাবে পিটাতে থাকে, যার শব্দ জ্বীন ও ইনসান ব্যতীত পূর্ব-পশ্চিমের সমস্ত মাখলূক (সৃষ্টজীব) শুনতে পায় এবং তার দেহ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ধূলায় পরিণত হয়। এরপর তার মধ্যে পুনরায় রুহ ফুঁকে দেয়া হয়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং- ৪৬৭৮)
সুতরাং একথা স্পষ্ট হয়ে গেলো যে, কবরে মানুষকে কিভাবে জান্নাতের শান্তি বা জাহান্নামের শাস্তি প্রদান করা হবে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো রমযান মাসে কি কবরবাসীকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য মাসিক আল কাউসারে প্রকাশিত একটি ছোট্ট প্রবন্ধ তুলে ধরছি :
রমযান মাসে কি কবরের আযাব মাফ থাকে?
অনেক মানুষকেই বলতে শোনা যায়, ‘রমযান মাসে কবরের আযাব মাফ থাকে’। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়; কুরআন-হাদীসে এ বিষয়ে কিছু বর্ণিত হয়নি।
তেমনিভাবে কিছু মানুষকে একথাও বলতে শোনা যায় যে, ‘দাফনের পর জুমা বা রমযান এলে কিয়ামত পর্যন্ত কবরের আযাব মাফ হয়ে যায়!’ এ কথারও কোনো ভিত্তি নেই। এ বিষয়ে ইতিপূর্বে (এপ্রিল ২০১২ ঈ.) আমরা এ বিভাগেই লিখেছি।
আল্লাহ সকলকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন! আসলে কবরের আযাব হওয়া না-হওয়ার সাথে রমযানের কোনো সম্পর্ক নেই; ব্যক্তির ঈমান ও নেক আমলের সাথে এর সম্পর্ক। ব্যক্তির উচিত ঐসকল আমল থেকে বিরত থাকা, যার কারণে কবরের আযাব হয় এবং সাথে সাথে ঐসকল আমলের প্রতি যত্নবান হওয়া, যার মাধ্যমে কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে।
তবে হাঁ, রোযাদার অবস্থায় ইন্তেকাল করলে তার বিশেষ ফযীলত রয়েছে। হুযায়ফা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
... وَمَنْ صَامَ يَوْمًا ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللهِ خُتِمَ لَهُ بِهَا دَخَلَ الْجَنّةَ.
قال الهيثمي : رَوَاهُ أَحْمَدُ، وَرِجَالُهُ رِجَالُ الصّحِيحِ غَيْرَ عُثْمَانَ بْنِ مُسْلِمٍ الْبَتِّيِّ وَهُوَ ثِقَةٌ.
যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এক দিন রোযা রাখে এবং এ রোযা হয় তার জীবনের শেষ আমল (অর্থাৎ রোযাদার অবস্থায় তার ইন্তেকাল হয়) সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৩৩২৪; আলআসমা ওয়াস সিফাত, বায়হাকী, হাদীস ৬৫১; মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস ১১৯৩৫
অর্থাৎ রোযাদার অবস্থায় ইন্তেকাল করলে, আশা করা যায়, আল্লাহ তাকে মাফ করে দেবেন। কিন্তু রমযান মাসে কবরের আযাব মাফ- এমন কোনো কথা পাওয়া যায় না।
সম্ভবত একটি বিষয় থেকে মানুষের মাঝে এ ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। হাদীস শরীফে এসেছে-
إِذَا كَانَتْ أَوّلُ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ، صُفِّدَتِ الشّيَاطِينُ، وَمَرَدَةُ الْجِنِّ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النّارِ، فَلَمْ يُفْتَحْ مِنْهَا بَابٌ، وَفُتِحَتْ أَبْوَابُ الْجَنّةِ، فَلَمْ يُغْلَقْ مِنْهَا بَابٌ، وَنَادَى مُنَادٍ: يَا بَاغِيَ الْخَيْرِ أَقْبِلْ، وَيَا بَاغِيَ الشّرِّ أَقْصِرْ، وَلِلهِ عُتَقَاءُ مِنَ النّارِ، وَذَلِكَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ.
যখন রমযানের প্রথম রাতের আগমন ঘটে, তখন দুষ্ট জিন ও শয়তানদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়, (সারা মাস) একটি দরজাও খোলা হয় না এবং জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, (সারা মাস) একটি দরজাও বন্ধ করা হয় না। একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে- হে কল্যাণের প্রত্যাশী! আরো অগ্রসর হও। হে অকল্যাণের যাত্রী! ক্ষান্ত হও। আর আল্লাহ তাআলা এ মাসের প্রতি রাতে অসংখ্য মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৬৪২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদীস ১৮৮৩; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ১৫৩২
এ বর্ণনার ‘জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়’- এখান থেকে হয়ত কারো মাঝে এ ধারণার সৃষ্টি হয়েছে যে, তাহলে রমযানে কবরের আযাবও বন্ধ থাকে।
যাইহোক, রমযানে জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ থাকে, প্রতি রাতে আল্লাহ বহু মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন এবং রোযাদার অবস্থায় ইন্তেকাল করলে আশা করা যায় আল্লাহ তাআলা মাফ করে দেবেন এবং জান্নাতে দাখেল করবেন- এগুলো সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। কিন্তু রমযানে কবরের আযাব মাফ থাকে- এমন কোনো কথা পাওয়া যায় না।
و الله أعلم بالصواب
والله اعلم بالصواب
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা ৷
মন্তব্য (০)
কোনো মন্তব্য নেই।
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
২৮৮৪৪
دقائق الأخبار في ذكر الجنة والنار কিতাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
চট্টগ্রাম

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ
৯০৬৩৮
মালাকুল মউত কি শুধু মানুষের জান কবজ করে?
২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
Sylhet, Bangladesh

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী
৭০৩৩
৩০ জুন, ২০২১
মিঠামইন

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ
৫০৭৬১
জান্নাত জাহান্নামের সংখ্যা কয়টি? সেগুলোর কয়টি দরজা আছে?
৪ জানুয়ারী, ২০২৪
Dhaka

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
সাম্প্রতিক প্রশ্নোত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে