প্রশ্নঃ ১৮৬৪৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, স্বপ্নের তাবির জানতে চাই,একদিন দেখলাম আমাকে দাপন করা হয়েছে, আর আমি চিৎকার করে বলতেছি এখনি কেনো আমাকে আর একটু সময় দাও সন্তানদের কে একটা ফয়সালা করি, ওদের জন্য কিছু করা হয়নি এখনোও অনেক বাকি ওরা কয় যাবে এইভাবে জেগে উঠলাম, । নিজেকে প্রায় ই এখন মৃত লাশের মত কাপনে মোড়ানো অবস্থায় আবিস্কার করি। আবার কখনোও নিজেকে মক্কা মদিনার দিকে যেতে দেখি। আবার কখনোও নিজেকে নামাজের ইমামতিতে। ইদানীং খুব আশ্চর্যজনক স্বপ্ন দেখছি। তবে ঘুমে বা জেগে চোখ বন্ধ করলেই কাপনের কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় আবিস্কার করতেছি সত্যি অনেক ভয় কাজ করতেছে ইদানীং অনেক অনেক ভয় কি হতে পারে এই স্বপ্ন গুলোর তাবির
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
স্বপ্ন সম্পর্কে প্রথম কথা হলো- স্বপ্ন এক রহস্যময় জগত। আমাদের বাস্তব জীবনের আনেক কিছুই স্বপ্নের সাথে মিলে না। স্বপ্নে আমরা আনেক আনন্দদায়ক জিনিস দেখি কিন্তু বাস্তবে দেখি তার উল্টো।আবার কিছু জিনিস আছে স্বপ্নে বেদনাদায়ক হলেও বাস্তবে সেটা অত্যন্ত অনন্দদায়ক। আমাদের জীবন পদ্ধতি, কাজ-কর্ম, চলা-ফেরা, চিন্তা-চেতনা এবং আচার-অনুষ্ঠানের অনেক ভাবনাই কখনো কখনো স্বপ্ন হিসেবে আমাদের কাছে ফোটে উঠে। মানসিক চাপ, পারিবারিক অশান্তি ইত্যাদীও অনেক সময় স্বপ্নে ধরা দেয়। কাজেই স্বপ্নকে কখনো এরচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিবেন না।
কোনো দুঃস্বপ্ন দেখলে করণীয় হলো,
এক. স্বপ্নের অনিষ্ট ও ক্ষতি থেকে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা। তিনবার ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ পড়া। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২)।
দুই. শরীরের বাঁ দিক করে তিনবার (বাতাসে আদ্র ধরনের) থুথু নিক্ষেপ করবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬১)
তিন. যে কাত হয়ে ঘুমিয়ে খারাপ স্বপ্ন দেখেছে, সে কাত পরিবর্তন করে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে শোবে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬২) অবস্থা বদলে দেওয়ার ইঙ্গিতস্বরূপ এটা করা হয়ে থাকে।
চার. খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারও কাছে বলবে না। আর নিজেও এর ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করবে না। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৮৩)
পাঁচ. নামাজ পড়বে। (মুসলিম, হাদিস : ২২৬৩)
সম্মানিত প্রশ্নকারী!
এখন আপনার জন্য করণীয় হল, ইসলামের প্রত্যেকটি বিধানকে গুরুত্ব সহকারে মেনে চলা । বিশেষকরে সঠিক সময়ে সালাত আদায় করা। ফরজ রোজার এহতেমাম করা, সম্পদ থাকলে হিসেব করে যাকাত আদায় করা এবং হজ ফরজ হলে হজ করা। পর্দাপুশিদা, হালাল-হারাম নির্ণয় করে চলা। অধিনস্ত লোকদের হক আদায় করা। ঋণ থাকলে দ্রুত আদায় করে দেওয়া সাধ্যমতো দান-সদকাহ করা। এক কথায় মানুষ যেহেতু মরণশীল কাজেই নিজেকে সবসময় মৃত্যু পথের যাত্রীভেবে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর প্রস্তুতি নেওয়া। আল্লাহ তায়ালা আমাদের দুনিয়া ও আখেরাত কল্যাণময় করুন। আমিন।
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন