আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

জিব্রাইলকে নিয়ে আজগুবী গল্প!

প্রশ্নঃ ১৮৬০৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, জিবরাঈল (আঃ) কে আল্লাহ তায়ালা তৈরী করলেন।জিবরাঈল (আঃ) আল্লাহ তায়ালাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহ আপনি কিসে খুশি হন??আল্লাহ তায়ালা জানিয়ে দিলেন আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হই আমার বান্দা যখন আমাকে সিজদাহ্ করে। অতঃপর জিবরাঈল (আঃ) আল্লাহ তায়ালা কে সিজদাহ্ করলেন, ৩০ হাজার বছর ধরে।জিবরাঈল (আঃ) মনে মনে খেয়াল করলেন, আমার থেকে এত বড় দামি, এত বড় লম্বা সিজদাহ্ দুনিয়ার আর কেউ করতে পারবে না।আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয় আমার প্রতি খুশি হবেন।জিবরাঈল (আঃ) আল্লাহ তায়ালার দিকে মুতাহজ্জির হয়ে রইলেন, কিন্তু আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কোন খুশির বাণী জানানো হলো না, জিবরাঈল (আঃ) আল্লাহ তায়ালা কে জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহ আমি যে এত লম্বা সিজদাহ্ করলাম আপনি কি আমার সিজদার প্রতি কোন খুশি হন নাই? আল্লাহ তায়ালা জানিয়ে দিলেন- জিবরাঈল তোমার জবাব আমি দেব তার আগে তুমি একটু আরশে আজিমের দিকে তাকাও, জিবরাঈল (আঃ) তাকিয়ে দেখলেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরশে আল্লাহর কুদরতী নূর দ্বারা লিখা রয়েছে- ''লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ''জিবরাইল (আঃ) জিজ্ঞাসা করলেন- হে আল্লাহ্!! আমার সিজদার সঙ্গে এই কালিমার কি মিল?? আল্লাহ তায়ালা বললেন, ও জিবরাইল শোন আমি আল্লাহ এ দুনিয়া তৈরী করব ওই দুনিয়ার মানব জাতি ও জ্বীন জাতির হিদায়াতের জন্য লক্ষাধিক নবী-রাসূলগনকে পাঠাব সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে পাঠাব এই নবীর উম্মতের উপরে আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরয করব আর প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে সতেরটা করে রাকাত আমার জন্য ফরয করব প্রত্যেকটা রাকাতের মধ্যে দুটি করে সিজদা হবে আর প্রত্যেকটা সিজদার মধ্যে ওই নবীর উম্মত তিনবার করে " সুবহা-না রাব্বিয়াল আলা " পাঠ করবে। জিবরাইল তুমি জেনে রাখ আমার ওই মাহবুব নবীর উম্মত যখন সিজদায় গিয়ে "সুবহা-না রাব্বিয়াল আলা" বলে আমাকে ডাক দিবে, জিবরাইল তুমি ৩০ হাজার বছর সিজদাহ্ করে যে নেকি পেয়েছ, আমি আল্লাহ্ আমার বান্দার আমল নামায় এর থেকে ও ৪০ হাজার গুন বেশি নেকি লিখে দিব, সুবহানাল্লাহ।।🥀এই জন্য মুসা (আঃ) কাঁদছেন, আল্লাহ!! আমাকে ওই নবীর উম্মত বানাইয়া দাও, যে নবীর উম্মত এক সিজদায় জিবরাঈল (আঃ) এর সারা জীবনের ৩০ হাজার বছরের সিজদার নেকি নিয়ে গেল।।আমরা সেই নবীর উম্মত আমাদের কি করা উচিত আর আমরা কি করছি..??পুরো বিষয়টি কতটা সহি একটু জানালে উপকৃত হব?

২২ মে, ২০২৪
GHC৩+M২W - Nahil - Abu Dhabi - সংযুক্ত আরব আমিরাত (AE)

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মুহতারাম, বিষয়টি মোটেও সহীহ নয়।

প্রথমতঃ হাদীসের সকল প্রসিদ্ধ অপ্রসিদ্ধ কিতাবে বহু খুঁজেও এ বর্ণনার কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এর সনদের বিচার বিশ্লেষণ তো আরো পরের কথা।

দ্বিতীয়তঃ মুহাদ্দিসীনে কিরাম জাল বর্ণনার নির্ণয়ে একাধিক উসূল বাতলে গিয়েছেন, যার অন্যতম হলোঃ
বর্ণনাটি নিজেই তার জাল-ভিত্তিহীন হবার প্রমাণ বহন করে। এবং প্রশ্নোক্ত বর্ণনা সেসবের অন্তর্ভুক্ত।
এখানে, জিবরাঈল আঃ এবং মুসা আঃ এর শানপরিপন্থী কথাবার্তা এসেছে, যা সরাসরি শরীয়তের উসুল ও মেযাজের খেলাফ।

অতএব, এসব ভিত্তিহীন বর্ণনা অনুযায়ী আমল করার কোন সুযোগ নেই।

والله اعلم بالصواب

মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন