আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৮৪৩১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার একটা ছেলে বন্ধু আছে সে অনেক ভালো ।সে ইসলামে বিধান অনুসারে জীবন পরিচালনা চেষ্টা করে।তাকে দেখলে বা তার কথা শুনলে আমি ও ইসলামের বিধান অনুসারে চলতে মন চাই এবং সকল পাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে ইচ্ছা করে ।আমি তাকে ভাই বানাচি এবং সে আমাকে বোন ভাবে ।আমরা সামাজিক যোগাযোগ একটু কথা বলি । এখন আমার ওর সাথে কথা বলা যাবে কি

১৫ মে, ২০২২
জয়পুরহাট

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





গায়ের মাহরাম নারী-পুরুষের মাঝে পর্দা রক্ষা করা আবশ্যক। আর শরিয়তের বিধান অনুসারে যাদের সাথে পর্দা রক্ষা করা ওয়াজিব তাদের সাথে দেখা সাক্ষাত করা কিংবা একান্ত প্রয়োজন না হলে কথা বলা জায়েজ নাই। কাজেই প্রশ্নোক্ত ব্যক্তি যেহেতু আপনার মাহরাম নয় তাই তার সাথেও আপনার দেখা সাক্ষাত করা, ভিডিও কল করা, ছবি আদান প্রদান করা, কিংবা শরঈ প্রয়োজন ছাড়া কথা বলা (আপাতদৃষ্টিতে তার সাথে শরঈ কোনো প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট আছে বলেও মনে হয় না।) কোনোটিই জায়েজ নাই। আপনারা পরস্পরকে ভাই-বোন বলে সম্ভোধন/স্বীকৃতি দিলেও এজাতীয় সম্পর্কের কারণে পর্দার বিধানে কোনো ব্যত্যয় ঘটানো যায় না। বরং অতীত এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে এজাতীয় সম্পর্ক যেকোনো মুহূর্তে ভয়াবহ বিপদের কারণ হয়ে ওঠতে পারে।

আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনুল কারীমে ইরশাদ করেন।

قُلۡ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ یَغُضُّوۡا مِنۡ اَبۡصَارِہِمۡ وَیَحۡفَظُوۡا فُرُوۡجَہُمۡ ؕ ذٰلِکَ اَزۡکٰی لَہُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا یَصۡنَعُوۡنَ

“মুমিন পুরুষদের বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এটাই তাদের জন্য শুদ্ধতর। তারা যা-কিছু করে আল্লাহ সে সম্পর্কে পরিপূর্ণ অবগত”।


وَقُلۡ لِّلۡمُؤۡمِنٰتِ یَغۡضُضۡنَ مِنۡ اَبۡصَارِہِنَّ وَیَحۡفَظۡنَ فُرُوۡجَہُنَّ وَلَا یُبۡدِیۡنَ زِیۡنَتَہُنَّ اِلَّا مَا ظَہَرَ مِنۡہَا وَلۡیَضۡرِبۡنَ بِخُمُرِہِنَّ عَلٰی جُیُوۡبِہِنَّ ۪ وَلَا یُبۡدِیۡنَ زِیۡنَتَہُنَّ اِلَّا لِبُعُوۡلَتِہِنَّ اَوۡ اٰبَآئِہِنَّ اَوۡ اٰبَآءِ بُعُوۡلَتِہِنَّ اَوۡ اَبۡنَآئِہِنَّ اَوۡ اَبۡنَآءِ بُعُوۡلَتِہِنَّ اَوۡ اِخۡوَانِہِنَّ اَوۡ بَنِیۡۤ اِخۡوَانِہِنَّ اَوۡ بَنِیۡۤ اَخَوٰتِہِنَّ اَوۡ نِسَآئِہِنَّ اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُہُنَّ اَوِ التّٰبِعِیۡنَ غَیۡرِ اُولِی الۡاِرۡبَۃِ مِنَ الرِّجَالِ اَوِ الطِّفۡلِ الَّذِیۡنَ لَمۡ یَظۡہَرُوۡا عَلٰی عَوۡرٰتِ النِّسَآءِ ۪ وَلَا یَضۡرِبۡنَ بِاَرۡجُلِہِنَّ لِیُعۡلَمَ مَا یُخۡفِیۡنَ مِنۡ زِیۡنَتِہِنَّ ؕ وَتُوۡبُوۡۤا اِلَی اللّٰہِ جَمِیۡعًا اَیُّہَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ

“আর মু’মিন নারীদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে; তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশ থাকে তা ব্যতীত তাদের আভরণ প্রদর্শন না করে, তাদের গ্রীবা ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দিয়ে আবৃত করে, তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, আপন নারীগণ, তাদের মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদের মধ্যে যৌন কামনা-রহিত পুরুষ এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক ব্যতীত কারও নিকট তাদের আভরণ প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন আভরণ প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে। হে মু’মিনগণ! তোমরা সকলে আল্লাহ্ র দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার”।
—সুরা আন নূর - ৩০,৩১

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন