আমি চরম গুনাহগার! তাওবার উপায়
প্রশ্নঃ ১৮৩৪৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হুজুর আমি গুনাগার।গুনাহের আসামি। আমার মতন গুনাগার বান্দা আসমানের নিচে জমিনের উপরে নাই। কেন নয় আমি যিনাকারী। আমি ব্যভিচারিণী। আমি কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলি। আমার মতন মিথ্যা কথা বলার এই পৃথিবীতে দ্বিতীয়জন নাই। এবং আমি সদা সর্বদায় হস্তমৈথুন করি। এর সাথে যত রকমের গুনাহ আছে আমি নিজে করি। এবং আমি বিবাহ করেছি। আর আমার একটি বাচ্চা আছে। তা থাকা সত্বেও আমি স্ত্রীকে তালাক দিতে চাই। এখন আমার করনীয় কি? দয়া করে আমাকে সঠিক রাস্তা দেখাবেন আশা করি।
২২ মে, ২০২৫
Selangor
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আপনার জীবনে যা কিছু হয়েছে এর জন্য আল্লাহ তায়ালার দরবারে কায়মনোবাক্যে তাওবা করুন। অতীতের সকল বদঅভ্যাস পরিহার করুন। মিথ্যা ছাড়ুন। ভবিষ্যতে এমন গর্হিত কাজের দিকে পা না বাড়ানোর ব্যাপারে দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ হোন। নামাজ রোজা তাসবিহ, তাহলিল, যিকির তেলাওয়াত ইত্যাদীতে নিজের সময়কে কাজে লাগাতে চেষ্ট করুন। শতভাগ পর্দা করুন। সাধ্যমতো নিজের সম্পদ থেকে দান সদকা করুন। এক কথায় পূর্ণ দ্বিনের অনুসরণ করুন। তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা আতিতের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন
وَمَنْ أَعْرَضَ عَن ذِكْرِي فَإِنَّ لَهُ مَعِيشَةً ضَنكًا وَنَحْشُرُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْمَىٰ
“অর্থ, আর যে আমার উপদেশ (দ্বীন, ইমান, কুরআন, শরিয়ত) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবন হবে বড় সংকটময়। আর কিয়ামতের দিন আমি তাকে অন্ধ করে উঠাব। (ত্বহা: ১৩৫)
নেককার বান্দাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা সুরা নাহলের ৯৭ নং আয়াতে ইরশাদ করেন,
مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً ۖ وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
অর্থ, যে ব্যক্তিই মুমিন থাকা অবস্থায় সকর্ম করবে, সে পুরুষ হােক বা নারী, আমি অবশ্যই তাকে উত্তম। জীবন যাপন করাব এবং তাদেরকে তাদের উৎকৃষ্ট কর্ম অনুযায়ী তাদের প্রতিদান অবশ্যই প্রদান করব। (নাহল:৯৭)
সুতরাং গুনাহ বর্জন এবং আল্লাহ তায়ালার দিকে প্রত্যাবর্তন ছাড়া জীবনে সুখ তালাশ করা অর্থহীন।
#আর মনে রাখবেন তালাকই দাম্পত্য কলহের সমাধান নয়। বরং তার আগেই আরো অনেকগুলো স্টেপ অতিক্রম করতে হয়। কাজেই পারিবারিকভাবেই বিষয়গুলো সমাধানের চেষ্টা করুন । সেক্ষেত্রে মান-অভিমান, মান্যবর ব্যক্তিদের মধ্যস্থতা, ওলামায়ে কেরামের নসিহত এবং অভিজ্ঞতালব্ধ উপদেশ ইত্যাদীর মাধ্যমে বিষয়গুলো সমাধানযোগ্য হতে পারে বলে আমরা আশা করি। আল্লাহ তায়ালা সহজ করুন। আমিন।
والله اعلم بالصواب
মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
আল কুরআনুল কারীম
৪
হাদীস ও সুন্নাহ
৬
তাসাউফ-আত্মশুদ্ধি । ইসলাহী পরামর্শ
৩
শরীআত সম্পর্কিত
১৪
ফিতনাসমুহ; বিবরণ - করণীয়
২
আখিরাত - মৃত্যুর পরে
৩
ঈমান বিধ্বংসী কথা ও কাজ
৬
ফিরাকে বাতিলা - ভ্রান্ত দল ও মত
২
পবিত্রতা অর্জন
৮
নামাযের অধ্যায়
১৯
যাকাত - সদাকাহ
৫
রোযার অধ্যায়
৬
হজ্ব - ওমরাহ
২
কাফন দাফন - জানাযা
৫
কসম - মান্নত
১
কুরবানী - যবেহ - আকীকা
৪
বিবাহ শাদী
৮
মীরাছ-উত্তরাধিকার
২
লেনদেন - ব্যবসা - চাকুরী
৯
আধুনিক মাসায়েল
৬
দন্ড বিধি
২
দাওয়াত ও জিহাদ
৩
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
৬
সীরাতুন নবী সাঃ । নবীজীর জীবনচরিত
৩
সাহাবা ও তাবেঈন
৩
ফাযায়েল ও মানাকেব
৩
কিতাব - পত্রিকা ও লেখক
৩
পরিবার - সামাজিকতা
৭
মহিলা অঙ্গন
২
আখলাক-চরিত্র
২
আদব- শিষ্টাচার
১২
রোগ-ব্যধি। চিকিৎসা
২
দোয়া - জিকির
২
নাম। শব্দ জ্ঞান
৩
নির্বাচিত
২
সাম্প্রতিক
১
বিবিধ মাসআলা
১