و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি যেদিন সউদি আরবে ঈদ উদযাপন করে আপনিও সেদিন ঈদ উদযাপন করবেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের হিসেবে আপনার যেই রোজাটি কম হয়েছে সেটা কাজা করে নিবেন। তবে সউদি আরব যেদিন ঈদ পালন করছে তার আগের দিন যদি আপানার রোজা (বাংলাদেশের হিসেবে) ২৯ টি হয়ে যায়। তাহলে পরবর্তীতে আরেকটি রোজা কাজা করতে হবে না।
হাদিস শরিফে আছে। সাঈদ ইবনে আমর ইবনে ‘উমর (রাযিঃ) কে রাসূলুল্লাহ সা. এর এই হাদিস বলতে শোনেছেন যে,নবী (ﷺ) বলেন,
‏ "‏ إِنَّا أُمَّةٌ أُمِّيَّةٌ، لاَ نَكْتُبُ وَلاَ نَحْسُبُ الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا ‏"‏‏.‏ يَعْنِي مَرَّةً تِسْعَةً وَعِشْرِينَ، وَمَرَّةً ثَلاَثِينَ
আমরা উম্মী জাতি। আমরা লিখি না এবং হিসাবও করিনা। মাস এরূপ অর্থাৎ কখনও উনত্রিশ দিনের আবার কখনও ত্রিশ দিনের হয়ে থাকে।

কাজেই যদি আপনা রোজা ২৯ দিনের কম হয় তাহলে পরবর্তীতে একটি কাজা করে নিতে হবে। আর যদি সউদির ঈদের আগেই আপনার রোজা ২৯ টি পুরা হয় যায় তাহলে পরবর্তীতে কোনো রোজা কাজা করতে হবে না।

والله اعلم بالصواب