আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৬৯৩৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কোনো লোক রোজা রাখে কিন্তু নামাজ পড়ে না তার রোজা কি শুধু অনাহারে থাকা নই?আবার কোনো লোক যদি রোজা রাখে,আবার জেনে বোঝে প্রতিদিন ১ ওয়াক্ত নামাজ না পড়ে তার রোজাও কি অনাহারে থাকা নই?কোনো লোক যদি রোজা রাখা,আবার যদি প্রতিদিন জেনে বোঝে ১ ওয়াক্ত নামাজও না পড়ে,তাহলে কি তার রোজা কবুল হবে? এমতাবস্থায় আমি কি তাকে বলতে পারি যে আপনার রোজা রাখার ধরকার নেই?তা শুধু মাত্র পিপাসায় থাকা?

১৮ এপ্রিল, ২০২২
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





সম্মানিত প্রশ্নকারী! কোনো রোজাদার যতবড় অন্যায়ই করুক আপনি তাকে “ আপনার রোজা রাখার দরকার নাই। তা শুধুমাত্র পিপাসায় থাক “ বলতে পারেন না। এমনিভাবে যারা রোজা রেখে নামাজের এহতেমাম করে না তাদেরও একথা বলেতে পারেন না যে “আপনার রোজা উপবাস ছাড়া কিছুই নয়”!! কেননা রোজা একটি ভিন্ন আমল, নামাজ আরেকটি ভিন্ন আমল। উভয়ের জাজা এবং সাজা ভিন্নভিন্ন।

ফুকাহায়ে কেরাম রোজার সঙ্গায় বলেছেন, রোজা হলো, সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকলপ্রকার পানাহার এবং যাবতীয় যৌনকর্ম থেকে বিরত থাকার নাম । (ত্বহাবী) যদিও আল্লাহ তায়ালা রোজার বিধান দিয়েছেন মানুষকে মুত্তাকি বানানোর জন্য, যেন মানুষ এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে বাকী এগারো মাস সেই দিক্ষা তার জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারে। এখন যদি কেউ রামজানেই সেগুলোর ব্যাপারে উদাসীন থাকে তাহলে সেটা নিশ্চয়ই অত্যন্ত দুঃখজনক! তথাপিও তাকে এমন কিছু বলা বৈধ হবে না যার ফলে সে রোজা রাখাও ছেড়ে দেয়। বরং তাকে অত্যন্ত কোমলভাবে দরদ, ভালোবাসা এবং মোহাব্বতের সাথে নামাজের ব্যাপারেও ‍উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নামাজে আদায়ের প্রয়োজনীয়তা এবং না পড়লে তার ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করতে হবে। তা না হলে যদি কারো রূঢ় অচরণ কিংবা কটুকথার কারণে সে রোজাও ছেড়ে দেয় তাহলে তার গুনাহের একটা অংশ ওই ব্যক্তির ওপরও বর্তাবে।
আল্লাহ তালায়া আমাদের সবাইকে হেকমত ও প্রজ্ঞার সাথে দ্বিনের সৌন্দর্য তুলে ধরার তাওফিক দান করুন।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন