প্রশ্নঃ ১৬৮৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মুসলিম, যারা কালিমা পড়েছে কিন্তু পরবর্তী জীবনে ঠিকমতো ইবাদত করেনি। যেমন কখনো কখনো নামায পড়েছে, আবার পড়েনি। তারা কি চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে? নাকি আযাবের পর জান্নাত লাভ করবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যেসব ঈমানদার ইসলামের বিধি-নিষেধ পুরোপুরি মেনে চলেনি এবং গুনাহ থেকে তওবা না করে মৃত্যুবরণ করেছে তাদেরকে আল্লাহ তাআলা আপন অনুগ্রহে ক্ষমাও করে দিতে পারেন অথবা তাদের কৃতকর্মের কারণে শাস্তিও দিতে পারেন। তবে গুনাহের কারণে তারা জাহান্নামে গেলেও চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে না; বরং এক সময় আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ঈমানের কারণে নিজ অনুগ্রহে জান্নাত দিবেন। কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা বলেন, (তরজমা) নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তার সাথে শিরক করা ক্ষমা করবেন না। তবে এছাড়া অন্যান্য গুনাহ যার জন্য ইচ্ছা ক্ষমা করবেন। আর যে কেউ আল্লাহর শরীক সাব্যস্ত করল সে মারাত্মক অপবাদ আরোপ করল।-সূরা নিসা : ৪৮
হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত উসমান রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এ বিশ্বাসের উপর মৃত্যুবরণ করবে যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো মাবুদ নেই, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬
অপর হাদীসে আছে, আবু সায়ীদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতবাসীরা জান্নাতে এবং জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। অতপর আল্লাহ তাআলা (ফেরেশতাদেরকে) বলবেন, যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণও ঈমান আছে তাকে জাহান্নাম হতে বের করে আনো। তারপর তাদেরকে এমন অবস্থায় বের করা হবে যে, তারা (পুড়ে) কালো হয়ে গেছে। অতপর তাদেরকে বৃষ্টির নদীতে বা হায়াতের নদীতে নিক্ষেপ করা হবে। ফলে তারা সতেজ হয়ে উঠবে। যেমন নদীর তীরে ঘাসের বীজ গজিয়ে উঠে। তুমি কি দেখতে পাও না,সেগুলো কেমন হলুদ বর্ণের বক্র হয়ে গজায়? -সহীহ বুখারী, হাদীস ২২; উমদাতুল কারী ১/১০৪;আলফিকহুল আকবার ৫৭
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন