আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

হায়েজের মাসয়ালা (হাদিস+অনুবাদ)

প্রশ্নঃ ১৬৭৭৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার প্রশ্ন হলো যে আমার হায়েয বা মাসিক শেষ হাওয়ার পর আমি রোজা ও নামাজ শুরু করি । কিন্তু হঠাৎ রাতে ব্লাড বের হয় আবার বন্ধ হয়ে যায়। আমি ফরজ গোসল করে রোজা রাখছি আমার রোজা কি হবে? আবার সারাদিন কোনো কিছু থাকে না রাতে একটু বাদামী রঙের দেখা যায় এখন আমার করনীয় কি? জানাবেন প্লিজ।,

১৩ মে, ২০২৪

চট্টগ্রাম

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

শরিয়তের দৃষ্টিতে হায়েজের সর্বনিম্ম সময়সীমা তিনদিন এবং সর্বোচ্চ সময়সীমা দশদিন। তবে এক্ষেত্রে সাধারণত অধিকাংশ নারীর একটা নির্দিষ্ট মেয়াদকাল থাকে। পাঁচদিন, সাতদিন বা আটদিন ইত্যাদী। ওই দিনগুলোতে এক দুই ফোঁটা করেও যদি ব্লিডিং হয় (ব্লাডের রঙে যাই হোক) তাহলে সেটা হায়েজ হিসেবেই গণ্য হবে। তখন তিনি নামাজ রোজা করবেন না। অনুরূপভাবে কখনো যদি তার নিজস্ব মেয়াদকাল অতিক্রান্ত হওয়ার পরও দশদিনের মধ্যে কোনো ব্লিডিং দেখা যায় তাহলে সেটাও হায়েজ হিসেবে গণ্য হবে এবং ধরে নিতে হবে যে তার নিজস্ব মেয়াদকাল পরিবর্তণ হচ্ছে। কাজেই এমন অবস্থা হলে দশ দিনের মধ্যে তিনি নামাজ রোজা করবেন না।

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি আপনার ওই অবস্থা দশদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর হয় তাহলে আপানি নামাজ রোজা শুরু করবেন। কিন্তু যদি দশ দিনের ভেতরে হয় তাহলে আপনি দশমদিন পর্যন্ত নামাজ-রোজা বিলম্ব করবেন।

হাদিস শরিফে এসেছে,
عن ابی امامة الباھلی قال قال رسول اللہ ۖ لایکون الحیض للجاریة والثیب الذی قد ایئست من الحیض اقل من ثلاثة ایام ولا اکثر من عشرة ایام فاذا رأت الدم فوق عشرة ایام فھی مستحاضة فمازاد علی ایام اقرائھا قضت ودم الحیض اسود خائر تعلوہ حمرة ودم المستحاضة اصفر رقیق (دار قطنی ، نمبر ٨٣٤)

অন্যত্রে এসেছে
عن واثلة بن الاسقع قال قال رسول اللہ ۖ اقل الحیض ثلاثة ایام و اکثرہ عشرة ایام -(دار قطنی، کتاب الحیض ، ج اول ،ص ٢٢٥ ٨٣٦)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

প্রসঙ্গসমূহ: