আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৬৭২৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, রমজানে ১ টা নেকি করলে ৭০ টা নেকি করার সওয়াব, আবার ১ টা গুনাহ করলে নাকি ৭০ টা গুনাহ আমল নামায় লেখা হয় এটা কি সত্যি।,

১৮ এপ্রিল, ২০২২

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





মুহতারাম,
এক বর্ণনায় (যা সনদের দিক থেকে দুর্বল) বিষয়টি এভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘রমযান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করল সে যেন অন্য মাসে একটি ফযর আদায় করল। আর যে এ মাসে একটি ফরয আদায় করল সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করল। -শুআবুল ঈমান ৩/৩০৫-৩০৬

আরবী পাঠঃ

صحيح ابن خزيمة (3/ 191)
1887 - ثنا علي بن حجر السعدي، ثنا يوسف بن زياد، ثنا همام بن يحيى، عن علي بن زيد بن جدعان، عن سعيد بن المسيب، عن سلمان قال: خطبنا رسول الله صلى الله عليه وسلم في آخر يوم من شعبان فقال: «أيها الناس قد أظلكم شهر عظيم، شهر مبارك، شهر فيه ليلة خير من ألف شهر، جعل الله صيامه فريضة، وقيام ليله تطوعا، من تقرب فيه بخصلة من الخير، كان كمن أدى فريضة فيما سواه، ومن أدى فيه فريضة كان كمن أدى سبعين فريضة فيما سواه، وهو شهر الصبر، والصبر ثوابه الجنة، وشهر المواساة، وشهر يزداد فيه رزق المؤمن، من فطر فيه صائما كان مغفرة لذنوبه وعتق رقبته من النار، وكان له مثل أجره من غير أن ينتقص من أجره شيء» ، قالوا: ليس كلنا نجد ما يفطر الصائم، فقال: " يعطي الله هذا الثواب من فطر صائما على تمرة، أو شربة ماء، أو مذقة لبن، وهو شهر أوله رحمة، وأوسطه مغفرة، وآخره عتق من النار، من خفف عن مملوكه غفر الله له، وأعتقه من النار، واستكثروا فيه من أربع خصال: خصلتين ترضون بهما ربكم، وخصلتين لا غنى بكم عنهما، فأما الخصلتان اللتان ترضون بهما ربكم: فشهادة أن لا إله إلا الله، وتستغفرونه، وأما اللتان لا غنى بكم عنهما: فتسألون الله الجنة، وتعوذون به من النار، ومن أشبع فيه صائما سقاه الله من حوضي شربة لا يظمأ حتى يدخل الجنة "
[التعليق] قال الأعظمي: إسناده ضعيف علي بن زيد بن جدعان ضعيف

شعب الإيمان (5/ 224)
3336 - أخبرنا أبو عبد الله الحافظ، أخبرنا أبو بكر إسماعيل بن محمد الضرير بالري، حدثنا محمد بن الفرج الأزرق، حدثنا عبد الله بن بكر السهمي، حدثنا إياس بن عبد الغفار، عن علي بن زيد بن جدعان ح وأخبرنا أبو نصر بن قتادة، حدثنا أبو عمرو إسماعيل بن نجيد، حدثنا جعفر بن محمد بن سوار، أخبرني علي بن حجر ح وحدثنا أبو سعد عبد الملك بن أبي عثمان الزاهد، أخبرنا أبو عمرو محمد بن جعفر بن مطر، أخبرنا جعفر بن أحمد بن نصر الحافظ، حدثنا علي بن حجر ح وأخبرنا أبو زكريا بن أبي إسحاق المزكي، حدثنا والدي، قال: قرئ على محمد بن إسحاق بن خزيمة، أن علي بن حجر السعدي حدثهم، حدثنا يوسف بن زياد، عن همام بن يحيى، عن علي بن زيد بن جدعان، عن سعيد بن المسيب، عن سلمان الفارسي، قال: خطبنا رسول الله صلى الله عليه وسلم في آخر يوم من شعبان فقال: " يا أيها الناس قد أظلكم شهر عظيم، شهر مبارك، شهر فيه ليلة خير من ألف شهر، جعل الله صيامه فريضة، وقيام ليله تطوعا، من تقرب فيه بخصلة من الخير كان كمن أدى فريضة فيما سواه، ومن أدى فريضة فيه كان كمن أدى سبعين فريضة فيما سواه، وهو شهر الصبر، والصبر ثوابه الجنة، وشهر المواساة، وشهر يزاد في رزق المؤمن، من فطر فيه صائما كان له مغفرة لذنوبه، وعتق رقبته من النار، وكان له مثل أجره من غير أن ينقص من أجره شيء " قلنا: يا رسول الله، ليس كلنا يجد ما يفطر الصائم، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " يعطي الله هذا الثواب من فطر صائما على مذقة لبن أو تمرة أو شربة من ماء، ومن أشبع صائما سقاه الله من حوضي شربة لا يظمأ حتى يدخل الجنة، وهو شهر أوله رحمة، وأوسطه مغفرة، وآخره عتق من النار من خفف عن مملوكه فيه غفر الله له وأعتقه من النار " زاد همام في روايته: " فاستكثروا فيه من أربع خصال، خصلتان ترضون بها ربكم، وخصلتان لا غنى لكم عنهما، فأما الخصلتان اللتان ترضون بها ربكم: فشهادة أن لا إله إلا الله وتستغفرونه، وأما اللتان لا غنى لكم عنهما فتسألون الله الجنة، وتعوذون به من النار " لفظ حديث همام وهو أتم

বর্ণনাটি সহীহ ইবনে খুযাইমা,শুআবুল ঈমান সহ হাদীসের একাধিক কিতাবে বর্ণিত হয়েছে।
তবে বর্ণনাটি সনদের দিক থেকে দুর্বল।

তবে সহীহ হাদীসে এসেছেঃ

وحدثنا أبو بكر بن أبي شيبة، حدثنا أبو معاوية، ووكيع، عن الأعمش، ح وحدثنا زهير بن حرب، حدثنا جرير، عن الأعمش، ح وحدثنا أبو سعيد الأشج، - واللفظ له - حدثنا وكيع، حدثنا الأعمش، عن أبي صالح، عن أبي هريرة، - رضى الله عنه - قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم " كل عمل ابن آدم يضاعف الحسنة عشر أمثالها إلى سبعمائة ضعف قال الله عز وجل إلا الصوم فإنه لي وأنا أجزي به يدع شهوته وطعامه من أجلي للصائم فرحتان فرحة عند فطره وفرحة عند لقاء ربه . ولخلوف فيه أطيب عند الله من ريح المسك " .

আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আদম সন্তানের প্রতিটি আমল দশ গুণ থেকে সাতশত গুণ বাড়য়ে দেয়া হয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন, কিন্তু রোযা; রোযা আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দিব। কারণ সে আমারই জন্য তার কামাচার এবং পানাহার বর্জন করে। রোযা পালনকারী ব্যক্তির জন্য খুশির বিষয় দুটি। একটি খুশি ইফতারের সময়, আরেকটি খুশি তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাতের সময়। তার মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের সুগন্ধ ির চেয়েও অধিক উৎকৃষ্ট। (মুসলীম-১১৫১)

أخبرنا إسحاق بن إبراهيم، قال أنبأنا جرير، عن الأعمش، عن أبي صالح، عن أبي هريرة، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال " ما من حسنة عملها ابن آدم إلا كتب له عشر حسنات إلى سبعمائة ضعف قال الله عز وجل إلا الصيام فإنه لي وأنا أجزي به يدع شهوته وطعامه من أجلي الصيام جنة للصائم فرحتان فرحة عند فطره وفرحة عند لقاء ربه ولخلوف فم الصائم أطيب عند الله من ريح المسك " .

আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে কোন নেককাজ আদম সন্তান করে না কেন তার জন্য দশ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বর্ধিত করে সাওয়াব লিপিবদ্ধ করা হয়। কিন্তু আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ রোযা ব্যতীত, যেহেতু রোযা আমার জন্য এবং আমিই তার প্রতিদান দিব। রোযা পালনকারী আমারই কারণে স্বীয় কামভাব এবং পানাহার পরিত্যাগ করে। রোযা পালনকারীর জন্য রোযা ঢাল স্বরূপ। রোযা পালনকারীর জন্য দু’টি আনন্দ রয়েছে- তার ইফতারের সময় এবং তার রবের সাথে সাক্ষাতের সময়। আর রোযা পালনকারীর (ক্ষুধাজনিত কারণে নির্গত) মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহ তা’আলার কাছে মিশকের সুগন্ধ ি থেকেও অধিক পছন্দনীয়। (নাসাঈ- ২২১৯)

এ সকল বর্ণনার আলোকে আমরা পাই, সাধারণত বান্দার নেক আমল দশ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বর্ধিত করে সাওয়াব লিপিবদ্ধ করা হয়, আর রমযানে এটা আরো বৃদ্ধি পায়।
অতএব, এ মাসের ফযিলতের উল্লেখ নির্দিষ্ট সংখ্যা অনুসারে না করে অসংখ্য-অগনিত ফযিলতের কথা উল্লেখ করা উচিত।

যেরকম এ প্রবন্ধে উল্লেখ হয়েছেঃ

মাহে রমযান বছরের বাকি এগার মাস অপেক্ষা অধিক মর্যাদাশীল ও বরকতপূর্ণ মাস। এ মাসের বিশেষত্ব অনেক।

১. এ মাসেই মানুষ ও জিন জাতির মুক্তির সনদ কুরআন মজীদ একত্রে লাওহে মাহফূয থেকে প্রথম আসমানে বাইতুল ইযযতে অবতীর্ণ হয় এবং রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট সর্বপ্রথম এ মাসেই ওহী অবতীর্ণ হয়। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে- (তরজমা) ‘রমযান মাসই হল সে মাস যাতে নাযিল করা হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়াত এবং সত্যপথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ। -সূরা বাকারা ১৮৫

২. এ মাসে রহমতের দরজা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। হাদীস শরীফে এসেছে- ‘রমযান মাস শুরু হলেই রহমতের দরজা খুলে দেওয়া হয়।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১০৭৯/২

৩. অন্য এক হাদীসে এ মাসের ফযীলত বর্ণিত হয়েছে যে, ‘রমযান মাসের শুভাগমন উপলক্ষে জান্নাতের দরজাসমুহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর শয়তানকে শৃংখলাবদ্ধ করা হয়।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৮৯৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১০৭৯/১

৪. এ মাস জাহান্নাম থেকে নাজাত লাভের মাস। সুতরাং বেশি বেশি ইবাদত ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে মুক্তির পরওয়ানা লাভ করার এটিই সুবর্ণ সুযোগ। হাদীস শরীফে এসেছে- ‘আল্লাহ তাআলা প্রত্যহ ইফতারের সময় অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন।’ -মুসনাদে আহমদ হাদীস ২১৬৯৮

৫. ব্যবসায়ী মহলের একটি বিশেষ মৌসুম থাকে যখন তাদের ব্যবসা হয় খুব জমজমাট ও লাভজনক। সে মৌসুমে বৎসরের অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আয় হয়। আখেরাতের ব্যবসায়ীদের জন্য আখেরাতের সওদা করার উত্তম মৌসুম হল এই রমযান মাস। কেননা এ মাসে প্রতিটি আমলের অনেক গুণ বেশি ছওয়াব পাওয়া যায়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘রমযানের ওমরা হজ্জ সমতুল্য।’ -জামে তিরমিযী, হাদীস ৯৩৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৯৮৬

অন্য এক বর্ণনায় (যা সনদের দিক থেকে দুর্বল) বিষয়টি এভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘রমযান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করল সে যেন অন্য মাসে একটি ফযর আদায় করল। আর যে এ মাসে একটি ফরয আদায় করল সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করল। -শুআবুল ঈমান ৩/৩০৫-৩০৬

অর্থাৎ এ মাসে নফল আদায় করলে অন্য মাসের ফরযের ন্যায় ছওয়াব হয়। আর এ মাসের এক ফরযে অন্য মাসের ৭০ ফরযের সমান ছওয়াব পাওয়া যায়।

এ তো হল রোযা ছাড়া এ মাসের অন্যান্য আমলের ছওয়াব। আর রোযার ছওয়াব সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা নিজেই ইরশাদ করেন- (তরজমা) ‘নিশ্চয় রোযা আমার জন্য, আর এর প্রতিদান স্বয়ং আমিই দিব।’ সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৫১/১৬৫

এ ছওয়াবের পরিমাণ যে কত তা একমাত্র তিনিই জানেন। এ প্রসঙ্গে ‘রোযার ফযীলত’ শিরোনামে আলোকপাত করা হয়েছে।

রমযান মাস রহমত, বরকত, মাগফিরাত, জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভের মাস। তাই এমন মাস পেয়েও যে ব্যক্তি স্বীয় গুনাহ মাফ করাতে পারল না তার জন্য স্বয়ং জিবরাঈল আ. বদদুআ করেছেন এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাহমাতুল্লিল আলামিন হয়েও আমীন বলে সমর্থন জানিয়েছেন। হাদীস শরীফে এসেছে- ‘নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে উঠে আমীন, আমীন, আমীন বললেন। তাঁকে বলা হল, হে রাসূল! আপনি তো এরূপ করতেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, জিবরাঈল আমাকে বললেন, ঐ ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে পিতা-মাতা উভয়কে অথবা একজনকে পেয়েও (তাদের খেদমত করে) জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না। তখন আমি বললাম, আমীন। অতঃপর তিনি বললেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে রমযান পেয়েও নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারল না। আমি বললাম, আমীন। জিবরাঈল আবার বললেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যার নিকট আমার নাম আলোচিত হল অথচ সে আমার উপর দুরূদ পড়ল না। আমি বললাম, আমীন। -আল আদাবুল মুফরাদ : ২২৫, হাদীস ৬৪৬; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৯০৮

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে রমযানের হক আদায় করার তওফীক দান করুন এবং নবীজীর অভিসম্পাৎ থেকে রক্ষা করুন। আমীন!



সূত্রঃ

১-
ثبت في الحديث ، عن أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ ، الْحَسَنَةُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعمِائَة ضِعْفٍ ، قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ : إِلَّا الصَّوْمَ ، فَإِنَّهُ لِي ، وَأَنَا أَجْزِي بِهِ ، يَدَعُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ مِنْ أَجْلِي ) رواه مسلم (1151) .
وقد قرر العلماء في شرحهم لهذا الحديث أن مقتضى ذلك : مضاعفة أجر الصيام أكثر من سبعمائة ضعف ، ونحن ننقل هنا شيئا من تقريراتهم الكثيرة :

قال أبو الوليد الباجي رحمه الله (ت474هـ) :
" فضل تضعيف الصيام ، فأضاف الجزاء عليه إلى نفسه تعالى ، وذلك أنه يقتضي أنه يزيد على السبعمائة ضعف " انتهى من " المنتقى شرح الموطأ " (2/74) .

وقال أبو حامد الغزالي رحمه الله (ت505هـ) :
" وقد قال الله تعالى : ( إنما يوفى الصابرون أجرهم بغير حساب ) ، والصوم نصف الصبر ، فقد جاوز ثوابُه قانون التقدير والحساب " انتهى من " إحياء علوم الدين " (1/231) .

وقال ابن العربي رحمه الله (ت543هـ) :
" فأعلمنا ربنا تبارك وتعالى أن ثواب الأعمال الصالحة مقدر من حسنة إلى سبعمائة ضعف ، وخبأ قدر الصبر منها تحت علمه ، فقال : ( إنما يوفى الصابرون أجرهم بغير حساب ) [الزمر/10] ولما كان الصوم نوعا من الصبر ، حين كان كفا عن الشهوات ، قال تعالى : ( كل عمل ابن آدم له إلا الصيام فإنه لي ، وأنا أجزي به ) قال أهل العلم : كل أجر يوزن وزنا ، ويكال كيلا ، إلا الصوم ، فإنه يحثي حثيا ، ويغرف غرفا ؛ ولذلك قال مالك : هو الصبر على فجائع الدنيا وأحزانها ؛ فلا شك أن كل من سلم فيما أصابه ، وترك ما نهى عنه ، فلا مقدار لأجره ، وأشار بالصوم إلى أنه من ذلك الباب ، وإن لم يكن جميعه " انتهى من " أحكام القرآن " (4/77) .

وقال القاضي عياض رحمه الله (ت544هـ) :
" ثم يتفضل الله على من يشاء بما يشاء بالزيادة عليها إلى سبعمائة ضعف ، وإلى ما لا يأخذه حساب ، كما قال تعالى : ( إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُم بِغَيْرِ حِسَابٍ ) ، وقال : ( إلا الصوم فإنه لي ، وأنا أجزي به ) بعدما ذكر نهاية التضعيف إلى سبعمائة " انتهى من " إكمال المعلم بفوائد مسلم " (8/ 184) .

وقال ابن رجب رحمه الله (ت795هـ) :
" فعلى الرواية الأولى [ يعني المذكورة أول الجواب ] : يكون استثناء الصوم من الأعمال المضاعفة ، فتكون الأعمال كلها تضاعف بعشر أمثالها إلى سبعمائة ضعف ، إلا الصيام ، فإنه لا ينحصر تضعيفه في هذا العدد ، بل يضاعفه الله عز وجل أضعافا كثيرة بغير حصر عدد ، فإن الصيام من الصبر ، وقد قال الله تعالى : ( إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُمْ بِغَيْرِ حِسَابٍ ) [الزمر: 10] ، ولهذا ورد عن النبي صلى الله عليه وسلم : أنه سمى شهر رمضان شهر الصبر .
وفي حديث آخر عنه صلى الله عليه وسلم قال : ( الصوم نصف الصبر ) خرجه الترمذي .
والصبر ثلاثة أنواع : صبر على طاعة الله ، وصبر عن محارم الله ، وصبر على أقدار الله المؤلمة . وتجتمع الثلاثة في الصوم " انتهى من " لطائف المعارف " لابن رجب (ص/150) .

وقال ابن الملقن رحمه الله (ت804هـ) :
" وقيل : في قوله تعالى : ( فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ ) [السجدة: 17] أن عملهم الصيام ، فيفرغ لهم الجزاء إفراغًا من غير تقدير ، فخص الصيام بالتضعيف عَلَى سبعمائة ضعف في هذا الحديث " انتهى من " التوضيح لشرح الجامع الصحيح " (13/28) .

وقال الشيخ السعدي رحمه الله (ت1376هـ) :
" استثنى في هذا الحديث الصيام ، وأضافه إليه ، وأنه الذي يجزى به بمحض فضله وكرمه ، من غير مقابلة للعمل بالتضعيف المذكور الذي تشترك فيه الأعمال . وهذا شيء لا يمكن التعبير عنه ، بل يجازيهم بما لا عين رأت ، ولا أُذن سمعت ، ولا خطر على قلب بشر .
وفي الحديث : كالتنبيه على حكمة هذا التخصيص ، وأن الصائم لما ترك محبوبات النفس التي طبعت على محبتها ، وتقديمها على غيرها ، وأنها من الأمور الضرورية ، فقدم الصائم عليها محبة ربه ، فتركها لله في حالة لا يطلع عليها إلا الله ، وصارت محبته لله مقدمة وقاهرة لكل محبة نفسية ، وطلب رضاه وثوابه مقدماً على تحصيل الأغراض النفسية ؛ فلهذا اختصه الله لنفسه ، وجعل ثواب الصائم عنده ، فما ظنك بأجر وجزاء تكفل به الرحمن الرحيم الكريم المنان ، الذي عمت مواهبه جميع الموجودات ، وخصّ أولياءه منها بالحظ الأوفر ، والنصيب الأكمل ، وقدر لهم من الأسباب والألطاف التي ينالون بها ما عنده على أمور لا تخطر له بالبال . ولا تدور في الخيال . فما ظنك أن يفعل الله بهؤلاء الصائمين المخلصين .
وهنا يقف القلم ، ويسيح قلب الصائم فرحاً وطرباً بعمل اختصه الله لنفسه ، وجعل جزاءه من فضله المحض ، وإحسانه الصرف . وذلك فضل الله يؤتيه من يشاء والله ذو الفضل العظيم " انتهى باختصار من " بهجة قلوب الأبرار " (ص/94-95) .

وقال الشيخ ابن عثيمين رحمه الله (ت1421هـ) :
" العبادات ثوابها الحسنة بعشر أمثالها إلى سبعمائة ضعف إلى أضعاف كثيرة ، إلا الصوم ، فإن الله هو الذي يجزي به ، ومعنى ذلك أن ثوابه عظيم جداً . قال أهل العلم : لأنه يجتمع في الصوم أنواع الصبر الثلاثة ، وهي : الصبر على طاعة الله ، وعن معصية الله ، وعلى أقداره ، فهو صبر على طاعة الله لأن الإنسان يصبر على هذه الطاعة ويفعلها ، وعن معصيته لأنه يتجنب ما يحرم على الصائم ، وعلى أقدار الله لأن الصائم يصيبه ألم بالعطش والجوع والكسل وضعف النفس ، فلهذا كان الصوم من أعلى أنواع الصبر ؛ لأنه جامع بين الأنواع الثلاثة ، وقد قال الله تعالى : ( إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُمْ بِغَيْرِ حِسَابٍ ) [الزمر: 10] " انتهى من " الشرح الممتع " (6/458) .

২- فقد ورد في صحيح ابن خزيمة وغيره حديث طويل فيه: أيها الناس قد أظلكم شهر عظيم، شهر مبارك، شهر فيه ليلة خير من ألف شهر، جعل الله صيامه فريضة، وقيام ليله تطوعا، من تقرب فيه بخصلة من الخير، كان كمن أدى فريضة فيما سواه، ومن أدى فيه فريضة كان كمن أدى فيه سبعين فريضة فيما سواه.

وقد ضعف الحديث جمع من أهل العلم، ويدل على ذلك تبويب ابن خزيمة للحديث بقوله: باب فضائل شهر رمضان إن صح الخبر.

وقد قال بعض العلماء بمضاعفة ثواب الأعمال على هذا النحو مستأنسين بهذا الحديث، والذي لا شك فيه أن الطاعة في الشهر لها مزية وثوابها فيه مضاعف، وأما هذا التحديد فلم يصح فيه شيء عن رسول الله صلى الله عليه وسلم فيما نعلم.

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩২৪৩৬

লাইলাতুল কদরের রাত সব দেশে কি একই রাতে হয়?


৬ এপ্রিল, ২০২৩

Saihat ৩২৪৭১

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩১৫৫৩

নাবালেগ ছেলে তারাবির ইমামতি করতে পারবে কি না?


২৮ মার্চ, ২০২৩

Ruppur Notun Para

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩২১৫৩

রোযা অবস্থায় নাকে বা গলায় ধোঁয়া গেলে কি রোযা ভেঙ্গে যাবে?


৮ এপ্রিল, ২০২৩

West Bengal ৭৪৩৪০১

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আরিফুর রহমান

৩২০৩৫

রমজানে এক টাকা দান করলে কি ৭০ টাকা দান করার সওয়াব হয়?


২ এপ্রিল, ২০২৩

গোরকঘাটা পৌরসভা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy