মেশিনে জবাই করা পশুর বিধান
প্রশ্নঃ ১৬২০৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম,, মুহতারাম,, আমার জানার বিষয় হচ্ছে, সাউদি সহ অন্যান্য দেশে অনেক গুলা জীবিত মুরগি একসাথে মেশিনে ঢুকিয়ে দেয়। পরবর্তীতে তা পুরা ক্লিন হয়ে অংজ্ঞগুলা আলাদা আলাদা ভাবে প্যকেট তইরি হয়ে বের হয়। যেমন পায়ের পিস আলাদা ,পাকনার পিস আলাদা এইভাবে। তারা এটাকে হালাল বলে। সুতরাং আমার প্রশ্ন হল এই জাতিয় গস্ত খাওয়া হালাল হবে কি..?? যেহেতু এটা ম্যশিনে জবেহ হচ্ছে।,
১২ আগস্ট, ২০২৩
Tarumi, Kobe, Hyogo, Japan
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মেশিনে জবাই করা তিন শর্তে জায়েজ আছে।
এক. জবাইকারী মুসলিম হতে হবে।
দুই. জবাইয়ের সুইচে চাপ দিলে জবাইয়ের জন্য নির্ধারিত প্রাণীর গলা/গর্দান কাটা পড়তে হবে। গলা কাটার আগে অন্যকোনো অঙ্গ যেমন হাত-পা, পেট ইত্যাদী কাটা পড়লে ওই প্রাণী হালাল হবে না।
তিন. জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ বলতে হবে।
এ পদ্ধতিতে সুইচে টিপে জবাই করলে বিসমিল্লাহ বলে সুইচে চাপ দেবার পর এক সাথে যে কয়টি প্রাণীর গলায় ছুরি/কাটার চলবে, সেই কয়টি প্রাণীই হালাল হবে। আর যেই প্রাণীগুলো পরে আসবে সেগুলো হালাল হবে না। (ফাতাওয়া বাইয়্যিনাত-৪/৪৯১-৫০০)
উদাহরণসরূপ, বিসমিল্লাহ বলে সুইচে চাপ দেওয়ার পর মেশিনে ফিট করা বিশটি ছুরি/কাটার একই সাথে বিশটি মুরগী জবাই করে দিল। তাহলে উপরোক্ত বিশটি মুরগী খাওয়া হালাল হবে।
কিন্তু এই বিশটি জবাই হওয়ার পর আরো বিশটি জবাই করা হলো, যেগুলোর জন্য আবার সুইচ চেপে বিসমিল্লাহ বলা হয়নি- তাহলে পরবর্তী বিশটি প্রাণী আহার করা জায়েজ হবে না।
যদি বারবার সুইচ চাপতে হয় জবাই হবার জন্য, আর প্রতিবারই বিসমিল্লাহ বলা হতে থাকে, আর একই সাথে গলায় ছুড়ি আসতে থাকে, তাহলে উক্ত জবাই বিশুদ্ধ বলে ধর্তব্য হবে।
কিন্তু যদি সিরিয়াল অনুপাতে আসে। তথা বিসমিল্লাহ বলে সুইচ চাপার পর প্রথমে একটি জবাই হয়, তারপর আরেকটি হয়, এভাবে হতে থাকে, তাহলে কেবল প্রথমটির জবাই শুদ্ধ হবে বাকিগুলোর জবাই হবে না। কারণ প্রথমটির ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহ শেষ হয়ে গেছে। বাকিগুলো বিসমিল্লাহ ছাড়া জবাই হবার কারণে হারাম হয়ে যাবে।
(أَمَّا) وَقْتُ التَّسْمِيَةِ فَوَقْتُهَا فِي الذَّكَاةِ الِاخْتِيَارِيَّةِ وَقْتُ الذَّبْحِ لَا يَجُوزُ تَقْدِيمُهَا عَلَيْهِ إلَّا بِزَمَانٍ قَلِيلٍ لَا يُمْكِنُ لتَّحَرُّزُ عَنْهُ لِقَوْلِهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى {وَلا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ} [الأنعام: 121] وَالذَّبْحُ مُضْمَرٌ فِيهِ مَعْنَاهُ وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرْ اسْمُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ مِنْ الذَّبَائِحِ وَلَا يَتَحَقَّقُ ذِكْرُ اسْمِ اللَّهِ تَعَالَى عَلَى الذَّبِيحَةِ إلَّا وَقْتَ الذَّبْحِ (بدائع الصنائع، كتاب الذبائع والصيود، فَصْلٌ فِي بَيَان شَرْطِ حِلِّ الْأَكْلِ فِي الْحَيَوَانِ الْمَأْكُولِ-4/171)
وَذُكِرَ فِي الْأَصْلِ أَرَأَيْتَ الذَّابِحَ يَذْبَحُ الشَّاتَيْنِ وَالثَّلَاثَةَ فَيُسَمِّي عَلَى الْأُولَى وَيَدَعُ التَّسْمِيَةَ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ عَمْدًا قَالَ: يَأْكُلُ الشَّاةَ الَّتِي سَمَّى عَلَيْهَا وَلَا يَأْكُلُ مَا سِوَى ذَلِكَ لِمَا بَيَّنَّا (بدائع الصنائع، كتاب الذبائع والصيود، فَصْلٌ فِي بَيَان شَرْطِ حِلِّ الْأَكْلِ فِي الْحَيَوَانِ الْمَأْكُولِ-4/171)
لَوْ أَضْجَعَ شَاتَيْنِ وَأَمَرَّ السِّكِّينَ عَلَيْهِمَا مَعًا أَنَّهُ تُجْزِئُ فِي ذَلِكَ تَسْمِيَةٌ وَاحِدَةٌ (بدائع الصنائع، كتاب الذبائع والصيود، فَصْلٌ فِي بَيَان شَرْطِ حِلِّ الْأَكْلِ فِي الْحَيَوَانِ الْمَأْكُولِ-4/173)
সম্মানিত প্রশ্নকারী! ওপরের আলোচনা থেকে আশা করছি মেশিনে জবাইয়ের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন থাকে যেসব দেশ থেকে মেশিনে জবাইকৃত প্রাণী বাজারজাত করা হয় সেগুলো এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে কিনা সেটা কিভাবে বুঝবো?
এর উত্তরে ফিকাহশাস্ত্রবীদগণ বলেছেন, যদি ওই প্রাণীগুলো কোনো মুসলিম দেশ থেকে রপ্তানি করা হয় তাহলে সেগুলো গ্রহন করা জায়েজ আছে। কেননা মুসলিমদের জবাইকৃত পশুর ব্যাপারে সন্দেহ করা উচিত নয়।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمْ عَلَى أَخِيهِ الْمُسْلِمِ، فَأَطْعَمَهُ طَعَامًا، فَلْيَأْكُلْ مِنْ طَعَامِهِ، وَلَا يَسْأَلْهُ عَنْهُ، وَإِنْ سَقَاهُ شَرَابًا مِنْ شَرَابِهِ، فَلْيَشْرَبْ مِنْ شَرَابِهِ، وَلَا يَسْأَلْهُ عَنْهُ ".
আর যদি সেগুলো কোনো অমুসলিম দেশ থেকে রপ্তানি করা হয় তাহলে গ্রহন করা জায়েজ নাই। কেননা মুসলমানের জন্য অমুসলিমের জবাইকৃত প্রাণী আহার করা জায়েজ নাই।
والله اعلم بالصواب
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মন্তব্য (০)
কোনো মন্তব্য নেই।
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
১৪১৬৮
২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
ফেনী

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
১১১৯৯
৭ ডিসেম্বর, ২০২১
Ramnagar

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
১০৩৭৩
৯ নভেম্বর, ২০২১
দিনাজপুর

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ
২১৯৩৭
২৩ আগস্ট, ২০২২
ঢাকা

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম
সাম্প্রতিক প্রশ্নোত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে