ইকামতের শব্দগুলো কয়বার করে উচ্চারণ করা সুন্নত?
প্রশ্নঃ ১৪৬০০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সেদিন এক পাঞ্জেগানা মসজিদে নামাজের একামতে দেখলাম সবগুলো তাকবীর একবার করে পরলো, নামাজ শেষে এ নিয়ে বিরাট তর্ক-বিতর্ক লেগে গেল একপর্যায়ে। আমরা তো সাধারণত দেখে আসছি একামতে আযানের মত প্রত্যেক তাকবীর দুবার করে দিয়ে থাকে। এ ব্যাপারে সঠিক পদ্ধতি এবং সমাধান কি জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।,
২৭ অক্টোবর, ২০২৩
ঢাকা
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
এ সংক্রান্ত আহলে হক মিডিয়ায় একটি বিস্তারিত প্রশ্নোত্তর প্রদান করা হয়েছে। আপনার উপকারার্থে প্রশ্নোত্তরটি এখানে সংযুক্ত করে দেওয়া হলো । আশা করি বিষয়টির সমাধান পেয়ে যাবেন।
প্রশ্ন: আসসালামুয়ালাইকুম।
আমার নাম ইকবাল মাহমুদ।
আপনি লিখেছেন ইকামতের বাক্যগুলো দুইবার করে বলবে কিন্তু আমি গত মাসে ওমরাহ্ করেছি। বায়তুল্লাহ শারিফ-এ পাঁচ ওয়াক্ত নামায পরেছি। আমি দেখেছি, ওখানকার ইকামাত এবং আমাদের মসজিদ-এ দেয়া ইকামাত এক না। আমার প্রস্ন হল, আপনার মতামতের ভিত্তিতে আমি কি ধরে নিব যে আল্লাহর ঘরে যে ইকামাত দেয়া হয় তা ভুল?
দয়া করে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমাকে যুক্তি সহকারে এর সদুত্তর জানাবেন।
উত্তর
রাসূল সাঃ এর হাদীস এবং মুজতাহিদ ইমামগণের ইজতিহাদ সম্পর্কে আপনার পরিস্কার ধারণা না থাকায় আপনার মনে এমন প্রশ্ন উদিত হয়েছে। একটি সুন্নতের উপর আমল করা মানে আরেকটি সুন্নত ভুল হয়ে যাওয়া নয়।
আপনি তিরমিজী, আবু দাউদ, নাসায়ী এবং মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক এবং মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা কিতাবগুলো অধ্যয়ন করলে আপনার কাছে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে যে, একই বিষয়ে রাসূল সাঃ থেকে একাধিক আমল প্রমাণিত। তো এসব ক্ষেত্রে যেহেতু রাসূল সাঃ কোন আমলকেই শেষ আমল ও চূড়ান্ত বলে নির্ধারণ করে যাননি। তাই এসব মতভেদপূর্ণ বিষয়ে মুজতাহিদ ইমামদের গবেষণার প্রয়োজন পড়েছে। মুজতাহিদ ইমামগণ গবেষণা করে একেকজন এককেটি বিষয়কে দলীলের ভিত্তিতে প্রাধান্য দিয়েছেন। এক্ষেত্রে হাদীসে এসেছে-
عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا حَكَمَ الْحَاكِمُ فَاجْتَهَدَ ثُمَّ أَصَابَ، فَلَهُ أَجْرَانِ، وَإِذَا حَكَمَ فَاجْتَهَدَ ثُمَّ أَخْطَأَ، فَلَهُ أَجْرٌ
হযরত আমর বিন আস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছেন যে, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যখন কোন বিজ্ঞ বিচারক সিদ্ধান্ত প্রদান করে, তখন সে ইজতিহাদ করে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হয়, তাহলে সে দু’টি সওয়াব পায়, আর যদি সে ইজতিহাদে ভুল করে, তাহলেও একটি সওয়াব পায়। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৭১৬}
দুই কারনে এক মুজতাহিদ এবং তার মুকাল্লিদগণ আরেক মুজতাহিদ ও তার মুকাল্লিদের আমলকে ভুল বলতে পারবে না। যথা-
১
কার ইজতিহাদ সঠিক। তা জানার সঠিক কোন পদ্ধতি নেই। কারণ কোনটি আল্লাহ ও রাসূল সাঃ এর উদ্দেশ্য তা নবীজী সাঃ এর ইন্তেকালের পর কারো সঠিকভাবে জানা সম্ভব নয়। তাই অপর মুজতাহিদ ও তার মুকাল্লিদদের আমলকে ভুল বলা যাবে না।
২
অপরজনেরটি ভুল হলেও যেহেতু হাদীসে একটি সওয়াবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই অপর মুজতাহিদ ও তার মুকাল্লিদের আমলকে বাতিল বলার কোন ক্ষমতা কোন উম্মতীর আর বাকি থাকে না।
উপরোক্ত মূলনীতি যদি আপনার বুঝে এসে থাকে। তাহলে মক্কায় হাম্বলী মাযহাব ও মদীনায় মালেকী মাযহাব অনুপাতে আমল করা নামায পদ্ধতিকে ভুল বলতে হবে মর্মে আপনার মনে সন্দেহ সৃষ্টি হতো না। আমরা যারা উপমহাদেশে মতভেদপূর্ণ মাসআলায় হানাফী মাযহাব অনুপাতে সুন্নাহ ভিত্তিক আমল করি, তারা মক্কায় যারা হাম্বলী মাযহাব অনুপাতে আমল করে এবং মদীনায় যারা মালেকী মাযহাব অনুপাতে আমল করে তাদের কাউকে পথভ্রষ্ট বা ভুল আমল করছেন বলি না। যেমন বাইতুল্লাহ ও মসজিদে নববীর ইমামগণ ও আমাদের আমলকে ভুল বলে কখনোই ঘোষণা করেন না।
আমাদের নীতি হল, যে এলাকায় যাদের মাধ্যমে দ্বীন এসেছে, ইসলাম আসার পর থেকে যেভাবে সুন্নাহ ভিত্তিক আমল যে এলাকায় চালু আছে, সে এলাকায় থাকা অবস্থায় সেই আমলই করবে। ভিন্ন আমল যদিও তা অন্য এলাকায় প্রচলিত সুন্নাহই হয়ে থাক না কেন, তা উক্ত এলাকার জন্য ফিতনা হিসেবেই ধর্তব্য হবে। কারণ এর দ্বারা সাধারণ মানুষের মাঝে দ্বীন সম্পর্কে সন্দেহ সংশয় বৃদ্ধি পায়। আর অপ্রয়োজনীয় কাজের মাধ্যমে মানুষের মনে দ্বীন সম্পর্কে সন্দেহ সৃষ্টি করা কুফরী কর্ম এতে কোন সন্দেহ নেই।
তাই আমরা বলি মক্কায় গিয়ে যেহেতু সেখানে হাম্বলী মাযহাব প্রচলিত, তাই একবার তাকবীর দিয়েই ইকামত প্রদান করুন। দুইবার প্রদান করে ফিতনা সৃস্টি করবেন না। আর বাংলাদেশে এসে দুইবার তাকবীর দিয়েই ইকামত প্রদান করুন। যেহেতু এখানে হানাফী মাযহাব অনুপাতেই ইসলাম এ উপমহাদেশে প্রবেশ করার পর থেকেই আমল হয়ে আসছে। তাই ভিন্ন আমল এখানে জারি করে মসজিদে ফিতনা সৃষ্টি করবেন না।
ইকামত বিষয়ে হানাফী মাযহাবের দলীলসমূহ
ইকামতের বাক্যগুলো দুইবার করে উচ্চারণ করা আবশ্যক। একবার করে উচ্চারণ করলে ইকামত হবে না। একবার করে উচ্চারণের যে হাদীস রয়েছে তা মানসুখ তথা রহিত হয়ে গেছে। হযরত বিলাল রাঃ শুরুতে একবার করে ইকামতের বাক্যগুলো বলতেন। তারপর এ বিধান রহিত হবার পর মৃত্যু পর্যন্ত দুইবার করেই ইকামতের বাক্য উচ্চারণ করতেন। তাই একবার করে উচ্চারণ করলে ইকামত শুদ্ধ হবে না।
রাসূল সাঃ এর মুআজ্জিন হযরত আবু মাহজুরা রাঃ এর আমল
عَبْدَ اللهِ بْنَ مُحَيْرِيزٍ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا مَحْذُورَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَّمَهُ الْإِقَامَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً
আবু মাহজুরা রাঃ বলেন, নিশ্চয় রাসূল সাঃ আমাকে সতের বাক্যে ইকামত দিতে শিক্ষা দিয়েছেন। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৮৩১}
ইমাম তিরমিজী রহঃ আবূ মাহযুরা রাঃ থেকে যে মারফূ হাদীস বর্ণনা করেছেন তাতেও সতের বাক্যের কথা আছে। ইমাম তিরমিজী রহঃ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। {সুনানে তিরমিজী-১/৪৮}
আরেক মুআজ্জিন হযরত সালাম বিন আকওয়া রাঃ এর আমল
عَنْ عُبَيْدٍ، مَوْلَى سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ «أَنَّ سَلَمَةَ بْنَ الْأَكْوَعِ، كَانَ يُثَنِّي الْإِقَامَةَ»
হযরত উবায়েদ রহঃ বলেন, সালামা বিন আকওয়া রাঃ এর ইকামতে বাক্যগুলো দুইবার করে বলতেন। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৮৩৬}
হযরত বিলাল রাঃ এর আখেরী আমলও তাই
عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ: أَنَّ بِلَالًا كَانَ «يُثَنِّي الْأَذَانَ، وَيُثَنِّي الْإِقَامَةَ، وَأَنَّهُ كَانَ يَبْدَأُ بِالتَّكْبِيرِ، وَيَخْتِمُ بِالتَّكْبِيرِ»
আসওয়াদ বিন ইয়াযিদ রহঃ বলেন, হযরত বিলাল রাঃ আযান ও ইকামতের বাক্যগুলো দুই বার করে বলতেন। {মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১৭৯০, তাহাবী শরীফ-১/৬৬}
হযরত আবু মাহজুরা রাঃ এর বর্ণনায় ইকামতের সতের বাক্য উল্লেখ করা হয়েছে। যার দ্বারা পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে যে, ইকামতের বাক্যও দুই দুই বার করে বলতে হবে। এ সতের বাক্য হচ্ছে আজানের পনের বাক্যের সাথে কাদ কামিত সালাহ বাক্য দুইবার বলার দ্বারা। {দ্রষ্টব্য, তিরমিজী-১/২৭, আবু দাউদ-১/৮৯, নাসায়ী-১/১০৩, ইবনে মাজাহ-৫২, মিশকাত-১/৬৫, আসারুস সুনান-১/৫৩}
এছাড়াও সুয়াইদ বিন গাফালা রাঃ, আবু জুহাইফা রাঃ, সালামা বিন আকওয়া রাঃ, সাওবান রাঃ এর বর্ণনাও আজানের মত ইকামতের বাক্য দুই দুইবারের হওয়ার বিষয়টি পরিস্কার প্রমাণ বহন করে। দেখুন তাহাবী শরীফ-১/৬৫, আসারুস সুনান-১/৫৩}
হযরত বিলাল রাঃ কে প্রথমে ইকামতের সময় একবার করে বাক্যগুলো বলার জন্য আদেশ করা হয়। যা হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: «أُمِرَ بِلَالٌ أَنْ يَشْفَعَ الْأَذَانَ وَيُوتِرَ الْإِقَامَةَ»
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত বিলাল রাঃ কে আজানের বাক্যগুলোকে দুইবার করে এবং ইকামতের বাক্যগুলো একবার করে বলার আদেশ করা হয়েছে। {সহীহ মুসলিম-১/১৬৪, হাদীস নং-৩৭৮}
আজান ও ইকামতের সূচনাকালে বিলাল রাঃ কে এ আদেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ম রহিত হবার পর তিনি জীবনের শেষ পর্যন্ত ইকামতের বাক্যগুলো দুইবার করে বলতেন।
ইমাম তাহাবী রহঃ বলেন,
ثُمَّ ثَبَتَ هُوَ مِنْ بَعْدُ عَلَى التَّثْنِيَةِ فِي الْإِقَامَةِ بِتَوَاتُرِ الْآثَارِ فِي ذَلِكَ , فَعُلِمَ أَنَّ ذَلِكَ هُوَ مَا أُمِرَ بِهِ.
তারপর হযরত বিলাল রাঃ ইকামতের বাক্যগুলো দুইবার করেই বলতেন। যা বহু সংখ্যক বর্ণনার মাধ্যমে প্রমানিত। এ থেকে বুঝা যায়, হযরত বিলাল রাঃ এ নিয়ম অনুসরণে আদিষ্ট হয়েছিলেন। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৮৩৫}
আল্লামা শাওকানী ও আবু মাহযূরাহ রাঃ এর হাদীসের ভিত্তিতে বিলাল রাঃ এর পূর্ববর্তী আমলকে রহিত বলে মত প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেন-
وَهُوَ مُتَأَخِّرٌ عَنْ حَدِيثِ بِلَالٍ الَّذِي فِيهِ الْأَمْرُ بِإِيتَارِ الْإِقَامَةِ لِأَنَّهُ بَعْدَ فَتْحِ مَكَّةَ لِأَنَّ أَبَا مَحْذُورَةَ مِنْ مُسْلِمَةِ الْفَتْحِ، وَبِلَالًا أُمِرَ بِإِفْرَادِ الْإِقَامَةِ أَوَّلَ مَا شُرِعَ الْأَذَانُ فَيَكُونُ نَاسِخًا
وَقَدْ رَوَى أَبُو الشَّيْخِ أَنَّ بِلَالًا أَذَّنَ بِمِنًى وَرَسُولُ اللَّهِ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – ثَمَّ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ، وَأَقَامَ مِثْلَ ذَلِكَ، إذَا عَرَفْت هَذَا تَبَيَّنَ لَك أَنَّ أَحَادِيثَ تَثْنِيَةِ الْإِقَامَةِ صَالِحَةٌ لِلِاحْتِجَاجِ بِهَا لِمَا أَسْلَفْنَاهُ، وَأَحَادِيثُ إفْرَادِ الْإِقَامَةِ، وَإِنْ كَانَتْ أَصَحَّ مِنْهَا لِكَثْرَةِ طُرُقِهَا وَكَوْنِهَا فِي الصَّحِيحَيْنِ لَكِنَّ أَحَادِيثَ التَّثْنِيَةِ مُشْتَمِلَةٌ عَلَى الزِّيَادَةِ، فَالْمَصِيرُ إلَيْهَا لَازِمٌ لَا سِيَّمَا مَعَ تَأَخُّرِ تَارِيخِ بَعْضِهَا كَمَا عَرَّفْنَاك.
হযরত আবূ মাহযুরা রাঃ এর বর্ণনায় পরবর্তী সময়ের বিধান বিধৃত হয়েছে। কেননা, হযরত আবু মাহযুরা রাঃ ইসলাম গ্রহণ করেন ফাতহে মক্কার সময়। অতএব বলতে হয় যে, হযরত বিলাল রাঃ কে ইকামতের বাক্য এক বার করে বলার জন্য যে আদেশ দেয়া হয়েছিল তা ছিল আজান ও ইকামতের সূচনাকালের বিষয়। এবং আবু মাহযুরা রাঃ এর হাদীস এ বিধান রহিত করেছে। আবুশ শায়খের বর্ণনায় এসেছে যে, স্বয়ং বিলাল রাঃ ও মিনায় রাসূল সাঃ এর উপস্থিতিতে আযান ও ইকামতের বাক্যগুলো দুই বার করে বলেছেন।
সারকথা এই যে, যে হাদীসে ইকামতের বাক্যগুলো দুই বার করে বলার কথা এসেছে তা প্রমাণ গ্রহণের পক্ষে উপযুক্ত। আর একবার করে বলার হাদীস যদিও অধিক সনদে বর্ণিত হয়েছে এবং তা সহীহ বুখারী সহীহ মুসলিমে বিদ্যমান রয়েছে, সে হিসেবে তা অধিক সহীহ। কিন্তু লক্ষ্য করার বিষয় এই যে, দুই বার বলার হাদীসে অধিক বিষয় আছে আর তা পরবর্তী সময়ের বিধান সম্বলিত বলে জানা যাচ্ছে। অতএব এ বর্ণনাই গ্রহণযোগ্য হবে। {নায়লুল আওতার-২/২২}
আরো কিছু সহীহ হাদীস জেনে নেই
হযরত আবূ মাহজুরা রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন-
وَالْإِقَامَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً
ইকামতের বাক্য সতেরটি।
মুসনাদে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৮২৮,
মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২১১৯,
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৫৩৮১,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১২৩৩,
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৭০৯,
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৫০২,
সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৯২,
সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৬৩০,
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-১৬৮১,
মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৩০৯১,
সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৯০৯,
সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৯৬৮,
কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২০৯৬৪}
এটি সহীহ হাদীস। ইমাম তিরমিজী রহঃ এ হাদীসের ব্যাপারে মন্তব্য করেন-এ হাদীসটি হাসান সহীহ। {তিরমিজী-১/২৭}
ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ বলেন, এ হাদীসকে ইবনে খুজাইমা এবং ইবনে হিব্বান রহঃ ও সহীহ বলেছেন। {দিরায়া-১/১১৪}
আরো দেখা যায়-
মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা-১/২০৬।
সুনানে বায়হাকী-১/৪২০।
নসবুর রায়াহ-১/২৬৭।
আবু দাউদ-১/৮২।
দিরায়া-১/১১৫।
মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক।
সুনানে দারা কুতনী-১/২৪২।
তাহাবী শরীফ-১/৮০।
আসারুস সুনান-১/৬৭।
আরো অনেক কিতাবে এর স্বপক্ষে সহীহ হাদীস বিদ্যমান।
উপরোক্ত সহীহ হাদীসগুলোর ভিত্তিতে আমাদের আমল হল আজানের বাক্য যেমন দুইবার করে বলতে হয়, তেমনি ইকামতের বাক্যগুলোও দুইবার করে বলতে হবে।
আল্লাহ তাআলা ফিতনা থেকে উম্মতে মুসলিমাকে হিফাযত করুন। আমীন।
والله اعلم بالصواب
والله اعلم بالصواب
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা ৷
মন্তব্য (০)
কোনো মন্তব্য নেই।
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
১৯৮২৩
২৭ জুন, ২০২২
H২৪৪+HRC

উত্তর দিয়েছেনঃ মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
২৪৭২৭
রেকর্ডকৃত আজানের জবাব দেওয়া
১৩ নভেম্বর, ২০২২
London, London, England, United Kingdom

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
সাম্প্রতিক প্রশ্নোত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে