আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

রোজা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম

প্রশ্নঃ ১৪৪০৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ফরজ গোসলের সময় যদি আমি নমালি কুলি করিনাকে নরম জায়গায় পানি দিলে পরো শরীল ধৌত করলে কি আমার ফরজ গোসল হবে???আমি গোলগলা শহীদ কুলি করতে পারি নানামালি কুলি করলে আামার ফরজ গোসল আাদায় হয়ে যাবে????? বি:দ্য:( আমি জানি যে রোজা অবস্ততা নমালি কুলি করা যায়) রোজা না থাকলে কি নমালি কুলি করলে হবে??

২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


গোসল করার পদ্ধতি হচ্ছে–
গড়গড়াইয়া কুলি ও নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌছানো।
গোটা দেহে পানি ঢালা।

আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন:
وان كنتم جنبا فطهروا

“যদি তোমরা জুনুবি হও তাহলে প্রকৃষ্টভাবে পবিত্রতা অর্জন কর।”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬]

★হাদীস শরীফে ফরজ গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছেঃ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، عَنْ خَالَتِهِ، مَيْمُونَةَ قَالَتْ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم غُسْلاً يَغْتَسِلُ بِهِ مِنَ الْجَنَابَةِ فَأَكْفَأَ الإِنَاءَ عَلَى يَدِهِ الْيُمْنَى فَغَسَلَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا ثُمَّ صَبَّ عَلَى فَرْجِهِ فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِشِمَالِهِ ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدِهِ الأَرْضَ فَغَسَلَهَا ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ صَبَّ عَلَى رَأْسِهِ وَجَسَدِهِ ثُمَّ تَنَحَّى نَاحِيَةً فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ فَنَاوَلْتُهُ الْمِنْدِيلَ فَلَمْ يَأْخُذْهُ وَجَعَلَ يَنْفُضُ الْمَاءَ عَنْ جَسَدِهِ . فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لإِبْرَاهِيمَ فَقَالَ كَانُوا لَا يَرَوْنَ بِالْمِنْدِيلِ بَأْسًا وَلَكِنْ كَانُوا يَكْرَهُونَ الْعَادَةَ

মায়মূনাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জানাবাতের গোসলের জন্য পানি রাখলাম। তিনি পানির পাত্র কাত করে ডান হাতে পানি ঢেলে তা দু’বার বা তিনবার ধুলেন। এরপর লজ্জাস্থানে পানি ঢেলে তা বাম হাতে ধুলেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষে ধুয়ে নিলেন, কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, মুখমন্ডল ও দু’হাত ধুলেন। তারপর মাথায় এবং সমগ্র শরীরে পানি ঢাললেন। তারপর ঐ স্থান থেকে একটু সরে গিয়ে উভয় পা ধুলেন। আমি (শরীর মোছার জন্য) তাঁকে রুমাল দিলাম। তিনি তা গ্রহণ করলেন না বরং শরীর থেকে পানি ঝেড়ে ফেলতে লাগলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বিষয়টি ইবরাহীমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ সাহাবীগণ গামছা ব্যবহার করা অপছন্দ করতেন না, বরং তাঁরা (গামছা ব্যবহার) অভ্যাসে পরিণত করা অপছন্দ করতেন।
{বুখারী (অধ্যায়ঃ গোসল, অনুঃ একবার গোসল করা, হাঃ ২৫৭), মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ জানাবাতের গোসলের নিয়ম) উভয়ে আ‘মাশ সূত্রে। আবু দাউদ ২৪৫)}

ইমাম নববী রহ. বলেন,

المضمضة والاستنشاق واجبتان في الغسل دون الوضوء ، وهو قول أبي حنيفة وأصحاب

গড়গড়া কুলি ও নাকে পানি দেয়া গোসলের ক্ষেত্রে এ দুইটি পালন করা ওয়াজিব; ওযুর ক্ষেত্রে নয়। (কেননা, ওযুর ক্ষেত্রে এ দুইটি ওয়াজিব নয় বরং সুন্নাত।) এটি ইমাম আবু হানিফা রহ. ও তাঁর সাথীবর্গের অভিমত। (আল-মাজমু ১/৪০০)

গোসলের মাঝে গরগরা করা ও নাকের গভীর পর্যন্ত পানি পৌঁছানো ফরজ নয়। বরং সুন্নত। এই জন্যই তো রোযা রাখা অবস্থায় যেহেতু গড়গড়া করে কুলি করলে এবং নাকের গভীরের নরম স্থানে পানি পৌছানোতে ভিতরে পানি প্রবেশ করার সম্ভাবনা থাকে, তাই গড়গড়া ও নাকের নরম স্থানে পানি পৌছানোর বিধান নেই।
স্বাভাবিকভাবে কুলি ও নাকে পানি দিতে হয়।
,
সুতরাং কেহ যদি কুলি করে,তবে গড়গড়া না করে,অথবা নাকে পানি দেয়,তবে নাকের নরম স্থানে পানি না পৌছায়,তাহলেও গোসলের ফরজ আদায় হয়ে যাবে।
সেই গোসলে নামাজ হয়ে যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
,

والله اعلم بالصواب

মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন