আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৪৩৬৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মসজিদের ইমাম সাহেব প্রত্যেক ফাজর নামাজ বাদ কুরআনের তাফসীর করেন। শিক্ষিত শ্রোতামন্ডলী তাহার তাফসীর বিষয়ে সন্দিহান বিধায় শ্রোতাদের মধ্যে কেউ কুরআন পড়েন। কেউ ইলম চর্চা করেন, কেউ যিকির করেন। উল্লেখ্য যে প্রত্যেকেই মসজিদে মধ্যস্থিত প্রাচীরে বিপরীত স্থানে উপবিষ্ট হয়ে নিজ নিজ উল্লেখিত আমল করেন। কিন্তু ইমাম সাহেব এতে ঘোষণা করেন যে মসজিদে তাফসীর শ্রবণ ছাড়া অন্য কিছু আমল করা যাবে না" শরীয়তের সমাধান কি বলে?

১ মার্চ, ২০২২
Kolkata

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




জনসাধারণের জন্য শুধু অনুমানের উপর ভিত্তি করে কোন আলেমের ইলমের উপর সংশয় বা সন্দেহ পোষণ করা কোনোভাবেই ঠিক নয়। তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে মুসলমানের ঐক্যবদ্ধতা খুবই অপরিহার্য, সামান্য ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মতানৈক্য করে নিজেদের মাঝে কাদা ছোড়াছুড়ি ও দলাদলি বাড়ানো কোনোভাবেই ঠিক হবে না। তাই ফজর বাদ যেহেতু ইমাম সাহেব তাফসির করেন, উনার তাফসীরে অংশগ্রহণ করুন, এর পরও যদি কারো ভালো না লাগে এবং আলাদা কোন আমল করতে চান, তাহলে তা নিজেদের বাসায় অথবা মসজিদের এমন স্থানে করুন যেখানে করলে এরূপ মতানৈক্য বা গ্রুপিং সৃষ্টি হবে না। কেননা আপনাদের উল্লেখিত কাজগুলো তাফসির, ইলম চর্চা, জিকির-আজকার সবগুলোই ভাল কাজ। কিন্তু এর চেয়ে বেশি জরুরি হলো- নিজেদের মাঝে ঐক্য, আর এটা হল ফরজ। তাই উপরোল্লিখিত আমলগুলো করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে যেন কোন ভাবেই অনৈক্য সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরী। প্রয়োজনবোধে নিজেরা উপরোল্লিখিত সকল আমল গুলো মসজিদ বন্ধ রেখে হলোও ঐক্য ঠিক রাখা জরুরি

والله اعلم بالصواب

মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস, শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন