আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

আকিকার নিয়তে মান্নত পুরণ করার বিধান

প্রশ্নঃ ১৪১৩৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, এক ব্যক্তি মানব করছিল সন্তান হলে মানুষ খাওয়াবে । এখন অনেকদিন হয়ে গেছে এই মান্নতের খাবার কি আকীকা নিয়তে খাওয়ালে হবে? দয়া করে জানাবেন।,

১১ অক্টোবর, ২০২৪

রসূলপুর

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মান্নত শরিয়তে পছন্দনীয় নয়। শরিয়ত উদ্বুদ্ধ করে নফল সদকার প্রতি। মান্নতের প্রতি নয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন-

بَاكِرُوا بِالصَّدَقَةِ ؛ فَإِنَّ الْبَلَاءَ لَا يَتَخَطَّى الصَّدَقَةَ
“তোমরা দানের ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করবে। কেননা বিপদাপদ তাকে অতিক্রম করতে পারে না”। (বাইহাকী ৭৩৭৪)।

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেছেন-
أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يَوْمًا يَنْهَانَا عَنِ النَّذْرِ وَيَقُولُ إِنَّهُ لاَ يَرُدُّ شَيْئًا وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنَ الشَّحِيحِ

রাসূলুল্লাহ (সা.) একদিন আমাদের মান্নত করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেন, মান্নত কোনো কিছুকে ফেরাতে পারে না। তবে মান্নতের মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ বের করা হয়। (মুসলিম শরীফ, হাদীস নং- ৪৩২৫)।
মান্নত করার পর তা থেকে রুজু করার কোন সুযোগ নেই। তাই মান্নতকৃত ইবাদতটি করা আবশ্যক।

وَلْيُوفُوا نُذُورَهُمْ [٢٢:٢٩] “তারা যেন নিজেদের মান্নত পূর্ণ করে”- সূরা হজ-২৯
কাজেই প্রশ্নোক্ত মান্নত অবশ্যই পূর্ণ করতে হবে। একই পশুতে মান্নত এবং আকিকা আদায় হবে না।


আকিকা করা একটি স্বতন্ত্র সুন্নত।
আকিকা সম্পর্কে হাদিস শরিফে রয়েছে: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক শিশুরই আকিকা জরুরি।’ (আবু দাউদ: ২৮৪০; মুসনাদ আহমদ: ২০০৯৫)। হজরত আলী বিন আবি তালেব (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি ছাগল দিয়ে হাসানের আকিকা দিলেন।’ (তিরমিজি: ১৬০২; মুস্তাদরাকে হাকেম: ৭৫৮৯)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ইহুদিরা পুত্রসন্তানের আকিকা করত কিন্তু কন্যাসন্তানের আকিকা করত না। তোমরা পুত্রসন্তানের জন্য দুটি ছাগল এবং কন্যাসন্তানের জন্য একটি ছাগল দিয়ে হলেও আকিকা করো।’ (বায়হাকি, সুনানে কুবরা: ১৯৭৬০; মুসনাদ বাযযার: ৮৮৫৭)।

আকিকা করার উত্তম ও সুন্নত দিবস হলো সন্তান জন্মের সপ্তম দিন। সপ্তম দিনে আকিকা করতে না পারলে চৌদ্দতম দিনে বা একুশতম দিনে আকিকা করবে। (তিরমিজি)। যদি তা-ও সম্ভব না হয় তাহলে পরবর্তী সময়ে যেকোনো সময় আকিকা করা যাবে। তবে সপ্তাহের যেই বারে বা যেই দিনে সন্তান জন্ম হয়েছে তার পূর্বদিনে করলে তা উত্তম হবে। বিশেষ কোনো কারণে এর ব্যতিক্রম হলেও অসুবিধা নেই। অভাবের কারণে যদি কোনো ব্যক্তি তার সন্তান শিশু থাকতে আকিকা না করে থাকেন, ওই সন্তান বড় হওয়ার পর যদি তার সামর্থ্য হয়, তখন সে তার নিজের আকিকা করলেও সুন্নত আদায় হবে এবং তার পিতা-মাতাও এর সওয়াব পাবে। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী (সা.) নবুওয়াত পাওয়ার পর নিজের আকিকা নিজে করেছেন।’ (বায়হাকি)।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৫২৫৯৫

সহশিক্ষা কি জায়েয?


৪ মে, ২০২৪

খুলনা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৪৬৫৮৩

জুমার নামাজের হুকুম


২২ নভেম্বর, ২০২৩

ঢাকা ১২১৭

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

৩৭৪৮৬

কার্টুনের হুকুম


১৩ আগস্ট, ২০২৩

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy