আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৪১০৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সুন্নত নামাজ কেন পড়তে হয় কিসের জন্য।,

২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





সকল ইবাদত আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য করতে হয়। সুতরাং সুন্নত নামাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই পড়তে হয়।

রাসূলুল্লাহ ﷺ-পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাজের পূর্বে ও পরে বার রাকাত সুন্নত নামাজ নিয়মিত আদায় করতেন, বিশেষ কোন কারণ ছাড়া তা ত্যাগ করতেন না। এই জন্য এই বার রাকাত সুন্নতকে সুন্নতে মুআক্কাদা বলা হয়। সুন্নতে মুআক্কাদার মর্যাদা প্রায় ওয়াজিবের মতো। যা ছাড়লে গুনাহ হয়। ইবন নুজাইম রহ. বলেন,

والذي يظهر من كلام أهل المذهب أن الإثم منوط بترك الواجب أو السنة المؤكدة على الصحيح ؛ لتصريحهم بأن من ترك سنن الصلوات الخمس قيل لا يأثم ، والصحيح أنه يأثم .. . . فالإثم لتارك السنة المؤكدة أخف من الإثم لتارك الواجب

মাযহাবের ইমামদের কথা থেকে স্পষ্ট হয় যে, ওয়াজিব অথবা সুন্নতে মুআক্কাদা ত্যাগ করলে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী গুনাহ হয়। কেননা, তারা বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের (আগে-পরের) সুন্নতগুলো ছেড়ে দিবে, কেউ বলেন, গুনাহ হবে না। বিশদ্ধ কথা হল, গুনাহ হবে।’ তবে সুন্নতে মুআক্কাদা ত্যাগকারীর গুনাহ ওয়াজিব ত্যাগকারীর চাইতে কম হবে। (আল বাহ্রুররায়েক ১/৩১৯)

আর সুন্নতে যায়েদাহ ছেড়ে দিলে গুনাহ হয় না। এটি মুস্তাহাবের মতো। পড়লে সওয়াব, না পড়লে গুনাহ নেই। যেমন আসরের আগের চার রাকাত সুন্নত।

তবে এসব সুন্নত ছাড়লে গুনাহ কী ধরনের হয় এ প্রশ্নের আগে এসব পড়লে সওয়াব কী পরিমাণ হয় তা ভাবা দরকার। হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ: مَنْ ثَابَرَ عَلَى اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً بَنَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ، أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ

আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি দিবা-রাত্র বার রাকাত (সুন্নাতে মুআক্কাদা) আদায়ে অভ্যস্ত হয়ে যায় আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে রাখেন। চার রাকাত জোহরের ফরয নামাযের পূর্বে এবং দু’রাকাত জোহরের ফরয নামাজের পরে, দু’রাকাত মাগরিবের ফরয নামাজের পরে, দু’রাকআত ইশার ফরয নামাজের পরে এবং দু’রাকআত ফজরের ফরয নামাজের পূর্বে। (সুনানে নাসায়ী ১৭৯৫)

সুতরাং কোনো বুদ্ধিমান মুমিন ইচ্ছা করে এ সুন্নতগুলো ছাড়তে পারেন না।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

১৮৯৭৬

যখন মিথ্যা বলা জায়েজ


২১ আগস্ট, ২০২৪

Riyadh ১২৬৪৫

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

১৯১৬২

আল্লাহকে কোথায় পাওয়া যাবে?


২৫ অক্টোবর, ২০২৩

বরিশাল

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৩৪১৮৬

দুর্বল ঈমান শক্তিশালী করার আমল ও কৌশল


৩ জুন, ২০২৩

যশোর, Khulna, Bangladesh

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

১৮৭২৭

পাঁচ কালিমা মুখস্ত রাখা কি জরুরী?


১৯ মার্চ, ২০২৪

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy