و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

আপনার প্রশ্নের উত্তরের পূর্বে আমরা আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করতে চাই-
> আপনার একটি সন্তান পাড়া-প্রতিবেশী বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে খুবই সদাচরণ করে। কিন্তু আপনাকে পিতা বলতে অস্বীকার করে।
আরেক ছেলে আপনার পিতৃত্বের পুরোপুরি হক আদায় করে। তাকে দিয়ে আপনার সকল ইচ্ছে পূরণ করতে পারছেন।
আপনি আপনার কোন ছেলেকে ভালবাসবেন?

> আপনার এক স্ত্রী পাড়া-প্রতিবেশী সবার সঙ্গে ভালোভাবে মিশে। তাদেরকে সব উজাড় করে দেয়। কিন্তু আপনার দিকে ফিরেও তাকায় না। স্ত্রী হিসেবে তাকে নিজের করে কখনোই পান না।
আরেক স্ত্রী আপনার একান্ত অনুগত। স্ত্রী হিসেবে তার কাছ থেকে সকল মনোবাসনা পূরণ করতে পারছেন।
এদের মধ্যে আপনার ভালোবাসা কাকে দিবেন?

> আপনি কাজের লোক রেখেছেন। লোকটি আপনার খায়। আপনার পরে। পারিশ্রমিক আপনার কাছ থেকেই নেয়। লোকজনের কাজ করে দেয়। কিন্তু আপনার দিকে ভ্রুক্ষেপও করে না। আপনাকে বস মানতে অস্বীকার করে।
অন্যজন আপনার সকল কাজকর্ম করে দেয়।
ঈদের সময় আপনি কাকে বোনাস দেবেন?

আপনার হাতের মোবাইলটি আপনার ফিঙ্গার নেয় না। আপনার কথোপকথন সহ অনলাইন অফলাইন এর কোন কাজ করে না। মোবাইলটি হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে চলে।
আপনার অন্য মোবাইলটি আপনার সকল কাজে আসে। আপনার ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সবকিছুই এই মোবাইল দিয়ে সম্পাদন করছেন।
আপনি প্রথমোক্ত মোবাইলে কি আরো গুরুত্বপূর্ণ ডাটা রাখবেন? নাকি ব্লক করতে উদ্যোগী হবেন?

আল্লাহ তাআলা মানুষ ও জিন জাতিকে একমাত্র তাঁরই ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। মানুষ যদি আল্লাহর ইবাদত ছেড়ে নিজের খেয়াল খুশিমতো যা তার কাছে ভালো লাগে সেটাতেই লিপ্ত হয়, তাহলে আল্লাহ তাকে কেন ভালবাসবেন? কেন আল্লাহ তাকে ভালবেসে জান্নাত দিবেন?
মানুষ বোকা হতে পারে। আল্লাহ কখনই বোকা নন। তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নেন। ন্যায় সঙ্গত ফায়সালা করেন।

আপনি ঈদের সময় পছন্দ করে মার্কেট থেকে জুতো ক্রয় করেছেন। জুতো পায়ে পথ চলবেন এই উদ্দেশ্যে। জুতোটি পায়ের সঙ্গে খাপ খায় না। এই জুতো পরে পথ চলা যায় না। জুতো থেকে যে উদ্দেশ্য ছিল তা কোনভাবেই অর্জন হচ্ছে না। তাহলে তো এই জুতো আপনি ডাস্টবিনেই ছুঁড়ে ফেলবেন।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

وَمَا خَلَقۡتُ الۡجِنَّ وَالۡاِنۡسَ اِلَّا لِیَعۡبُدُوۡنِ

আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।
—আয-যারিয়াত - ৫৬

والله اعلم بالصواب