আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৩৪৪৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কোনো মানুষ যদি বিয়ে না করে তাহলে তার কি কোনো গুনাহ হবে?,

৩০ জানুয়ারী, ২০২২

সাতক্ষীরা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





সার্বিক সামর্থ্য থাকা সত্যেও যদি কোন ব্যক্তি বিয়ে না করে তাহলে তার গুনাহ হবে।

ইসলামে বৈরাগ্যের সুযোগ নেই। কেননা ইসলাম হচ্ছে স্বভাবধর্ম। স্বভাববিরোধী কর্মকাণ্ড ইসলাম সমর্থন করে না। তাই অতি উৎসাহে ধর্মের নামে বিয়েবহির্ভূত জীবনযাপনের অনুমতি দেয় না।


বরং বিয়েতে সামর্থ্যবান ব্যক্তির বিয়ে না করাকে তিরস্কার করা হয়েছে। একদা তিনজন যুবক রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ঘরে এসে স্ত্রীদের রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। যখন তাদের এর বিবরণ দেওয়া হলো, তখন তারা নিজেদের আমলকে তুচ্ছ মনে করে বলাবলি করতে লাগল, আমাদের সঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কী তুলনা! মহান আল্লাহ তাঁর পূর্বাপর সব ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দিয়েছেন। তাদের একজন বলল, আমি সারা রাত জেগে ইবাদত করব। অন্যজন বলল, আমি আজীবন রোজা রাখব, কখনো ভাঙব না। আরেকজন বলল, চিরদিনের জন্য নারীদের থেকে দূরে থাকব, কখনো বিয়ে করব না। এ অবস্থায় রাসুলুল্লাহ (সা.) এসে তাদের বলেন, তোমরাই কি এমন এমন কথা বলেছিলে? জেনে রেখো! আমি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আল্লাহকে ভয়কারী, তবু আমি রোজাও রাখি, ইফতারও করি, নামাজও পড়ি, ঘুমও যাই এবং আমি বিয়েও করি। অতএব, যে ব্যক্তি আমার সুন্নত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, সে আমার দলভুক্ত নয়। (বুখারি, হাদিস : ৫০৬৩)
ইবনে মাসউদ (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘হে যুবকদল! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থ্যবান রয়েছে, তারা যেন বিয়ে করে নেয়, কেননা তা চক্ষুকে অবনতকারী, লজ্জাস্থানের হেফাজতকারী; আর যাদের বিয়ে করার সামর্থ্য নেই, তারা যেন রোজা রাখে, কেননা তা রিপুকে অবদমিতকারী। (মুসলিম, হাদিস : ১৪০০)

অন্য বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা অধিক মহব্বতকারী ও অধিক সন্তানপ্রসবিনী নারীকে বিয়ে করো, কেননা আমি উম্মতের সংখ্যা নিয়ে হাশরের মাঠে গর্ব করব। (আবু দাউদ, হাদিস : ২০৫০)

চিরকুমার প্রথা ইসলাম সমর্থন করে না

পুরুষ কিংবা নারী যদি সাংসারিক ও পারিবারিক জীবনে পরস্পর অধিকার আদায়ের পূর্ণ শক্তি ও সামর্থ্য রাখে তাহলে অবিবাহিত জীবন কাটানোর অনুমতি শরিয়তে নেই। হাদিস শরিফে এসেছে, উসমান ইবনে মাজউন (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে চিরকুমার থাকার অনুমতি চাইলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে নিষেধ করেছেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১০৮৩)

তবে বিয়ের কারণে আল্লাহর ফরজ-ওয়াজিব বিধান পালন করতে অক্ষম এবং স্ত্রীর যাবতীয় অধিকার আদায়ে অপারগ হলে বা ত্রুটিবিচ্যুতি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা হলে চিরকুমার থাকার অনুমতি রয়েছে। (আল বাহরুর রায়েক : ৩/৮০)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৮৫৯৭৬

স্ত্রীর সাথে কথা বন্ধ রাখা


২২ জানুয়ারী, ২০২৫

১৭০২

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আবু সাঈদ

৮৮৫৩৫

মুসলিম বাংলা অ্যাপে আরবি তারিখ কেন দুইটি দেখায়?


১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

১৮২২

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৮১৭৯৯

অমুসলিমের সাথে বর্গা চুক্তি করলে উশর নাকি খারাজ দিবে?


২০ ডিসেম্বর, ২০২৪

নামবিহীন রাস্তা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৮৮৮২৯

তাহাজ্জুদের ফযীলত


১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

Tamil Nadu ৬২৮৪০২

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আবু সাঈদ

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy