আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

নাভির নিচের লোম কাটলে কি গোসল করা ফরজ?

প্রশ্নঃ ১৩৩৩৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মুহতারাম! নাভির নিচের চুল কাটলে কি গোসল দেওয়া ফরজ হয়ে যায় এবং গোসল না দিলে কি নামায হবে না?

৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
ইটাকুমারী

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


না প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে গোসল ফরজ নয়। এমনকি মুস্তাহাবও নয়। গোসল ফরজের সুনির্দিষ্ট যে কারণগুলো আছে সেগুলো ছাড়া গোসল ফরজ হবে না।

তিন কারণে গোসল ফরজ হয়-

এক. ঘুমন্ত কিংবা জাগ্রত অবস্থায় শারীরিক উত্তেজনার সঙ্গে বীর্যপাত হওয়া। তবে ঘুমন্ত অবস্থায় উত্তেজনা অনুভব ছাড়াও যদি বীর্যপাত হয় তাহলেও গোসল ফরজ হবে। কেননা অনেক সময় ঘুমন্ত অবস্থায় বীর্যপাত হলে অনুভব হয় না কিংবা জাগ্রত হওয়ার পর স্মরণ থাকে না।

দুই. স্বামী-স্ত্রীসূলভ আচরণ (সহবাস) করা।

স্ত্রী সহবাসের সময় স্ত্রীর জরায়ূমুখে পুরুষাঙ্গের সর্বনিম্ন (অগ্রভাগের সাদা অংশ) প্রবেশ করালেই উভয়ের ওপর গোসল ফরজ হবে। তাতে বীর্যপাত হোক আর না হোক; উভয়কে গোসল করতে হবে। (বুখারি ও মুসলিম)

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি স্ত্রীর চার শাখার মাঝে বসে তার সাথে সঙ্গত হলে (সহবাস করলে), তার উপর গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়। (বুখারি)

তিন. হায়েজ-নেফাস থেকে মুক্ত হওয়া।

নারীদের পিরিয়ড (হায়েজ) বন্ধ হলে এবং সন্তান প্রসবের পর প্রবাহিত রক্ত (নেফাস) বন্ধ হলে তাদের ওপর গোসল ফরজ হবে।
আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমে নারী পুরুষের যৌনমিলন, স্বপ্নদোষ বা যেকোনো উপায়ে বীর্যপাতের মাধ্যমে কিংবা হাফেজ-নেফাসের কারণে অপবিত্র হলে তাকে পবিত্রতা হওয়ার নির্দেশ দেন এভাবে-

وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُواْ

‘আর যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৬)

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন