আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

সাহরীর সময় গোসল ফর‍য হলে করণীয় কী?

প্রশ্নঃ ৩১৪৮৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সেহেরি টাইমে গোসল ফর‍য হলে করণীয় কি?

২৭ মার্চ, ২০২৩
কক্সবাজার

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


প্রিয় ভাই, যদি সময় ও সুযোগ থাকে তাহলে সাহরির সময় শেষ হওয়ার পূর্বেই যথা নিয়মে ফরয গোসল করে নিবেন। যদি তা না পারেন তাহলে আপনার উপর ফরজ হল, ফজরের ওয়াক্ত থাকতেই গোসল করে যথাসময়ে নামায আদায় করা। কেননা, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ। এক্ষেত্রে অলসতা বা তীব্র লজ্জা গ্রহণযোগ্য কোন ওজর নয়; যার কারণে নামায আদায়ে এ বিলম্ব করা যেতে পারে। (বাদায়ে, ১/১৫১)
উল্লেখ্য, যার ওপর গোসল ফরজ তিনি গোসল না করে সাহরি খেতে কোনো নিষেধ নেই। তবে এমতাবস্থায় কুলি করে এবং উভয় হাত ধুয়ে পানাহার করা উত্তম। হাদিসে এসেছে, উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা রাযি. বর্ণনা করেন:
كان يدركه الفجر وهو جنب من أهله ثم يغتسل ويصوم
সহবাসের ফলে মাঝে-মধ্যে না-পাকি অবস্থায় রাসূল ﷺ সুবহে সাদিক অতিক্রম করতেন, অত:পর গোসল করে রোজা রাখতেন। (বুখারি ১৯২৬)
আর যদি সাহরির সময় শেষ হওয়ার পর গোসল করেন তাহলে রোজা রাখা অবস্থায় যেহেতু গড়গড়া করে কুলি করলে পানি ভিতরে প্রবেশ করার আশঙ্কা থাকে তাই গড়গড়া করে কুলি করবেন না; বরং হালকাভাবে করবেন। অনুরূপভাবে নাকের গভীরে পানি প্রবেশের চেষ্টা করবেন না; বরং হালকাভাবে নাকের মধ্যে পানি দিবেন, যাতে পানি একেবারে ভেতরে প্রবেশ না করে। (তাহতাবী ১০২)
লাকিত ইবনে সবিরা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
بالغ في الاستنشاق، إلا أن تكون صائما
(অযু-গোসলের) সময় ভালোভাবে নাকে পানি দাও, তবে রোজাদার হলে নয়। (জামে তিরমিযী ৭৬৬)

والله اعلم بالصواب

শাইখ উমায়ের কোব্বাদী সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন