আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৩২৮৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বাচ্চা কে কাটন দেখানো জাবেকি?উত্তর দিলে ভালো হয়।,

৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

West Bengal ৭৪২৩০৩

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا ۚ أُولَٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ [٣١:٦]

একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। [সূরা লুকমান-৬]

কার্টুনও যেহেতু অবান্তর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের শামিল তাই তা দেখা জায়েজ হবে না।

তাসবীর বা ফটো হারাম।এ সম্পর্কে অসংখ্য হাদীস রয়েছে।তন্মধ্যে একটি হাদীস উল্লেখ করছি-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর(রা.)থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ الَّذِينَيَصْنَعُونَ هَذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، يُقَالُ لَهُمْ: أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ "
রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,যারা ফটো বানায়, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে এবং তাদের উদ্দেশ্যে বলা হবে,যা তোমরা বানিয়েছ তাতে জীবন দাও।[সহীহ বুখারী-৫৯৫১]


ফটো-ভাস্কর্যের বিধানে বাচ্ছাদের বেলায় কি কোনো প্রকার শীতিলতা রয়েছে?

এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে মতবিরোধ পরিলক্ষিত করা যায়-

(১)একদল উলামায়ে কেরাম বাচ্ছাদের জন্য ফটো-ভাস্কর্য কে রুখসত দিয়ে থাকেন।তাদের মধ্যে আবার কেউ কেউ শুধুমাত্র নাক,কান,ঠোট তথা অবয়ব বিহীন ফটো-ভাস্কর্য কে রুখসত দিয়ে থাকেন।
এ সমস্ত উলামায়ে কেরাম হযরত আয়েশা রাযি এর নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করে থাকেন।
যেমন হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,তিনি বলেন,
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مِنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ أَوْ خَيْبَرَ وَفِي سَهْوَتِهَا سِتْرٌ فَهَبَّتْ رِيحٌ فَكَشَفَتْ نَاحِيَةَ السِّتْرِ عَنْ بَنَاتٍ لِعَائِشَةَ لُعَبٍ، فَقَالَ: مَا هَذَا يَا عَائِشَةُ؟ قَالَتْ: بَنَاتِي، وَرَأَى بَيْنَهُنَّ فَرَسًا لَهُ جَنَاحَانِ مِنْ رِقَاعٍ، فَقَالَ: مَا هَذَا الَّذِي أَرَى وَسْطَهُنَّ قَالَتْ: فَرَسٌ قَالَ وَمَا هَذَا الَّذِي عَلَيْهِ؟ قَالَتْ: قُلْتُ: جَنَاحَانِ، قَالَ فَرَسٌ لَهُ جَنَاحَانِ، قَالَتْ أَمَا سَمِعْتَ أَنَّ لِسُلَيْمَانَ خَيْلًا لَهَا أَجْنِحَةٌ؟ قَالَتْ: فَضَحِكَ حَتَّى رَأَيْتُ نَوَاجِذَهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ.
রাসূলুল্লাহ সাঃ তাবুক বা খায়বার এর যুদ্ধ থেকে ফিরে ঘরে আসছেন।আয়েশা রাযি এর রুমের সামনে পর্দা টানানো থাকতো।বাতাশ পর্দার একটি অংশকে সরিয়ে ফেললে আয়েশা রাযি এর খেলার সাথী কিছু বালিকাকে রাসূলুল্লাহ সাঃ দেখতে পেলেন। রাসূলুল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন,হে আয়েশা এরা কারা? তখন আয়েশা রাযি জবাবে বললেন,এরা আমার খেলার সাথী। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাঃ ঐ সমস্ত বালিকাদের মধ্যখানে দুই পাখা বিশিষ্ট কাপরের একটি গোড়া দেখতে পেলেন।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,এটা কী জিনিষ যা আমি তাদের মধ্যখানে দেখলাম।আয়েশা রাযি জবাবে বললেন, এটা (একটা খেলনার)গোড়া। তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ আবার জিজ্ঞেস করলেন,ঐটা কোন জিনিষ?যা এই গোড়ার সাথে লাগানো দেখলাম। আয়েশা রাযি জবাবে বললেন,এটা তার ডানা।রাসূলুল্লাহ সাঃ আবার জিজ্ঞেস করলেন,গোড়ার কি পাখা থাকে?আয়েশা রাযি প্রতিউত্তরে বললেন, আপনি কি শুনেননি যে, হযরত সুলাইমান আঃ এর একটি দুই ডানা বিশিষ্ট গোড়া ছিলো?
আয়েশা রাযি বলেন,তৎক্ষণাৎ রাসূলুল্লাহ সাঃ এমনকরে হাসলেন যে,উনার সামনের সাড়ির দাতগুলো দেখা গেলো।
সুনানে আবু-দাউদ;৪৯৩২মিরকাত-৩২৬৫

(২)অন্য দিকে অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম,ফটো ভাস্কর্যকে বাচ্ছাদের বেলায়ও সমপূর্ণ হারাম বলে থাকেন।তারা উপরোক্ত হাদীসকে মানসূখ বলে দাবী করেন।যেমন বিশিষ্ট মুহাদ্দিস ইবনুল মালাক রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় বলেন,
عَلَى لَعِبِهَابِالصُّورَةِ وَإِبْقَائِهَا فِي بَيْتِهَا دَالٌّ عَلَى أَنَّ ذَلِكَ قَبْلَ التَّحْرِيمِ إِيَّاهَا، أَوْ يُقَالُ: لُعَبُ الصِّغَارِ مَظِنَّةُ الِاسْتِخْفَافِ، اهـ. وَالثَّانِي غَيْرُ صَحِيحٍ لِأَنَّهُ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - تَزَوُّجَهَا بِمَكَّةَ فِي عَشْرٍ مِنْ شَوَّالَ سَنَةَ عَشْرٍ مِنَ النُّبُوَّةِ قَبْلَ الْهِجْرَةِ بِثَلَاثٍ وَلَهَا سِتُّ سِنِينَ، وَالْغَزْوَتَانِ الْمَذْكُورَتَانِ إِحْدَاهُمَا سَنَةَ ثَمَانٍ وَالْأُخْرَى سَنَةَ تِسْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ فَبِالْيَقِينِ تَجَاوَزَتْ عَائِشَةُ حِينَئِذٍ حَدَّ الْبُلُوغِ
ভাবার্থঃ-রাসূলুল্লাহ সাঃ কর্তৃক উক্ত খেলনার গোড়াকে অস্বীকার না করা,এবং ঘরের রাখার অনুমতি প্রদাণ- সম্ভবত তাসবীর নিষিদ্ধ হওয়ার পূর্বে ছিলো, অথবা এজন্য যে,নাবালিগ বাচ্ছাদের খেলনা অসম্মানের পাত্র(সে হিসেবে কিছু বলেননি)।আয়েশা রাযি নাবালিগ ছিলেন বলে কিছু বলেননি- এমন সম্ভাবনা অগ্রহণযোগ্য। কেননা রাসূলুল্লাহ আয়েশা রাযি কে নবুওয়ত প্রাপ্তের দশ বৎসর পর তথা হিজরতের তিন বৎসর পূর্বে বিয়ে করেন।তখন আয়েশা রাযি এর বয়স ছয় ছিলো।আর উপরুক্ত দু'টি গাযওয়াহর একটি অষ্টম হিজরীতে এবং অন্যটি নবম হিজরীতে সংঘটিত হয়েছিলো।সুতরাং দৃঢ়ভাবে এ কথা বলা যায় যে,সেই ঘটনার সময় আয়েশা রাযি বালিগের স্থরে পৌছে গিয়েছিলেন।(সুতরাং এটা নিশ্চিত হয়ে গেলো যে,তাসবীর নিষিদ্ধ হওয়ার পূর্বের ঘটনা এটা।তাই এই হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করা যাবে না,কেননা এটা মানসূখ)মিরকাতুল মাফাতিহ-৩২৬৫

চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহী গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ" নামক কিতাবে এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।নিম্নে আলোচনার সেই চুম্বকাংশকে তুলে ধরছি-
سَابِعًا: صِنَاعَةُ لُعَبِ الْبَنَاتِ:
اسْتَثْنَى أَكْثَرُ الْعُلَمَاءِ مِنْ تَحْرِيمِ التَّصْوِيرِ وَصِنَاعَةِ التَّمَاثِيل صِنَاعَةَ لُعَبِ الْبَنَاتِ. وَهُوَ مَذْهَبُ الْمَالِكِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ وَالْحَنَابِلَةِ. وَقَدْ نَقَل الْقَاضِي عِيَاضٌ جَوَازَهُ عَنْ أَكْثَرِ الْعُلَمَاءِ، وَتَابَعَهُ النَّوَوِيُّ فِي شَرْحِ مُسْلِمٍ، فَقَال: يُسْتَثْنَى مِنْ مَنْعِ تَصْوِيرِ مَا لَهُ ظِلٌّ، وَمِنِ اتِّخَاذِهِ لُعَبَ الْبَنَاتِ، لِمَا وَرَدَ مِنَ الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
শিশুদের খেলনার পুতুলের বিধান।
অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরাম ফটো-ভাস্কর্যের হারাম বিধানের মধ্যে শিশুদের খেলনা পুতুল কে শামিল করেন না।এটা মালিকী, শা'ফেয়ী এবং হাম্ববলী মাযহাবের সিদ্ধান্ত।কাযী ইয়ায রাহ. অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম থেকে এর বৈধতা উদ্ধৃতি দিয়েছেন।এবং ইমাম নববী রাহ.ও উনার অনুসরণ করে বৈধ বলেছেন।তিনি 'আল-মিনহাজ' নামক কিতাবে উল্লেখ করেন,ছায়াযুক্ত ফটো-ভাস্ককর্য উক্ত হারামের আওতাধীন হবে না,কেননা নাবালিকাদের খেলনার পুতুলে রুখসত(শীতিলতা) রয়েছে।
هَذَا وَقَدْ نَقَل ابْنُ حَجَرٍ فِي الْفَتْحِ عَنِ الْبَعْضِ دَعْوَى أَنَّ صِنَاعَةَ اللُّعَبِ مُحَرَّمَةٌ، وَأَنَّ جَوَازَهَا كَانَ أَوَّلاً، ثُمَّ نُسِخَ بِعُمُومِ النَّهْيِ عَنِ التَّصْوِيرِ. وَيَرُدُّهُ أَنَّ دَعْوَى النَّسْخِ مُعَارَضَةٌ بِمِثْلِهَا، وَأَنَّهُ قَدْ يَكُونُ الإِِْذْنُ بِاللُّعَبِ لاَحِقًا.عَلَى أَنَّ فِي حَدِيثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا فِي اللُّعَبِ مَا يَدُل عَلَى تَأَخُّرِهِ، فَإِِنَّ فِيهِ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ عِنْدَ رُجُوعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ غَزْوَةِ تَبُوكٍ، فَالظَّاهِرُ أَنَّهُ كَانَ مُتَأَخِّرًا.
ইবনে হাজার রাহ. ফাতহুল বারীতে কিছু সংখ্যক উলামাদের থেকে উল্লেখ করেন,যে নাবালিকা শিশুদের খেলনার পুতুলও হারামের অন্তর্ভূক্ত।এর বৈধতা প্রাক-ইসলামি যুগে ছিলো।অতঃপর ফটো-ভাস্ককর্যের সাধারণ হারাম ঘোষণার দ্বারা তা হারাম হয়ে যায়।কিন্তু উনার উক্ত মন্তব্যকে এজন্য আমলে নেয়া হবে না যে,কোনো বিধান রহিত হওয়ার জন্য পূর্বের মত অকাট্য প্রমাণের প্রয়োজন হয়।অথচ আমরা জানি যে,পুতুলের অনুমতি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর শেষ যামানায় ছিলো।এ হিসেবে যে,আ'য়েশা রাযি এর হাদীস একথা প্রমাণ করে যে,সেটা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর শেষযুগে ছিলে।কেননা এ ঘটনা রাসূলুল্লাহ সাঃ গাযওয়ায়ে তাবুক থেকে ফেরার সময়ে সংগঠিত হয়েছিলো।আর গাযওয়ায়ে তাবুক শেষ সময়ে ছিলো।
ثَامِنًا: التَّصْوِيرُ لِلْمَصْلَحَةِ كَالتَّعْلِيمِ وَغَيْرِهِ:
لَمْ نَجِدْ أَحَدًا مِنَ الْفُقَهَاءِ تَعَرَّضَ لِشَيْءٍ مِنْ هَذَا، عَدَا مَا ذَكَرُوهُ فِي لُعَبِ الأَْطْفَال: أَنَّ الْعِلَّةَ فِي اسْتِثْنَائِهَا مِنَ التَّحْرِيمِ الْعَامِّ هُوَ تَدْرِيبُ الْبَنَاتِ عَلَى تَرْبِيَةِ الأَْطْفَال كَمَا قَال جُمْهُورُ الْفُقَهَاءِ، أَوِ التَّدْرِيبُ وَاسْتِئْنَاسُ الأَْطْفَال وَزِيَادَةُ فَرَحِهِمْ لِمَصْلَحَةِ تَحْسِينِ النُّمُوِّ كَمَا قَال الْحَلِيمِيُّ، وَأَنَّ صِنَاعَةَ الصُّوَرِ أُبِيحَتْ لِهَذِهِ الْمَصْلَحَةِ، مَعَ قِيَامِ سَبَبِ التَّحْرِيمِ، وَهِيَ كَوْنُهَا تَمَاثِيل لِذَوَاتِ الأَْرْوَاحِ. وَالتَّصْوِيرُ بِقَصْدِ التَّعْلِيمِ وَالتَّدْرِيبِ نَحْوُهُمَا لاَ يَخْرُجُ عَنْ ذَلِكَ.

শিক্ষা ইত্যাদির স্বার্থে ফটোর বিধানঃ
খেলনার পুতুলের ব্যাপারে কৃত আলোচনা ছাড়া আমরা ফুকাহায়ে কেরামদের কাউকে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে দেখিনি।মুর্তির হারাম বিধান থেকে খেলনার পুতুল কে এজন্য বের করা হয়েছে যে,যাতে করে তাদের শিশুকাল থেকেই সন্তান লালনপালনের অভিজ্ঞতা হয়ে উঠে।এবং শিশুদের কে সামাজিক মিলমিশ বা হাসিখুশী রাখতে সহায়ক হয়।যা কি-না শিশুদের শরীরকে বাড়াতে সহায়তা করে।যেমনটা হালিমী রাহ বলেছেন।এ স্বার্থেই হারামের কারণ সমূহ বিদ্যমান থাকা সত্বেও খেলনার পুতুল কে বৈধ বলা হয়েছে।পুতুল বলতে প্রাণ বিশিষ্ট প্রাণীর অবয়ব(মুর্তির মত) তৈরী করা।শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতার স্বার্থে ফটো ভাস্কর্য এ হেকমতের বাহিরে যাবে না।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহতুল কোয়েতিয়্যাহ-১২/১২২)
বিশিষ্ট গবেষক আল্লামা আব্দুর রহমান মুবারকপুরী রাহ উনার অমর গ্রন্থ তিরমিযি শরীফের ব্যাখ্যা তুহফাতুল আহওয়াযি-তে লিখেন-

رَوَى الْبُخَارِيُّ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كُنْتُ أَلْعَبُ بِالْبَنَاتِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ لِي صَوَاحِبُ يَلْعَبْنَ مَعِي وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ ينقمعن منه فيسر بهن إِلَيَّ فَيَلْعَبْنَ مَعِي-

الْحَافِظُ اسْتُدِلَّ بِهَذَا الْحَدِيثِ عَلَى جَوَازِ اتِّخَاذِ صُوَرِ الْبَنَاتِ وَاللَّعِبِ مِنْ أَجْلِ لَعِبِ الْبَنَاتِ بِهِنَّ وَخُصَّ ذَلِكَ مِنْ عُمُومِ النَّهْيِ عَنِ اتِّخَاذِ الصُّوَرِ

وَبِهِ جَزَمَ عِيَاضٌ وَنَقَلَهُ عَنِ الْجُمْهُورِ وَأَنَّهُمْ أَجَازُوا بَيْعَ اللَّعِبِ لِلْبَنَاتِ لِتَدْرِيبِهِنَّ مِنْ صِغَرِهِنَّ عَلَى أَمْرِ بُيُوتِهِنَّ وَأَوْلَادِهِنَّ

قَالَ وَذَهَبَ بَعْضُهُمْ إِلَى أنه منسوخ وإليه مال بن بطال

وحكى عن بن أَبِي زَيْدٍ عَنْ مَالِكٍ أَنَّهُ كَرِهَ أَنْ يَشْتَرِيَ الرَّجُلُ لِابْنَتِهِ الصُّوَرَ وَمِنْ ثَمَّ رَجَّحَ الداودي أنه منسوخ

وقد ترجم بن حِبَّانَ لِصِغَارِ النِّسَاءِ اللَّعِبُ بِاللُّعَبِ

وَتَرْجَمَ لَهُ النَّسَائِيُّ إِبَاحَةُ الرَّجُلِ لِزَوْجَتِهِ اللَّعِبَ بِالْبَنَاتِ فَلَمْ يُقَيِّدْ بِالصِّغَرِ وَفِيهِ نَظَرٌ

قَالَ الْبَيْهَقِيُّ بَعْدَ تَخْرِيجِهِ ثَبَتَ النَّهْيُ عَنِ اتِّخَاذِ الصُّوَرِ فَيُحْمَلُ عَلَى أَنَّ الرُّخْصَةَ لِعَائِشَةَ فِي ذَلِكَ كَانَ قبل التحريم وبه جزم بن الْجَوْزِيِّ

وَقَالَ الْمُنْذِرِيُّ إِنْ كَانَتِ اللُّعَبُ كَالصُّورَةِ فَهُوَ قَبْلَ التَّحْرِيمِ وَإِلَّا فَقَدْ يُسَمَّى مَا لَيْسَ بِصُورَةٍلُعْبَةً وَبِهَذَا جَزَمَ الْحَلِيمِيُّ فَقَالَ إِنْ كَانَتْ صُورَةً كَالْوَثَنِ لَمْ يَجُزْ وَإِلَّا جَازَ انْتَهَى

قُلْتُ قَوْلُ الْحَلِيمِيِّ هُوَ الْمُخْتَارُ عِنْدِي وَاَللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ

تحفة الاحوذى٥\٣٥

সারকথাঃঅধিকাংশ উলামায়ে কেরাম বাচ্ছাদের জন্য ফটো-ভাস্কর্য কে বৈধ মনে করেন।এবং কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম হারাম মনে করেন।আল্লামা হালিমী রাহ বলেন,মুর্তির মত হলে নাজায়েয নতুবা জায়েযই হবে।আমি মনে করি হালিমী রাহ এর কথাই বিশুদ্ধ।(তুহফাতুল আহওয়াযি-৫/৩৫)

কেউ বলেন জায়েয,আবার কেউ বলেন নাজায়েয।সুতরাং উত্তম হল, খেলনার পুতুল থেকে সন্তানাদিকে বাঁচিয়ে রাখা।এবং এটাই তাকওয়ার সর্বাদিক নিকটবর্তী ও সার্বিক বিবেচনায় অধিক কল্যাণকর।কেননা সন্দেহ মূলক জিনিষ থেকে বেঁচে থাকাই মু'মিন দের জন্য উচিৎ ও কাম্য।

উপরোক্ত কারণ ছাড়াও প্রচারিত টম-জেরি চ্যানেল এবং পগো চ্যানেল সহ ইত্যাদি চ্যানেল সমূহ অযথা সময় নষ্ট এবং বিজাতীয় সংস্কৃতিতে ভরপুর থাকায় তা কখনো জায়েয হবে না।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৯৬২৩

webcomics manga for adalat পড়ার বিধান


৪ জুন, ২০২৪

Kuala Lumpur, Bandar Kuala Lumpur, Kuala Lumpur, Malaysia

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

২৭০১৯

গান-বাজনা হারাম হওয়ার দলিলসমূহ


২৭ ডিসেম্বর, ২০২২

বাঞ্ছারামপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

১২২৬৬

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম,মোবাইলে লুডু খেলা কী হারাম???

২ জানুয়ারী, ২০২২

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

২২৮০৩

ইনডোর ফুটবল খেলা কি জায়েজ?


৮ এপ্রিল, ২০২৩

সিলেট

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy