আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৩১৮৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হুজুর আমি একটু খিটো, তাই নিয়ে সবাই হাসাহাসি করে, মজা করে। স্কুলে বেশিরভাগ সময় মানুষ আমাকে নিয়ে মজা করে। এমনকি যারা আমার সমান তারাও আমাকে নিয়ে মজা করে। আমার সমান আরো দুই একজন আছে তাদের আমি স্কুলে বা বাইরে কেও মজা করতে দেখনি। উল্টা তাদের ছুয়ে আমাকে নিয়ে হাসি করে।এমনকি বলে তোর দারা কিছু হবে না, কিছু করতে পারবি না। বিয়ে করতে পারবি না।হুজুর আমিও তো একটা মানুষ, কেন তাহলে এমন হয়। আল্লাহর কাছে আজ ৬ বছর ধরে দোয়া করছি, যানিনা কোন গুন্নাহের কারেন দোয়া কবুল হচ্ছে না।

১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





সম্মানিত ভাই!
ইসলাম এমন একটি ধর্ম, যার পরোতে পরোতে রয়েছে শৃঙ্খলা। যা মানুষকে আগামীদিনের পথ চলতে সাহায্য করে। আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টিকূলের সেরা আশরাফুল মাকলুকাত খ্যাত মানুষ। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সুন্দর থেকে সুন্দরতম অবয়ব দিয়ে। এক হাদিসে আছে নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সুন্দর,
সৌন্দর্য তিনি পছন্দ করেন। মানুষ হিসেবে আমরাও সৌন্দর্যকে ভালোবাসি। সুন্দর হতে চাই। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার কাছে রূপের সৌন্দর্যই আসল সৌন্দর্য নয় । বরং ইমান এবং আমলে সৌন্দর্যই প্রকৃত সৌন্দর্য। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন

إِنَّ الله لا يَنْظُرُ إِلى أَجْسامِكْم، وَلا إِلى صُوَرِكُمْ، وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ " رواه مسلم.
নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের দেহাবয়ব এবং রূপের সৌন্দর্য দেখেন না। তিনি দেখেন তোমাদের হৃদয়ের সৌন্দর্য।

যারা আপনাকে নিয়ে টিম্পনি কাটে তাদের আপনি ভালোবাসুন। দেখবেন তারা আপনাকেও ভালো বাসবে। আর কাকে দিয়ে কি কাজ হবে সেটা সময়ের চাহিদা এবং পরিস্থিতিই বলে দিবে। পৃথিবীর মহানিষীদের অনেকেই সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন না। তাই বলে কি তারা হেরে গেছেন। হজরত বেলাল রা. ছিলেন একেবারে কৃষ্ঞকায় একজন মানুষ কিন্তু রাসূলুল্লাহ সা. যখন জান্নাত ভ্রমনে গিয়েছেন তখন কুদরতিভাবে সেখানে তাঁর পায়ের আওয়াজ শোনতে পেয়েছেন। যারা এজাতীয় কথা বলে যদি রসিকতা করে তাহলে সেটাও ঠিক না। কিন্তু যারা ভৎসনা করার ছলে বলে এটা মারাত্মক অন্যয়। তাদের কথায় বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করবেন না।

আপনি নিয়মিত আপনার জিকির, তেলাওয়াত, নামাজ চালিয়ে যান।পিতামাতার সাথে সদ্বব্যহার করুন। বন্ধুবান্ধবের সাথে কোমল আচরণ করুন। শিক্ষকদের শ্রদ্ধা-সম্মান-সেবা করুন। এভাবেই আপনি সকলের হৃদয়ে জায়গা করে নিবেন ইনশাআল্লাহ।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন