আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৩১২৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি আসলে জানতে চাই ইসলামিক পদ্ধতিতে বিবাহের নিয়মকানুন টা কি? আমাদের সমাজে প্রচলিত বিবাহের নিয়ম হচ্ছে যৌতুক দেয়া আসলে কেউ যদি জোর করে নিতে না চায় তাকে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে মেয়ের পক্ষ থেকে দেয়া হয় সেটা কি যৌতুক

২৬ জানুয়ারী, ২০২২
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




সাদাসিধে অনাড়ম্বর এবং অপচয় হীন ভাবেই ইসলামে বিবাহ নিয়ম, যা আমাদের অ্যাপে পূর্বে এ সম্পর্কে অনেকবারই উত্তর দেয়া হয়েছে । এ সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের অ্যাপে প্রশ্নোত্তর পর্বে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন।
আপনার বাকি প্রশ্ন হল - বর না চাওয়া সত্বেও পাত্রীপক্ষ বা মেয়ের বাবা জোর করে বরকে কিছু দিলে সেটা যৌতুক হবে কিনা ? একটু ভেবে দেখুন, আমাদের সমাজে বর্তমানে বিবাহের সময় বরকে কিছু দেয়ার যে প্রচলন রয়েছে, এর উপর ভিত্তি করেই কিন্তু অনেকে না চাওয়ার পরও কিছু দিয়ে থাকে বা দিতে হয়, তাই যখন প্রচলনই হয়ে গেল বরকে কিছু দিতে হবে, আর এই প্রচলন এর উপর ভিত্তি করেই কোন মেয়ের বাবা যদি বরকে বিবাহ সময় কোন উপহার দেয় সেটাও যৌতুক বলে গণ্য হবে, এছাড়াও এই ব্যক্তি বিবাহ সময় বরকে কিছু দেয়ার মাধ্যমে সামাজিক একটা রেওয়াজ ও প্রচলনকে প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছে, যার কারণে দরিদ্রতার কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক ব্যক্তি তার মেয়ের বিবাহতে তার সাধ্যের বাইরে গিয়ে হাওলাত করে, ঋণ করে, সুদে টাকা নিয়ে বা ভিক্ষাবৃত্তি করেও মেয়ের জামাইকে কিছু উপহার দিতে হয়, এটা এজন্য যে- ওই ব্যক্তি যার টাকা রয়েছে সে তার মেয়ের জামাইকে চাওয়া ছাড়াই দেওয়ার কারণে সমাজে একটা প্রচলন হয়ে গেছে, আর এই প্রচলনের কারণেই এই ব্যক্তি যার কাছে টাকা তেমন নেই তাকেও এই বোঝা টানতে হচ্ছে। সর্বোপরি কেউ যদি মেয়ের জামাইকে কিছু দিতেই চায়, তাহলে বিবাহর পরে দিবে, এভাবে বিবাহর সময় ডাক-ঢোল বাজিয়ে ব্যাপকভাবে সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার কারণে এটা একটা রেওয়াজ হিসেবে প্রচলিত হয়ে যাচ্ছে, যার ক্ষতি গরীব অসহায় মানুষের উপর পড়ছে। তাই বিবাহের সময় বর না চাওয়া সত্ত্বেও জোর করে কিছু দিলে সেটা সরাসরি যৌতুক না হলেও যৌতুকের সাদৃশ্যতা অবলম্বন এর কারনে এবং এর কারণে অন্যের কষ্ট হওয়ার কারণে অবশ্যই গুনাহগার হতে হবে।

والله اعلم بالصواب

মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস, শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর