আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৩০৭১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহআইয়্যামুল বীজের রোজার সাথে উমরী কাজার নিয়ত করলে উভয় ই আদায় হবে কি?গাজীপুর,

৩১ জানুয়ারী, ২০২২

কুষ্টিয়া

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





ফরজ রোজা কাযা হলে তা পরবর্তীতে আদায় করে নেয়াও ফরজ। কারণ পবিত্র কুরআনে কাযা রোযা রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে-

فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ۖ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۗ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ [٢:١٨٥]

কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। {সূরা বাকারা-১৮৫}

আর আপনি যেসব রোজার কথা বলেছেন তা সুন্নত। সুন্নতের তুলনায় ফরজের গুরুত্ব কতটুকু তা আশা করি বলার প্রয়োজন নেই।

তাই নফল রোযা রাখার আগে ফরজ রোযার কাযাগুলো আগে আদায় করাই সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঘরের দরজা না লাগিয়ে আগে ঘরে ফার্নিচার লাগানোর মতই হাস্যকর কাজ হল ফরজ রোযার কাযা আদায় না করে নফল রোযা রাখা।

তবে দরজা না লাগিয়ে যেমন ঘরে ফার্নিচার লাগালে ফার্নিচার আনা হয়ে যায়, তেমনি ফরজ রোযার কাযা আদায় না করে নফল রোযা রাখলেও তা আদায় হবে। বাকি ফরজের কাযার জন্য আখেরাতে পাকরাও হতে হবে। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।

দ্বিতীয় কথা হল, এসব নফল রোযা রাখার বিশেষ দিনগুলোতে আগের কাযা রোযা রাখলে কাযা আদায়ের সাথে সাথে নফলের সওয়াব হবে কি না?

রোযা রাখবে ফরজের কাযার। তাই শুধু কাযা রোযাই আদায় হবে। নফল রোযার সওয়াব হবে না। {ফাতাওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ-৬/৩০৬}

বাকি যেহেতু দিনগুলো বিশেষ রোযার সাথে খাস ছিল। তাই এদিন রোযা রাখার দ্বারা উক্ত বিশেষ নফলেরও সওয়াবের আশা করা যায়। বাকি এ বিষয়ে কুরআন ও হাদীসের কোন ঘোষণা নেই। এটি কেবলি রহমানুর রহীম আল্লাহর প্রতি আমাদের আশা ছাড়া আর কিছু নয়।

তবে একই সাথে যদি দুই নিয়তে [রোযার কাযা এবং নফল রোযা] এক রোযা রাখা যাবে না। বরং একটিকে নির্দিষ্ট করে রাখতে হবে।

وَمَتَى نَوَى شَيْئَيْنِ مُخْتَلِفَيْنِ مُتَسَاوِيَيْنِ فِي الْوَكَادَةِ وَالْفَرِيضَةِ، وَلَا رُجْحَانَ لِأَحَدِهِمَا عَلَى الْآخَرِ بَطَلَا، وَمَتَى تَرَجَّحَ أَحَدُهُمَا عَلَى الْآخَرِ ثَبَتَ الرَّاجِحُ كَذَا فِي مُحِيطِ السَّرَخْسِيِّ.الخ وَإِذَا نَوَى قَضَاءَ بَعْضِ رَمَضَانَ، وَالتَّطَوُّعُ يَقَعُ عَنْ رَمَضَانَ فِي قَوْلِ أَبِي يُوسُفَ – رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى -، وَهُوَ رِوَايَةٌ عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ – رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى – كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ.

(الفتاوى الهندية، كِتَابُ الصَّوْمِ وَفِيهِ سَبْعَةُ أَبْوَابٍ، الْبَابُ الْأَوَّلُ فِي تَعْرِيفِهِ وَتَقْسِيمِهِ وَسَبَبِهِ وَوَقْتِهِ وَشَرْطِهِ-1/196-197

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩২৭৭৫

বমি করলে কি রোজা ভেঙ্গে যায়?


১০ এপ্রিল, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৯৪৭৪৮

রোযাদার ব্যক্তি দিনের বেলা নেবুলাইজার ব্যবহার করতে পারবেন?


১০ মার্চ, ২০২৫

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৩৬৮৯৫

আশুরার রোজা


২৯ জুলাই, ২০২৩

West Bengal ৭৪৩৩৯৯

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন

৯২৮৫৬

গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারিনী মা-বোনদের রোযা না রাখার ব্যাপারে ইসলাম কি বলে?


৪ মার্চ, ২০২৫

কুষ্টিয়া

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আরিফুর রহমান

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy