প্রশ্নঃ ১২৯৬৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, Ami jante chai sejda,ruku, enong bosar somoy Ami chokher nojor kothay rakbo?
২২ জানুয়ারী, ২০২২
Noapara Paurasava
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
নামাজের আদব হলো, দাঁড়ানো অবস্থায় সিজদার জায়গায় দৃষ্টি রাখা, যাতে পূর্ণ একাগ্রতা সৃষ্টি হয়। ডানে-বাঁয়ে দৃষ্টি না যায়। এটি সুন্নত। তবে কোনোভাবে দৃষ্টি চলে গেলে নামাজ ভঙ্গ হবে না।
(আদদুররুল মুখতার : ১/৪৪৭)
নামাজরত মুক্তাদির জন্য ইমাম সাহেবের দিকে তাকিয়ে থাকা সুন্নতবহির্ভূত কাজ।
সিজদায় পা রাখার সুন্নত পদ্ধতি হলো, পা খাড়া রেখে আঙুলগুলো কিবলামুখী রাখা। এর বিপরীত হলে নামাজ ভাঙবে না। (ফাতাওয়া ফকিহুল মিল্লাত : ৩/২৮৫, ফাতাওয়া শামি : ১/৪৯৩)
মূল বিষয় হলো, নামাজে এদিক-সেদিক না তাকানো। কেননা এটি নামাজে মনোযোগ ও একাগ্রতা রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী হাতিয়ার। হাদিস শরিফে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেছি, নামাজে এদিক-সেদিক তাকানোর ব্যাপারে আপনি কী বলেন? জবাবে তিনি বলেছেন, এটি হলো শয়তানের ছোঁ মারা, যা দ্বারা শয়তান আল্লাহর বান্দাদের নামাজ থেকে গাফিল ও উদাসীন করে ফেলে। (বুখারি, হাদিস : ৭১৮)
প্রশ্ন হলো, নামাজে এদিক-সেদিক না তাকানোর পদ্ধতি কী হবে—এ বিষয়ে মুজতাহিদ ইমামরা একাধিক অভিমত দিয়েছেন। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেছেন, নামাজের সময় দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি সিজদার দিকে থাকবে, রুকু অবস্থায় থাকবে দুই পায়ের মাঝখানে, বসা অবস্থায় থাকবে কোলের দিকে, সিজদা অবস্থায় থাকবে নাকের দিকে। (কিতাবুল মাবসুত : ১/২৮)
কেননা দৃষ্টি প্রসারিত করলে মন এদিক-সেদিক চলে যাবে। সংকুচিত করলে নামাজে মনোযোগ আরো ভালো থাকবে। এ জন্য প্রসারিত করার চেয়ে সংকুচিত করা উত্তম।
পক্ষান্তরে কোনো কোনো ইমাম বলেছেন, পুরো নামাজের সময় দৃষ্টি থাকবে সিজদার দিকে। তবে এ মর্মে তাঁরা দলিল হিসেবে যে হাদিসগুলো পেশ করে থাকেন, সেগুলোকে মুহাদ্দিসরা ‘দুর্বল’ বলে অভিহিত করেছেন। যেমন—ইমাম নববি (রহ.) বলেন, এ বিষয়ে (নামাজের সময় দৃষ্টি থাকবে সিজদার দিকে) ইবনে আব্বাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস গরিব (বিরল), যা আমার কাছে অপরিচিত।
ইমাম বাইহাকি (রহ.) আনাস (রা.) ও অন্যদের সূত্রে এ বিষয়ে আরো কিছু হাদিস বর্ণনা করেছেন। এর সব কটিই দুর্বল। (আল-মাজমু : ৩/৩১৪)
-মুফতি তাজুল ইসলাম
والله اعلم بالصواب
মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
আল কুরআনুল কারীম
৪
হাদীস ও সুন্নাহ
৬
তাসাউফ-আত্মশুদ্ধি । ইসলাহী পরামর্শ
৩
শরীআত সম্পর্কিত
১৪
ফিতনাসমুহ; বিবরণ - করণীয়
২
আখিরাত - মৃত্যুর পরে
৩
ঈমান বিধ্বংসী কথা ও কাজ
৬
ফিরাকে বাতিলা - ভ্রান্ত দল ও মত
২
পবিত্রতা অর্জন
৮
নামাযের অধ্যায়
১৯
যাকাত - সদাকাহ
৫
রোযার অধ্যায়
৬
হজ্ব - ওমরাহ
২
কাফন দাফন - জানাযা
৫
কসম - মান্নত
১
কুরবানী - যবেহ - আকীকা
৪
বিবাহ শাদী
৮
মীরাছ-উত্তরাধিকার
২
লেনদেন - ব্যবসা - চাকুরী
৯
আধুনিক মাসায়েল
৬
দন্ড বিধি
২
দাওয়াত ও জিহাদ
৩
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
৬
সীরাতুন নবী সাঃ । নবীজীর জীবনচরিত
৩
সাহাবা ও তাবেঈন
৩
ফাযায়েল ও মানাকেব
৩
কিতাব - পত্রিকা ও লেখক
৩
পরিবার - সামাজিকতা
৭
মহিলা অঙ্গন
২
আখলাক-চরিত্র
২
আদব- শিষ্টাচার
১২
রোগ-ব্যধি। চিকিৎসা
২
দোয়া - জিকির
২
নাম। শব্দ জ্ঞান
৩
নির্বাচিত
২
সাম্প্রতিক
১
বিবিধ মাসআলা
১