প্রশ্নঃ ১২৯৪১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম,হুজুর এক মহিলার নিজের হজ্জ করার সামর্থ্য থাকলেও মাহরামের খরচ বহনের সামর্থ্য ছিল না। তখন ঐ মহিলার স্বামীকে তার মা অর্থাৎ মহিলার শ্বাশুড়ী আশ্বাস দিয়েছিল যে শ্বাশুড়ীর মৃত মায়ের বদলি হজ্জ করার জন্য তাকে টাকা দিবে। তখন মহিলা চিন্তা করল যে স্বামীকে যেহেতু শ্বাশুড়ী টাকা দিচ্ছে তাই স্বামী স্ত্রী একত্রে হজ্জ করবে। এই উদ্দেশ্য তারা হজ্জের নিবন্ধনও করেন। কিন্তু হঠাৎ করেই শ্বাশুড়ী মত বদল করে জানায় যে তিনি তার ছেলে অর্থাৎ মহিলার স্বামীকে কোনো টাকা দিবে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে এভাবে আশ্বাস দিয়ে তা ভঙ্গ করার জন্য কি শ্বাশুড়ীর কোনো গুনাহ হবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কাউকে কিছুর আশ্বাস দেওয়া ওয়াদা করার সামিল। আর ওয়াদা করে তা পূর্ণ করাই ইসলামের বিধান এবং সাওয়াবের কাজ। আর ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করা গোনাহের কাজ। কুরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ তাআলা ওয়াদা ঠিক রাখা-না রাখা উভয় বিষয়ের লাভ ও ক্ষতির বিষয়টি সুস্পষ্টভাষায় তুলে ধরেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
بَلَى مَنْ أَوْفَى بِعَهْدِهِ وَاتَّقَى فَإِنَّ اللّهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِينَ -
‘যে লোক নিজ (ওয়াদা) প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করবে এবং পরহেজগার হবে, অবশ্যই আল্লাহ পরহেজগারদেরকে ভালবাসেন। (সুরা ইমরান : আয়াত ৭৬-৭৭)
সুতরাং কোনো অবস্থাতেই ওয়াদা ভঙ্গ করা যাবে না। তা হোক কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কিংবা আল্লাহর সঙ্গে। কেননা ওয়াদা ভঙ্গকারীর পরিণতি মারাত্মক ও ভয়াবহ।
আর যত কষ্টই হোক ওয়াদা রক্ষা করার উপকারিতা অনেক বেশি। এর মাধ্যমে বান্দার অন্তরে আল্লাহর ভয় তৈরি হয়। আর যে ব্যক্তি মহান আল্লাহকে ভয় করেন; আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে ভালোবাসেন।
আল্লাহ তাআলা সবাইকে ওয়াদা রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। ওয়াদা ভঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন