আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১২৮২৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, 1.আমি খুব অসুস্থ।।।।।।আমার রক্তের হিমোগ্লোবিন ক্রমশ কমছে । অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না । এক ব্যাগ রক্ত নিয়েছি তবুও কিছু হচ্ছে না । এখন এই বিষয়ে কোন আমল বলবেন ।আমার জন্য দোয়া করবেন ।,

১৭ জানুয়ারী, ২০২২

রংপুর

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সৃষ্টি হিসেবে প্রতিটি মানুষের জন্য করণীয় হলো, তারা যেনো সবসবময় সববিষয়ে তাঁর কাছে দোয়া করে। কেননা, আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের দোয়া করার জন্য, তাঁর কাছে চাওয়ার জন্য বারবার অনুপ্রাণিত করেছেন, উৎসাহিত করেছেন। আল্লাহ সুবাহানাহুতায়ালা এরশাদ করেন, ‘তোমাদের রব এ কথা ঘোষণা দিচ্ছেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যখনই আল্লাহর বান্দা দোয়া করে থাকে, আমি তাঁদের দোয়ায় সাড়া দিয়ে থাকি।’ সুতরাং দোয়ার ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা অনেক আয়াত অবতীর্ণ করেছেন, যার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, আল্লাহর বান্দা যখনই আল্লাহর কাছে চাইবে, যে অবস্থায় চাইবে, প্রত্যেকটি অব্স্থায় আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা বান্দাদের ডাকে সাড়া দেবেন।

তবে কিছু কিছু সময় আছে যে সময়গুলো দোয়া পূরণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো আপনাকে জানতে হবে, জেনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে আপনি মেহেরবানি করে চাইবেন। তাহলে আল্লাহ সুবাহানাহুতায়ালা আপনার দোয়াটি কবুল করবেন। দোয়া কবুলের সময়গুলো হচ্ছে আজান এবং একামতের মাঝে, বৃষ্টি অবতীর্ণ হওয়ার সময়, মুসাফির ব্যক্তির সফরের সময়, রোজাদার ব্যক্তি রোজারত অবস্থায়, সন্তানের জন্য পিতার দোয়া।

কতগুলো পর্যায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জানিয়ে দিয়েছেন, যাতে আল্লাহর বান্দারা ওই সময়গুলোতে দোয়া করতে পারেন। যেমন : রাতের শেষ তৃতীয়াংশে, রাতে ঘুম থেকে ওঠার পর, নবী (সা.) বলেছেন, ‘ঘুম থেকে জাগার পর আল্লাহর বান্দা দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে, তার পর আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে যেই ফরিয়াদ করবে আল্লাহতায়ালা সেই দোয়া কবুল করবেন।’

সহিহ বুখারি হাদিসের মধ্যে রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘কোনো ব্যক্তি যখন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে মিনতির সঙ্গে সুরা ইউনুস দোয়াটি পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তাঁর যে বালা-মুসিবত আছে, সেটিকে দূর করবেন এবং তাঁর দোয়া কবুল করবেন।’ ঠিক যেই প্রেক্ষাপটগুলোতে আল্লাহতায়ালা দোয়া কবুল করবেন বলে ঘোষণা করেছেন, সেই প্রেক্ষাপটগুলো ভালো করে জেনে, সেই অবস্থায় আল্লাহর কাছে দোয়া করার চেষ্টা করুন। তবে এগুলোর মধ্যে আল্লাহর সবচেয়ে কাছে বান্দারা পৌঁছাবে যখন আল্লাহর বান্দারা সেজদাহরত অবস্থায় থাকবে। তাই সেজদাহে আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন।

এছাড়া নিয়মিত দুয়া ইউনুস, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী, ছয় তাসবিহসহ ইত্যাদী আমলগুলো করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ এর মাধ্যমে অনেক জটিল-কঠিন রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করবেন ।

নিয়মিত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলবেন।

আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পূর্ণ সুস্থতা দান করুন। আমিন।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

১১৭৯৫

আদম আ. এর ক্ষমা প্রার্থনার প্রক্রিয়া


২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy